Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বর্বরতায়ও নীরব বিশ্ববিবেক

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্মূল অভিযান

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম


মিয়ানমারের আরাকান (রাখাইন) রাজ্যে গত বৃহস্পতিবার সেনা অভিযানের পর থেকে প্রতিদিন নিপীড়ন, নির্যাতনের নতুন নতুন খবর পাওয়া যাচ্ছে। গত শুক্রবার থেকে এখন পর্যন্ত রাখাইনে অন্তত ৫’শ রোহিঙ্গা মুসলিমকে মিয়ানমার বাহিনী হত্যা করেছে এমন দাবি করেছেন বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন যুক্তরাজ্যের সভাপতি তুন কিন। বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নিচ্ছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। এখনো আরাকান রাজ্যে জ্বলছে আগুন। জীবন নিয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অভিযোগ সরকার রোহিঙ্গাদের নির্মূলে এ অভিযান চালাচ্ছেন। মিয়ানমায়ে রোহিঙ্গাদের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে এ রিপোর্টি তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন কক্সবাজার ব্যুরো প্রধান শামসুল হক শারেক, টেকনাফ থেকে মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান।
“আঁরা জীবনতও শরনার্থী হই বাংলাদেশত ন-আইয়্যি, মগ বাহিনী এন্ডিলা বউতবার আঁরারে মাইজ্যে-ঘর জ্বালি দিইয়ে, এহন মগ বাহিনীর অত্যাচার বেশী বারি গেইয়্যে.....। অর্থাৎ আমরা জীবনেও শরনার্থী হয়ে বাংলাদেশে পা দিইনি। মিয়ানমার বাহিনী ১৯৭৮ সাল থেকে আমাদের এরকম বহুবার মারধর করেছে এবং ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে, কিন্তু নিজের ঘরে ছিলাম চোখ বুজে। তবে এবারের অবস্থা এতই মারাত্মক যে কোন ভাবেই ঘরে টিকে থাকা সম্ভব হচ্ছেনা। এ বুড়া (মহিলার স্বামী) হাঁটতে পারেন না। হামাগুড়ি দিয়ে অনেক কষ্টে তাকে নিয়ে আসেন বাংলাদেশের সীমান্তপাড়ে।
৭০ বয়সের বৃদ্ধা মোস্তফা খাতুন এভাবে ফুটিয়ে তুলেন মিয়ানমার বাহিনীর অত্যাচারের করুন চিত্র। বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নেয়া ছয়দিনে জন্ম হওয়া এক সন্তানের জননী চোখের পানি মুছতে মুছতে বলেন, আমার স্বামীকে শনিবার সকালে বিনা কারণে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সেনা বাহিনীর একটি দল। আমার স্বামী নিরপরাধ। কিন্তু, তিনি উগ্রপন্থী দল ‘আলকিন’এর সদস্য বলে অভিযোগ করে তাকে ধরে যায়। আমার চোখের সামনে ভয়াবহ নির্যাতন শুরু করেছে। এটি মিয়ানমার বসবাসরত লাখো লাখো মানুষের জীবনের চিত্র। ধর্ষণ, লুণ্ঠন, লুটপাট, জ্বালাও পোড়াও, এমনকি নিষ্পাপ আসহায় শিশুগুলোকে নির্বিকারে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করছে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী। মিয়ানমায়ের বিভিন্ন নদীতে ভাসছে মানুষের লাশ। জন্মই মনে হয় তাদের অপরাধ। তাই মৃত্যু দিয়ে চলে প্রায়শ্চিত্ত।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের চেয়ে করুণ, লাঞ্ছিত ও আশাহীন শরণার্থীও বিশ্বে খুব কম আছে।তারা পৃথিবীর সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠী।
সরকারি অভিযোগে বলা হয়, গত শুক্রবার দ্য আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (এআরএসএ) বিদ্রোহী সংগঠন রোহিঙ্গাদের জাতিগত অধিকার আদায়ের ঘোষনা দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ৩০টি পুলিশ ফাঁড়ি ও একটি সেনাঘাঁটিতে যারা সমন্বিত হামলা চালায়। তারা সবাই ‘জঙ্গি’। এই ‘জঙ্গিরা’ পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ জনকে হত্যা করেছে। মিয়ানমারের ভাষ্য রোহিঙ্গাদের মদত এবং সার্বিক সহযোগিতায় এ হামলা পরিচালনা করা হয়। অর্থাৎ পুলিশ ফাঁড়ি ও একটি সেনাঘাঁটিতে হামলার প্রতি উত্তরে তারা এমন ধ্বংসজ্ঞ চালাচ্ছেন, যদি তাদের ভাষায় এটি হচ্ছে দমন করা। কিন্তু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনসমূহ ও বিশেষজ্ঞদের কাছে এ দাবি রহস্যজনক কারন যে জাতি ছন্নছাড়াভাবে বসবাস করছেন, যেখানে একাধিক রোহিঙ্গা একসাথে একত্রিত হয়ে কথাও বলতে পারেনা, সেখানে এ আক্রমণ করার মত শক্তি সাহস তারা কোথায় পেল? এছাড়া সদ্যজন্ম নেয়া সন্তানটির অপরাধ কি? তার লাশ কেন ভেসে উঠছে নদীতে, কি অপরাধ সন্তানসম্ভবা মায়েদের ? অনেকের প্রশ্ন কফি আনান মিয়ানমার সফরে যখন রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে চলাফেরার স্বাধীনতাসহ অন্যান্য অধিকার দেওয়ার দাবি তুলেছেন। সে সময় কেন এই ঘটনা ? যদি এসকল প্রশ্নে কোন সদুত্তর দিতে পারিনি মিয়ানমার সরকার।
সীমান্তে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ভাষ্যমতে, সেনা, বিজিপি ও স্থানীয় রাখাইনরা যৌথভাবে সীমান্ত সংলগ্ন ঢেঁকিবনিয়া, চাককাটা, ঢেঁকিপাড়া, ফকিরাপাড়া, চাকমাকাটাসহ বেশ কয়েকটি রোহিঙ্গা গ্রামে হামলা শুরু করে। এ সময় নির্বিচারে গুলিবর্ষণ, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও সামনে যাকে পেয়েছে তাকেই বেধম মারধর করে হাত-পা বেঁধে মাথা নিচু করে রাখে। এরপর প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করছে। মুসলিমদের ওপর অত্যাচার, জুলুম, বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের মতো ঘটনা ঘটছে। নারীদের অবাধে করছে ধর্ষণ । মায়ের সামনে মেয়েকে, মেয়ের সামনে মাকে, স্বামীর সামনে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে নির্বিকারে হত্যা করছে সরকারি বাহিনী। পাশাপাশি রোহিঙ্গা মুসলিমদের সম্পদ ও তাদের জীবিত অবস্থায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে তারা। সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়েছে কিছু রাখাইন যুবক। তাদের অত্যাচার সেনাবাহিনীর চেয়েও জঘন্য বলে দাবি রোহিঙ্গাদের। এলাকাগুলো থেকে অমুসলিমদেরকে সরিয়ে নিয়ে রোহিঙ্গাদের রেখে পুরো গ্রাম ঘেরাও করে আগুন জ্বালিয়ে দেয় এবং মর্টার গুলি ছুঁেড়। মংডুর হ্যাইনডাফারায় রোহিঙ্গাদের একটি মার্কেটে অন্তত পাঁচ রোহিঙ্গাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে এবং পুরো জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। মংডু থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তরে তামান থার গ্রামের রাখাইন বৌদ্ধ বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এলাকাটির প্রায় ৫০০ অমুসলিম বাসিন্দা শুক্রবার রাতটি একটি মাঠে আশ্রয় নিয়ে পার করেছে।
এদিকে, রোহিঙ্গাদের বিদ্রোহী সংগঠন আকসার প্রধান আবু আহমদ জুনুনি নিজেদের অধিকার আদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন। দেশটির সরকার বলেছে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে কমপক্ষে ১২ হাজার অমুসলিম গ্রামবাসীকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তাই ব্যাপক সংঘর্ষ ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগে প্রাণ নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছেন রোহিঙ্গারা। কিন্তু‘ পালানোর সময়ও বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে গুলি নিক্ষেপ করছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি প্রচুর গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা থেকে প্রত্যক্ষদর্শীরা বাসিন্দারা জানান, টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্ত এলাকার খুব কাছাকাছি মিয়ানমারে মংডু, পেরানপ্রু, মাংগালা এলাকায় হেলিকপ্টার থেকে রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে মর্টার শেল গুলি ছুড়ছে ও নাফ নদীতে ৩টি নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ থেকে সীমান্তের প্যারাবনে লুকিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে সেদেশের নৌবাহিনী।
এদিকে, উখিয়ার পার্শ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তের ঘুনধুম, তুমব্রু, নোয়াপাড়া, উখিয়ার পালংখালীর ধামনখালী, রহমতের বিলের নাফ নদীর মিয়ানমারের ওপারে কাঁটাতারের পাশে এবং টেকনাফের নাইট্যংপাড়া, দমদমিয়া, কেরুনতলী, জাদী মোরা, লেদা, রংগীখালী, হীলা, মৌলভীবাজার, খারাংখালী, নয়াবাজার, কাঞ্জরপাড়া, ঝিমংখালী, লম্বাবিল, হোয়াইক্যং, উলুবনিয়া, কাটাখালী, আঞ্জুমানপাড়া, রহমতের বিল, ধানমনখালী, বালুখালী জমিদার পেরার বিপরীতে মিয়ানমারের ওপারের উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে অসংখ্য রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ, শিশু। হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে ওপার থেকে ছোড়া গুলি এপারের জনপদে এসেও পড়ছে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদেরকে চিংড়িঘেরের বেড়িবাঁধে আটকে দিয়েছেন বিজিবি সদস্যরা। বিজিবি সদস্যরা রোহিঙ্গাদের স্রোত ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। পালিয়ে আসাদের মধ্যে ছিলেন বেশিরভাগ নারী-শিশু ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। এরই মাঝে আসছিল গুলিবিদ্ধরাও। । তাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বিজিবি। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি সর্তক অবস্থানে রয়েছে।
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক মঞ্জুরুল হাসান খান জানিয়েছেন, তিন হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নাফ নদীর ওপারে সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে। তারা প্রবেশের চেষ্টা করছে। তবে বিজিবি সতর্ক থাকায় তারা প্রবেশ করতে পারছে না। এ ছাড়া বৌদ্ধ স¤প্রদায় কর্তৃক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে প্ররোচিত করার চেষ্টায় উদ্বেগ জানানো হয়। পুরো ঘটনাপ্রবাহের জন্য মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের হাতে বাংলাদেশের একটি প্রতিবাদপত্রও তুলে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, রাখাইন প্রদেশে নতুন করে সেনা অভিযান শুরুর পর মিয়ানমারের গণমাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করে বিভিন্ন নিবন্ধ প্রকাশিত হচ্ছে।
বাঙালি সন্ত্রাসী’দের ব্যাপারে মিয়ানমারের জনগণ এবং বিদেশী নাগরিকদের সাবধান থাকতে বলেছে সরকার। মিয়ানমার থেকে প্রকাশিত দৈনিক মিয়ানমার টাইমসের গতকালকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ছিল এটি। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দৈনিক গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়াননমারের এক রিপোর্টে বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কর্মীদের একটি অংশ আরসা’কে সহায়তা করছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে অং সান সু চি’র অফিস। ঐ প্রতিবেদনে ‘আরসার সন্ত্রাসী’দের সমর্থনে নেয়া যেকোনো কাজের জন্য দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বিচার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। এর আগে ঐ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। দ্য ইরাওয়াদি দৈনিকে স্টেট কাউন্সেলরের অফিসের বরাত দিয়ে শুক্রবারের ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে, এর পেছনে উত্তর রাখাইনের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা দায়ী ।
ওদিকে, মিয়ানমারের সহিংসতার জন্য এবার আন্তর্জাতিক ত্রাণকর্মীদের দায়ী করলেন অং সান সুচি। পাশাপাশি রোহিঙ্গা বিদ্রোহী না লিখে তাদেরকে ‘টেরোরিস্ট’ (সন্ত্রাসী) লিখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে সব মিডিয়াকে। সুচির এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থাগুলো। বলা হয়েছে, সুচিকে অবশ্যই দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কথা বলা বন্ধ করতে হবে। এটা না করলে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বিরোধী আইন ব্যবহারের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। সুচির এমন অবস্থানের কারণে মিয়ানমারে ত্রাণকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। লন্ডনের অনলাইন দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইন রাজ্যের একটি গ্রাম যখন উগ্র সন্ত্রাসীরা ঘেরাও করে তখন তাদের সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ত্রাণকর্মীরা- এটা জানতে পেরেছে স্টেট কাউন্সেলরের অফিস। তারা এ বিষয়টি তদন্ত করবে। স্টেট কাউন্সেলরের অফিস থেকে একটি ছবিও পোস্ট করা হয়েছে। তাতে দেখানো হয়েছে, জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক কর্মসূচিতে বিতরণ করা বিস্কুট। এসব বিস্কুট পাওয়া গেছে ৩০ শে জুলাই ‘সন্ত্রাসীরা যে ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছিল’ সেখানে।। প্রকাশ্যে ত্রাণকর্মী ও সাংবাদিকদের অবমাননা করা হচ্ছে।
এদিকে, ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হিদার নুরেট এক বিবৃতিতে বলেন, মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো ও তা মেনে চলা। রোহিঙ্গাদের মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকার যাতে লঙ্ঘন না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখার জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটসওয়াচ বলেছে, গত অক্টোবর পুলিশের ওপর হামলার পর রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অকথ্য নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ, হত্যা, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়ে আসছে।
অন্যদিকে, রাখাইনের সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞ বন্ধে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। মালয়েশিয়ান কনসালটেটিভ কাউন্সিল অব ইসলাম অর্গানাইজেশন (মাপিম) এ আহ্বান জানিয়েছে। বেসরকারি এই সংস্থাটি বলেছে, রাখাইনের সাধারণ রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান গণহত্যা বন্ধে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার উচিত মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ তৈরি করা।



 

Show all comments
  • মোহাঃ- ইয়াছিন আলী ২৯ আগস্ট, ২০১৭, ৩:২৪ এএম says : 0
    বিশ্ব বিবেক কি হারিয়ে গেছে? কোথায় আজ বিশ্ব মানবাধিকার
    Total Reply(0) Reply
  • আবুল কাশেম ২৯ আগস্ট, ২০১৭, ৮:১৭ এএম says : 0
    মতব্য করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।আইয়্যামেজাহেলিয়ার যুগের ইতিহাস কে ও হার মানায় মায়ানমার সরকারী বাহিনী কর্তৃক রোহিংগা দের উপর নিষ্ঠুর বর্বরতা। সারা দুনিয়ার মুসলিমদের কে জংগী অপবাদ দিয়ে নির্বিচারে হত্যা করছে অথচ আরব বিশ্ব নিরব।নিরব আছেন জাতীয় সংঘ,মানবাধিকার সংগঠন, আমি সারা দুনিয়ার শান্তিকামীদের এগিয়ে আশার এবং এ বর্বরতা বন্দের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্তা গ্রহন করার অনুরুধ করছি
    Total Reply(0) Reply
  • md jahirul islam ২৯ আগস্ট, ২০১৭, ১১:২৪ এএম says : 0
    hire manobota ? amara muslinr aj kothy amra vai vai aita sotti ha ? jara komotar odikar niya aj ai muslimder ai obosta kortace ? r amra muslin onno desh golo moja nitaci r paitaci ci muslim jati ci
    Total Reply(0) Reply
  • md jahirul islam ২৯ আগস্ট, ২০১৭, ১১:২৭ এএম says : 0
    muslim jara nata aco tomra aj moja nitaco tomader samne tomader muslim vaider bonder opor borbor goger caite o karap nirjaton r tomra komotar opobabohar kortaco ? morun ke soron koro ? tomi muslim ?
    Total Reply(0) Reply
  • md jahirul islam ২৯ আগস্ট, ২০১৭, ১১:২৮ এএম says : 0
    ci ci muslim natader opor amar grina ?
    Total Reply(0) Reply
  • md jahirul islam ২৯ আগস্ট, ২০১৭, ১১:৩১ এএম says : 0
    ai manobot name diya orai aj muslim der opr ai ottacer korte? gas kaaita gacer gory pani ditace ai holo manobotar asol rup?
    Total Reply(0) Reply
  • Foyez Ahmed ২৯ আগস্ট, ২০১৭, ১১:৫৫ এএম says : 0
    বিশ্ব বিবেক ঘুমিয়ে আছে । প্লিজ, ডিস্টার্ব করবেন না ।
    Total Reply(0) Reply
  • Abduz Zaher ২৯ আগস্ট, ২০১৭, ১১:৫৬ এএম says : 0
    বিবেক বলে কোন কথা নেই। আছে খ্রীষ্টান, বৌধ, হিন্দু, ইহুূদি ওরা সবাই আমাদের( মুসলমান) বিরুদ্ধে। আসল কথা আমরা মুসলমানেরা এক হতে পারি নি। এ লড়ায়ের উপযুক্ত জবাব দেয়া উচিত।
    Total Reply(0) Reply
  • Omar Faruq ২৯ আগস্ট, ২০১৭, ৫:৩৭ পিএম says : 0
    সত্যি বর কষ্ট হয়, আমরা মুসলিম হয়ে মুসলিম ভাইদের এমন বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারছি না, আজ কোথায় গেলো মানব অধিকার কোথায়???????
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ