Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নরসিংদীতে বাস-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষ ও বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩

সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নরসিংদীতে যাত্রীবাহী বাস ও কভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ৭ জন। ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে হেনা বেগম (৩০), আব্দুর রহমান (৫০), রবিউল (২০), সুমি বেগম (১৫), সুজন মিয়া (২০)। আহত হয়েছে কমবেশী ২০ জন। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, নিহত হয়েছে ৭ জন। তবে এদের লাশ আত্মীয় স্বজনরা সাথে সাথেই নিয়ে গেছে। এদের নাম ঠিকানা জানা যায়নি।
আহতদেরকে নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জসহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল বুধবার ভোর সাড়ে ৫টায় ঢাকা সিলেট মহাসড়কের সদর উপজেলাধীন কান্দাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে। নিহতদের পরিচয় পাওয়া গেছে, নিহত হেনা বেগম নরসিংদীর আমদিয়ার হাটখোলা গ্রামের আলি আকবরের স্ত্রী। আব্দুর রহমান ও তার ছেলে রবিউল’র বাড়ী কান্দাপাড়া গ্রামে। নিহত সুমি বেগম কান্দাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের কন্যা। নিহত সুজন মিয়ার বাড়ী একই উপজেলার কান্দাইল গ্রামে বলে জানা গেছে।
দুর্ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, মনোহরদী থেকে যাত্রী নিয়ে বাসটি (অন্তরা এন্টার প্রাইজ; ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৪৫৩৮) ভেলানগর হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। ভোর সাড়ে ৫ টায় বাসটি কান্দাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দাড়িয়ে যাত্রী উঠানোর সময় পিছন দিক থেকে দ্রুতগামী একটি কভার্ডভ্যান (ঢাকা মেট্রো ট-১৮-৫৩৭৮) নিয়ন্ত্রন হারিয়ে যাত্রীবাহী বাসটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এসময় যাত্রীবাহী বাসটি রাস্তা থেকে পাশ্ববর্তী খাদে উল্টে পড়ে। একই সাথে কভার্ডভ্যানটিও খাদে উল্টে পড়ে যায়। এই ঘটনায় এতে কমবেশী ২৫ জন যাত্রী হতাহত হয়। খবর পেয়ে মাধবদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরে সাথে যোগদেয় ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু উদ্ধার প্রক্রিয়ায় দেরি হবার কারণে এলাকার লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। তারা সংঘটিত হয়ে লাশ উদ্ধারের জন্য রাস্তায় মিছিল করে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত লোকজন রাস্তায় অবস্থান নেয়। এতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়। যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। পরে থানা পুলিশ দীর্ঘ প্রচেষ্টা চালিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
এদিকে রায়পুরায় আওয়ামী লীগ নেতার মালিকানাধীন একটি ফিলিং স্টেশনে মর্মান্তিক বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় ৬ শ্রমিকের প্রাণহানী ঘটেছে। একটি মোটর গেরেজের কাজ শেষ করে লোহার মই জমা দেয়ার সময় ওভারহেড বৈদ্যুতিক তারের সাথে সংযোগ ঘটে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে বরকত হোসেন (১৮) হাকিম মিয়া (৫০), আউয়াল মিয়া (২০), কাউছার মিয়া (৩০), জাকারিয়া (২৫) ও আবুর ফজল (৩০) নামে ৬ জন শ্রমিক নিহত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে রায়পুরা উপজেলার গকুলনগর এলাকার লাল মিয়া ফিলিং স্টেশনে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ­পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, একই এলাকার লাল মিয়া ফিলিং স্টেশনটির মালিক জনৈক নুরু মিয়া। বর্তমানে রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাধানগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাদেক লিজ নিয়ে এই ফিলিং স্টেশনটি পরিচালনা করছেন। এই ফিলিং স্টেশনের পশ্চিম পাশে তাবাসসুম মোটর সার্ভিসিং সেন্টার নামে একটি মোটর গেরেজের ট্রাসের কাজ শেষে ৬ জন শ্রমিক ফিলিং স্টেশনের ২০ ফুট উচু একটি লোহার মই মালিকের নিকট জমা দেয়ার জন্য ঠেলে নিয়ে যেতে থাকে। এ সময় বে-খেয়ালে ১১ হাজার ভোল্টের ওভারহেড বৈদ্যুতিক লাইনের তারের সাথে লোহার মই’র সংযোগ ঘটে অগ্নোৎপাতের সৃষ্টি হয়। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে ৫ জন শ্রমিক মারা যায়। আহত হয় আবুল ফজল নামে এক জন শ্রমিক। মারাত্মক অবস্থায় তাকে ভৈরব হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু ঘটে। নিহত ৫ জন শ্রমিকের বাড়ী কিশোরগঞ্জ উপজেলার ভৈরব’র কমলপুর গ্রামে এবং নিহত শ্রমিক জাকারিয়ার বাড়ী রায়পুরা উপজেলার রামনগর গ্রামে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রায়পুরা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে ৬ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রায়পুরা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিহত

২৯ ডিসেম্বর, ২০২২
২২ ডিসেম্বর, ২০২২
৭ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ