নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সাম্প্রতিক সময়ে টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার পর এবার অস্ট্রেলিয়াকে হারালো বাংলাদেশ। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিন নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করলো মুশফিক বাহিনী। পাঁচদিনের ম্যাচের একদিন হাতে রেখেই অস্ট্রেলিয়াকে ২০ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রমাণ করলো নিজেদের সামর্থ্য। বিশ্বের এক নাম্বার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড নৈপুণ্য এবং ওপেনার তামিম ইকবালের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে প্রথম টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দু’ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। এ জয় সত্যিই স্মরনীয়। তাই তো ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের কন্ঠে ঝরে পড়লো উচ্ছ¡াস। তিনি মনে করেন, ঢাকা টেস্টে জয় তুলে নিয়ে বাংলাদেশ নিজেদের সামর্থ্যরে বার্তা দিলো ক্রিকেট বিশ্বকে। গতকাল দুপুরে শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন,‘এ জয় অবশ্যই আমাদের অনেক বড় একটা অর্জন। এখন বলতে পারি এই ম্যাচটা ঐতিহাসিক ছিল।’ উচ্ছ¡সিত বাংলাদেশ অধিনায়ক মনে করেন, এ ধরনের জয়গুলো আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে বাংলাদেশকে। তার কথা, ‘এ ধরনের অভিজ্ঞতাগুলো সব সময়ই কাজে লাগে। আবার যখন এমন পরিস্থিতিতে পড়বো আরও ভালোভাবে সামলাতে পারবো আমরা। আমি মনে করি, এটা আমাদের সামর্থ্যরে অনেক বড় একটি বার্তা।’
ঘোষণা দিয়েই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এমন কথায় আপত্তি রয়েছে মুশফিকের। অধিনায়কের ধারনা, ঘোষণা দিয়ে ক্রিকেটে কোনো দলকে হারানো যায় না। শুধু সম্ভাবনার কথা বলা যায়, ‘এটা তো ঘোষণা ছিল না! আমরা বলেছি সম্ভব। এটা তো অসম্ভবের কিছু না। শুধু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নয়, যে কোনো দলের বিপক্ষেই দেশের মাটিতে এটা বলার সাহস দেখাবো আমরা। কারণ, হোম কন্ডিশনে নিজেদের শক্তিটা আমরা জানি।’
নিজেদের শক্তিটা জানে বাংলাদেশ, সেই অনুযায়ী উইকেটও পেয়েছিল। তারপরও কাজটা সহজ ছিল না। প্রায় পূর্ণ শক্তির অস্ট্রেলিয়া দলকে হারাতে নিজেদের উজাড় করে দিতে হয়েছে। ‘চারটা দিন অনেক করেছি। ওরাও বেশ লড়াই করেছে। শেষ পর্যন্ত ওদের লোয়ার অর্ডারও অনেক চেষ্টা করেছে। এই জয় বড় একটা সন্তুষ্টি। একই সঙ্গে এটা আমাদের শিক্ষাও। যত বড় দলই হোক না কেনো, এই কন্ডিশনে আমরা যে কোনো পরিস্থিতিতে জিততে পা।ি কেউ হয়তো বলতে পারত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা কোনোমতে জিতে গেছি। কিন্তু এখন আর সেটা বলতে পারবেন না। কারণ দু’টি বিশ্বমানের দলের সঙ্গে এটা সম্ভব নয়। এখানে আমাদের চারদিন ধরে ভালো খেলতে হয়েছে’- বলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ঐতিহ্যগতভাবেই অস্ট্রেলিয়া মাঠে আক্রমণাত্মক একটি দল। এই টেস্টের মাধ্যমেই স্মিথদের খুব কাছ থেকে দেখেছেন সাকিব-তামিমরা। ঢাকা টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণাত্মক রূপ দেখা গেলেও তাদেরও হয়েছে নতুন এক অভিজ্ঞতা। সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ‘ওদের মধ্যে আগ্রাসন তো অবশ্যই ছিল। তবে ওরাও বুঝেছে বাংলাদেশ কতটা আগ্রাসী হতে পারে। শুধু ব্যাটে-বলেই নয়, শারীরিক ভাষাতেও ওরা সেটা টের পেয়েছে। লাঞ্চের তখন ছয় মিনিট বাকি। ম্যাক্সওয়েল প্রায় পাঁচ মিনিট সময় নিচ্ছিল যেন ওই ওভারের পর আর কোনো ওভার না হয়। অস্ট্রেলিয়া এমন ব্যাক ফুটে চলে গেছে যে, তারা চাচ্ছিল না আরেকটা ওভার খেলতে। ওরা আমাদের জুনিয়রদের অনেক কথা বলেছে, যা আমরাও ফিরিয়ে দিয়েছি। আমরা আগের জায়গায় নেই, সেটা ওরা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে!’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।