মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারের সীমান্ত মধ্যবর্তী এলাকা নো ম্যানস ল্যান্ডে ঠিক কতজন রোহিঙ্গা আটকা পড়ে আছেন সে সংখ্যা নিশ্চিত করা কঠিন বলে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা (আইওএম)। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ না করে বলেছে, নো ম্যানস ল্যান্ডে শত শত রোহিঙ্গা আটকা পড়ে আছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা জানায়, গত বুধবার আইওএম নতুন করে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা জানালেও নো ম্যানস ল্যান্ডে থাকা রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেনি। সংস্থাটি জানায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর গত সপ্তাহে প্রায় ১৮০০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারে ১০ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস। এসকল রোহিঙ্গার বেশিরভাগই রাখাইন রাজ্যের উত্তর অংশে বসবাস করে। স¤প্রতি রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ক্লিয়ারেন্স অপারেশন শুরু করার পর ওই এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। ২৪ আগস্ট রাখাইন রাজ্যের বিদ্রোহী রোহিঙ্গারা ২৪টি পুলিশ চেকপোস্টে সমন্বিত হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করে মিয়ানমারের ডি-ফ্যাক্টো সরকার। পরে হামলার দায় স্বীকার করে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরওসএ)। তাদের দাবি, আত্মরক্ষার্থে এ হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশ পোস্টে হামলার পর রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক অভিযান শুরু করে সরকারি বাহিনী। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছে, সেনাবাহিনী গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে এবং বেসামরিকদের গুলি করছে। সহিংসতার জন্য রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের দায়ী করেছে মিয়ানমার সরকার। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা চলতি মাসের ১২ তারিখ জানিয়েছিল, মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের সুনির্দিষ্ট অঞ্চলে নতুন করে কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার সেনা-গণতান্ত্রিক ডিফ্যাক্টো সরকার। একই সময়ে মোতায়েনকৃত সেনার সংখ্যা বাড়ানোর খবর দিয়েছিল ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা। ১৭ আগস্ট সাউথ এশিয়া মনিটর-এর প্রতিবেদনে সেনা অভিযান শুরুর কথা জানানো হয়। ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় বৃহস্পতিবার পুলিশ চেকপোস্টে হামলা এবং রোহিঙ্গা বিদ্রোহী-পুলিশ সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়। সরকারি হিসেব অনুযায়ী ২৮ আগস্ট রাত থেকে শুরু করে রবিবার পর্যন্ত সহিংসতায় রোহিঙ্গা-পুলিশ-সেনাসদস্য মিলে অন্তত ৯৬ জন নিহত হয়েছে। রয়টার্স, বিবিসি, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।