রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফেনী জেলা সংবাদদাতা
চাঁদার দাবিতে ফেনী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী মো. মোস্তফার উপর হামলা চালিয়ে একটি হাত ভেঙে দিয়েছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী পাশা বাহিনী। হামলার প্রধান আসামী ফকির আহাম্মদ পাশার নামে অস্ত্র মামলা, চাঁদাবাজি, হত্যা চেষ্টা, ধর্ষণের উদ্দেশ্যে অপহরণ চেষ্টাসহ বহু অভিযোগ ও একাধিক মামলা রয়েছে। পাশার অপকর্মের প্রতিবাদ করায় সে আ.লীগ নেতার উপর ক্ষিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী পাশা গত ১১ মার্চ মোস্তফার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় তাকে প্রাণে মেরে ফেলা ও সন্তানদের অপহরণের হুমকি দেয়। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নিজে ও পরিবারকে বাঁচাতে নিরুপায় হয়ে ফেনী মডেল থানায় একটি ডায়েরি করেন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ফেনী পৌরসভার আলিম উদ্দিন রোড এলাকায় তার ভায়রা শেখ আহম্মদ কলোনী নির্মাণ করতে গেলে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে উত্তর শিবপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র সন্ত্রাসী ফকির আহম্মদ পাশা। তার বাড়ি শিবপুর হলেও শহরের সন্ত্রাস প্রবণ এলাকা বিরিঞ্চি ফকির বাড়িতে অবস্থান করে সন্ত্রাসী কর্মকা- চালায় পাশা। এদিকে শেখ আহাম্মদ পাশার চাঁদা দাবির বিষয়টি ভায়রা আ.লীগ নেতাকে জানালে পাশাকে শাসান তিনি। চাঁদা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে পাশা ঐ কলোনীর এক মেয়েকে ধর্ষণ করার উদ্দেশ্যে অপহরণ করে নিতে চাইলেও বাধা দেয় মোস্তফা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার রাতে আলিম উদ্দিন রোডে মোস্তফাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ব্যাপক মারধর করে বাম হাতটি ভেঙ্গে দেয়। রাতে ডিবি পুলিশের অভিযান চালিয়ে পাশাকে গ্রেফতার করে। ডিবি পুলিশের ওসি আবুল কালাম আজাদ পাশাকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তার বিরুদ্ধে আ.লীগ নেতার মামলা ছাড়াও বিস্ফোরক ও মারামারির মামলার পরোয়ানা জারি রয়েছে। সন্ত্রাসী পাশাকে ফেনী থানা হয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।