মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রোববার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় রদবদল ঘটেছে। মোট ৯ জন নয়া মন্ত্রী নিয়োগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে পদন্নোতি ঘটল আরও ৪ মন্ত্রীর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় জায়গা পেলেন পেট্রোল মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, বাণিজ্যমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, বিদ্যুৎমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রেসিডেন্ট ভবনে শপথবাক্য পাঠ করেন তাঁরা। কার্যক্ষমতা এবং প্রধানমন্ত্রীর নতুন ভারত গড়ার স্বপ্নের বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করাতেই তাদের ওপর সদয় হয়েছে সরকার। তাদের কর্মক্ষমতার ওপর নাকি বরাবর আস্থা রেখেছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহরও।
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হয়েছেন। তিনি হলেন ভারতের দ্বিতীয় মহিলা প্রতিরক্ষামন্ত্রী। প্রথম মহিলা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে এতদিন স্বাধীনভাবে বিদ্যুৎ, কয়লা এবং নয়া ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি সংক্রান্ত দপ্তর সামলাচ্ছিলেন পীযূষ গোয়েল। গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। কয়লা খনির নিলামি ও উৎপাদন বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। কর্মশক্তিপূর্ণ এবং পরিশ্রমী হিসেবে অল্পদিনের মধ্যেই নিজের পরিচিতি তৈরি করেছেন তিনি। এবার রেল মন্ত্রকের দায়িত্ব পেলেন তিনি।
প্রত্যন্ত গ্রামে রান্নার গ্যাস পৌঁছে দিতে ‘প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা’ চালু করেছিলেন মোদী। তারজন্য শহরবাসীকে ভর্তুকি ছেড়ে দিতে আর্জি জানিয়েছিলেন। সেই প্রকল্পের বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন পেট্রোল মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তৈল মন্ত্রককে যাবতীয় তদ্বির –সুপারিশ থেকে দূরে রাখাতেও সুনাম রয়েছে তাঁর।
মোদী সরকারে যোগ দেওয়ার আগে বিজেপির মুখপাত্র ছিলেন নির্মলা সীতারমণ। বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছেন তিনি। ডোকলাম নিয়ে সিকিম সীমান্তে বিরোধ চলাকালীন সম্প্রতি চীন সফরে গিয়েছিলেন। অংশ নিয়েছিলেন ব্রিকস সম্মেলনের আগে আয়োজিত সদস্য রাষ্ট্রগুলির বৈঠকে। অরুণ জেটলির হাতে থাকা প্রতিরক্ষা মন্ত্রক পেয়েছেন তিনি।
মোদীর মন্ত্রীসভায় একমাত্র মুসলিম সদস্য মুখতার আব্বাস নকভি। বিরোধীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি, বিপদে আপদে সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষা করে এসেছেন তিনি। গত তিন বছরে একাধিকার গোরক্ষকদের হম্বিতম্বির ঘটনা সামনে এসেছে। গণপিটুনিতে মৃত্যুও ঘটেছে। তাতে বিরোধীরা সরকারকে তুলোধোনা করতে ছাড়েনি। সরকারের হয়ে তাদের জবাব দিতে এগিয়ে এসেছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।