Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লোকসানের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে

সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস : বিটিএমসিকে প্রতি মাসে গুনতে হচ্ছে ১০ লাখ টাকা ভর্তুকি

আবদুল ওয়াজেদ কচি ,সাতক্ষীরা থেকে | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৭:১১ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

সাতক্ষীরায় একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান বলতে সুন্দরবন টেক্সটাইল মিল। বিএনপির তৎকালিন বস্ত্রমন্ত্রী প্রায়াত এম মুনছুর আলি ১৯৮৩ সালে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসকের পাশে তালতলা এলাকায় ৩০ একর জমির উপর প্রতিষ্টিত করেন সুন্দরবন টিক্সটাইলস্ মিলটি। মিলটি বর্তমান অবস্থা এখন টিকিয়ে রাখা দায়। কোনো ক্রমেই লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারছে না সাতক্ষীরার সুন্দরবন টেক্সটাইলস্ মিলটি। আর উৎপাদন টিকিয়ে রাখতে বিটিএমসি গুনতে হচ্ছে প্রতি মাসে মোটা অংকের ভর্তুকি। কর্তৃপক্ষের দাবী উৎপাদন খরচের চেয়ে বাজারে সুতার দাম কম, শ্রমিক সংকট ও বিদ্যুতের মুল্য বৃদ্ধির কারনে অহব্যাহত ভাবে লোকসান হচ্ছে সাতক্ষীরার একমাত্র ভারি শিল্প প্রতিষ্টান সুন্দরবন টেক্সটাইলস্ মিলে। সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলের মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, ১৯৮৩ সালে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসকের পাশে তালতলা এলাকায় ৩০ একর জমির উপর প্রতিষ্টিত হয় সুন্দরবন টিক্সটাইলস্ মিল। প্রতিষ্ঠা লাভের পর কয়েক বছর মধ্যেই মিলটি ব্যাপক লাভে চলে যায়। এরপর কর্মকর্তাদের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে চরম লোকসানে পতিত হয় সম্ভবমনায় মিলটি। প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে কয়েক দফা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সর্বশেষ ২০১২ সালের দিকে নারায়নগঞ্জের সুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্টান মেসার্স শোমা ইয়ার্ন ট্রেডার্স সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলের নীলকমল ইউনিটটি চুক্তি ভিত্তিক চালু করে। বিটিএমসি কাছ থেকে তারা কিছু শর্ত সাপেক্ষে উৎপাদন শুরু করে। একর্যায়ে ২০১৫ সালে মিলের মুল সুন্দরবন ইউনিটও উৎপাদনে ফিরিয়ে আনে। কিন্ত দুটি ইউনিটই চালু হওয়ার পর থেকে অদ্যবধি মিলটি লাভের মুখ দেখতে পারেনি। অব্যাহত ভাবে লোকসানই করে যাচ্ছে। সুন্দরবন টেক্সটাইলস্ মিলের জেনারেল ম্যানেজার মো. শফিউল ইসলাম খান বলেন, বর্তমান এক বেল সুতা উৎপাদন করতে খরচ পড়ে ১২ হাজার ৫৫০ টাকা। সেখানে বিক্রি মুল্য পাওয়া যাচ্ছে প্রতি বেল ৮ হাজার ৪০০ টাকা। ফলে প্রতি বেলেই লোকসান যাচ্ছে ৪ হাজার ১৫০ টাকা। এছাড়া চড়া মুল্যে বিদ্যুৎ ক্রয় করতে। রয়েছে শ্রমিক সংকট। তিনি বলেন, এখানে দু‘টো ইউনিটে ৩৫০ শ্রমিক কাজ করে। এরমধ্যে নারী শ্রমিক হচ্ছে ৮০ শতাংশ। এসব শ্রমিকদের দৈনিক ১৬০ থেকে ২০০ টাকা করে মজুরী দেয়া হয়। কিন্ত এতো কম মজুরীতে শ্রমিক বাড়ানোও সম্ভাব হয়। তিনি আরো বলেন, এই মিলটিতে প্রতি মাসে উৎপাদন ব্যয় হয় ৪০ লাখ টাকা। সেখানে মাসে আয় হয়ে থাকে সর্বসাকুল্যে ২৮ থেকে ৩০ লাখ টাকা। ফলে বিটিএমসি মাসে ১০ লাখ ভর্তুকি দিয়ে থাকে বলে জানান তিনি। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দিন জানান, জেলায় ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান বলতে সুন্দরবন টেক্সটাইল মিল। সাতক্ষীরাবাসির জন্য খুবই সম্ভাবমনাময় একটি শিল্প প্রতিষ্টান। মিলটি সম্ভাবনাময় থাকা সর্তেও কেন লোকসানের মুখে পতিত হচ্ছে সে জন্য তিনি সম্প্রতি মিলটি পরিদর্শন করেছেন। সমস্যা সমাধানে তিনি দ্রæত পাট ও বস্ত্র মন্ত্রনালয়ের সচিব পর্যায়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান। তিনি আরও বলেন, মিলটি যাতে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাড়াতে পারে সে চেষ্টাই তিনি করবেন।



 

Show all comments
  • আজাদুল ইসলাম ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৬:৫০ এএম says : 0
    জোলা প্রশাসকের উদ্মোগকে স্বাগতম।সরকারি হলে ক্ষতি আর হলে লাভ বিষয়টা কি❓আমরা আসলে পেট পূজারি❕ সরকারি কমকতাদের কাছে অনুরোধ আপনারা পেটের পূজা একটু হলেও কমান তবে দেশে কিছু উন্নতি হবে। আমরা মুসলিম মরনের পরে আমাদের কাজের হিসাব দিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • আজাদুল ইসলাম ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৬:৫০ এএম says : 0
    জোলা প্রশাসকের উদ্মোগকে স্বাগতম।সরকারি হলে ক্ষতি আর হলে লাভ বিষয়টা কি❓আমরা আসলে পেট পূজারি❕ সরকারি কমকতাদের কাছে অনুরোধ আপনারা পেটের পূজা একটু হলেও কমান তবে দেশে কিছু উন্নতি হবে। আমরা মুসলিম মরনের পরে আমাদের কাজের হিসাব দিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • আজাদুল ইসলাম ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৬:৫০ এএম says : 0
    জোলা প্রশাসকের উদ্মোগকে স্বাগতম।সরকারি হলে ক্ষতি আর হলে লাভ বিষয়টা কি❓আমরা আসলে পেট পূজারি❕ সরকারি কমকতাদের কাছে অনুরোধ আপনারা পেটের পূজা একটু হলেও কমান তবে দেশে কিছু উন্নতি হবে। আমরা মুসলিম মরনের পরে আমাদের কাজের হিসাব দিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • আজাদুল ইসলাম ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৬:৫০ এএম says : 0
    জোলা প্রশাসকের উদ্মোগকে স্বাগতম।সরকারি হলে ক্ষতি আর হলে লাভ বিষয়টা কি❓আমরা আসলে পেট পূজারি❕ সরকারি কমকতাদের কাছে অনুরোধ আপনারা পেটের পূজা একটু হলেও কমান তবে দেশে কিছু উন্নতি হবে। আমরা মুসলিম মরনের পরে আমাদের কাজের হিসাব দিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সুন্দরবন

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ