পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর মিয়ানমারের সৈনিকদের বর্বরোচিত অত্যাচারের জবাব দিতে তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের যুদ্ধ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দেশবরেণ্য কবি নির্মলেন্দু গুণ। বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য এই কবি বলেছেন, নিরস্ত্র নিরপরাধ রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুদের ওপর বার্মার সৈনিকদের বর্বর অত্যাচারের যে ভিডিওচিত্রগুলি আড়চোখে দেখলাম; তাতে প্রশ্ন জাগলো মনে ১৯৭১ সালের পাক-সেনারা কি তুলনামূলকভাবে কম নিষ্ঠুর ছিলো? ১৯৭১ সালে পাকসেনাদের অত্যাচারের ভিডিও চিত্র ধারণ করা আজকের মতো সহজ ছিলো না বলে আমার এমনটি মনে হতে পারে। নিজের ফেসবুকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ভাববাদী কবি নির্মলেন্দু গুন বলেন, আমি বিভিন্নসূত্রে ফেইসবুকে আপলোডকৃত মায়ানমারে ঘটতে থাকা নির্মমতার ভিডিওচিত্রগুলি আড়চোখে দেখেছি। ঐ রকমের মানব-পীড়নের দৃশ্য সোজা চোখে দেখার সাহস আমি সঞ্চয় করতে পারিনি। আমার পক্ষে মিয়ানমারের রাজনেতিক নেতৃত্বের ঔদ্ধত্ব এবং তার বর্বর সেনাদের এই অবিশ্বাস্য অমানবিক আচরণ মেনে নেয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আমি ঘুমাতে পারছি না। আমি মনে করি, বাংলাদেশের পক্ষে বার্মা সরকারের যথেচ্ছাচারের নীরব দর্শক হয়ে সীমান্তে সীমাবদ্ধ থাকার সুযোগ নেই। শয়তানদের সমুচিত জবাব দেবার জন্য এখন আমাদের সীমান্ত অতিক্রম করার সময় এসেছে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ও শান্তির জন্য নোবেলজয়ী অশান্তি বেগমের (অং সান সুচি) বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার কথা এখনই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হোক। অনেক হয়েছে, আর নয়। আমি ভগ্নবক্ষ নিয়েও সেই ন্যায়যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে রাজী আছি। আমি বিশ্বাস করি, যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্ববিবেক আমাদের পাশে থাকবে এবং ১৯৭১ এর মতো বার্মার বর্গীদের বর্ববতার বিরুদ্ধে আমরাই জয়ী হবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।