পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিয়ানমারের আরাকানে (রাখাইন স্টেট) সেনাবাহিনীর চলমান দমনাভিযানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মোঃ সাহাব মিয়া নামে ৮০ বছরের বয়োবৃদ্ধ একজন রোহিঙ্গা। গতকাল (বুধবার) রাতে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, সাহাব মিয়া আরাকানের আকিয়াব (নয়া নাম সিটুইয়ে) জেলার মংডু থানার হাচুরাতা গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতা মৃত মোঃ তৈয়ব মিয়া। নিজের বাড়ির সামনেই সেনাবাহিনী তাকে গুলিবর্ষণ করে। তার বুকে ও বাম চোখের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়। তিনি আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে কোনমতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে গতকাল বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। তার আঘাত গুরুতর হওয়ায় গতরাতে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ সময় তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন। বর্তমানে ২৫নং সার্জারি ওয়ার্ডে তার চিকিৎসা চলছে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, বয়োবৃদ্ধ রোহিঙ্গা সাহাব মিয়াকে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হবে।
এরআগে আরাকানে সেনাবাহিনীর হাতে গুলিবিদ্ধ আরো ৪ জন রোহিঙ্গাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে ৫৩ জন গুলিবিদ্ধ ও বোমায় ঝলসে যাওয়া গুরুতর আহত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু-বৃদ্ধ চমেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরাকানের গ্রামগুলোতে বর্মী যৌথবাহিনীর গুলি, বোমা ও অগ্নিসংযোগে গুরুতর আহতাবস্থায় তারা ভাগ্যক্রমে পালিয়ে সীমান্তের এপারে আসতে সক্ষম হন। মানবাধিকার ও সাহায্য-সংস্থার কর্মীরা তাদেরকে চমেক ভর্তি ও চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসছেন। তবে আরও অসংখ্য আহত ও পঙ্গু রোহিঙ্গা ওপারে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে বলে তারা জানান। চমেক হাসপাতালে এক যুবক ও অপর এক শিশু রোহিঙ্গা ইতোপূর্বে মারা যান। # শ/আলম, ০৬/০৯/১৭ইং
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।