নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ওয়ানডে বিশ্বকাপের টানা চারবারের চ্যাম্পিয়ন। ক্রিকেট বিশ্বে যারা স্বগৌরবে উড়ছিলো। সেই পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়াকেই এক ঝটকায় মাটিতে নামিয়ে আনলো বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো অজিদের হারিয়ে ইতিহাস গড়লো সাকিব-মুশফিকরা। এমন এক জয়ে সাকিব, তামিম, মুশফিকদের অভিনন্দন জানিয়েছে দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন, ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদসহ অন্য ডিসিপ্লিনের তারকারা।
মাশরাফি বিন মর্তুজা, ওয়ানডে অধিনায়ক
ঐতিহাসিক জয়ের পর সতীর্থদের প্রশংসায় ভাসিয়ে দিয়েছেন মাশরাফি। নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ লেখেন, ‘তামিম, তুমি অসাধারণ, সম্ভবত বিশ্বের অন্যতম সেরা ওপেনার। তাইজুল দারুণ বোলিং করেছ বন্ধু। মিরাজ অসাধারণ। মুশি (মুশফিকুর রহিম), কম ভূমিকা থাকলেও “ক্যাপ্টেন্স নক” কার্যকরী ছিল। বাকিরা মাঠে দারুণ সমর্থন দিয়েছে দলকে।’ যার ‘অতিমানবীয়’ পারফরম্যান্স ছাড়া জয় আসত না, সেই সাকিবকে নিয়ে আলাদা করে ওয়ানডে অধিনায়ক লিখেছেন, ‘সাকিব আল হাসান, তুমি জীবন্ত কিংবদন্তি। আর কেউই তোমার মতো লড়তে জানে না। বন্ধু, তোমার জন্মই ২২ গজের জন্য। জয় বাংলা ও সবাইকে ঈদ মোবারক।’
মামুনুল ইসলাম, জাতীয় ফুটবলার
ফুটবলার হলেও ক্রিকেট আমার পছন্দের খেলা। এ খেলাটি নিয়মিতই আমি দেখি। বিশেষ করে নিজ দেশের খেলা হলে তো কথাই নেই। এবারও অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ প্রথম টেস্টটি ঘরে বসে টেলিভিশনে দেখেছি। চারদিনই টিভির সামনে ছিলাম। আশা করছিলাম বাংলাদেশ ভালো কিছু করে দেখাবে। যদিও প্রথম দিন থেকেই মনে হয়েছিল ম্যাচটি অস্ট্রেলিয়ার হাতেই রয়েছে। তাদেরকে হারানোটা একটু কঠিনই হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাদেরই জয় হলো। বলতে পারি স্মরনীয় জয়। যারা বিশ্বসেরা তাদেরকে হারানোর আনন্দই আলাদা। এমন জয়ে উচ্ছ¡সিত আমি।
মামুনুর রহমান চয়ন, জাতীয় হকি খেলোয়াড়
নিজে হকি খেলোয়াড়, তাই বলে ক্রিকেটকে অপছন্দ করবো। এটা হতেই পারেনা। আমি ক্রিকেটের ভক্ত। সব সময়ই এ খেলাটির খোজ-খবর রাখি। স্টেডিয়ামে বা টেলিভিশনে খেলা দেখতে না পারলেও মুঠোফোনের ইন্টারনেটে ক্রিকেটের খবরাখবর দেখি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বেষ্ট ক্রিকেট খেলেছি আমরা। সাকিব-তামিম জুটিরতো তুলনাই নেই। অসাধারন খেলেছেন তারা। তামিমের ব্যাক টু ব্যাক হাফ সেঞ্চুরি। সাকিবের দুই ইনিংসে পাঁচটি করে দশ উইকেট শিকার। এ সব বলে দিচ্ছিল ম্যাচটি আমাদেরই। আমরাই জিতবো। আমার জানা মতে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচটি টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ। আগের চার ম্যাচেই হার দেখেছিলাম। চোখ জুড়ালো পঞ্চম ম্যাচে জয় দেখে। এমন জয়ে আমিও খুশি। সাকিব-তামিদের স্মরনীয় সাফল্যে বলতে পারি দুরন্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জানাই অভিনন্দন।
এলিনা সুলতানা, জাতীয় ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়
খেলাটি ব্যাডমিন্টন, ফুটবল, হকি না ক্রিকেট- সেটা বড় কথা নয়, আমরা জিতেছি এটাই বড় কথা। ঢাকা টেস্টে বিশ্ব ক্রিকেটের স্বীকৃত শক্তি অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রমাণ করলো এখন আর তারা ফেলনা নয়। ক্রিকেটে এখন অনেক পরিণত টাইগাররা। তারা বিশ্বের যে কোন দলকেই হারাতে পারে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের পাঁচটি শক্তিশালী দলের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে জয় পেয়েছি আমরা। আমাদের সাকিব-তামিম-মুশফিক রয়েছেন। আমরা তাদের নিয়ে গর্ব করি। অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট আমি টিভির সামনে বসে দেখেছি। চারদিনই ভালো খেলেছে আমাদের দল। অসাধারণ পারফরমেন্স করে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এ জয়ে অন্য সবার মতো উচ্ছ¡সিত আমিও। খুভ ভালো লাগছে নিজের দেশের জয়ে। আরও এগিয়ে যাক লাল-সবুজের ক্রিকেট। একজন বাংলাদেশী হিসেবে এটাই আমার কামনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।