পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বগুড়া শহর যুবলীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সম্পাদক , পুলিশের খাতায় পলাতক ‘‘বগুড়ার বাপজান’’ খ্যাত মতিন সরকারের নামে শহরের প্রাণকেন্দ্র সাত মাথায় ঈদ উল আজহার শুভেচ্ছা দিয়ে বিশাল আকৃতির প্যাণাসাইন বোর্ড টাঙানোর ঘটনাটি বগুড়ায় সাধারণ মানুষের মনে ফের উদ্বেগ ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ যারা , রিক্সা , অটো রিক্সাভান চালক , ট্রাক মালিক সমিতির সদস্যদের মধ্যে আতংক ও উদ্বেগের পরিমান বেশি বলে লক্ষ্য করা গেছে। পলাতক মতিনের নামে এই বিশাল প্যানাসাইনবোর্ড টাঙানোর বিষয়টি ছিল বগুড়া শহরের টক অব দ্য টাউন। গতকাল বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে , মতিন ও তার ভাই তরুনী ধর্ষণ মামলায় বর্তমানে কারারুদ্ধ তুফান সরকার হারানো সাম্রাজ্য কি আবার পুণঃ প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে বলে সবার মনেই প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে ?
বগুড়া পুলিশ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে কথা বলে জানা গেছে, তাদের ভাষায় একটি অস্ত্র মামলায় ২৭ বছর কারাদন্ড প্রাপ্ত এবং অন্য একটি মামলায় ওয়ারেন্টের আসামী আব্দুল মতিন সরকার বর্তমানে পলাতক রয়েছে। সেই পলাতক আসামির ছবিসহ বিশালাকারের প্যানাসাইনবোর্ড কে কিভাবে টাঙালো সে বিষয়ে জানতে চাইলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন , মতিন পলাতক থাকলেও সে যেহেতু ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাই সংগঠনের পক্ষে অন্যরা এটি টাঙাতে পারে। বগুড়া পৌরসভায় খোজ নিয়ে জানা গেছে, পৌরসভার অনুমোদন ছাড়াই এটা টাঙানো হয়েছে।
সরকারি দলের একাধিক সিনিয়র নেতা ইনকিলাবকে বলেছেন, তুফান কান্ডের পর তুফান ও তার বড় ভাই বগুড়ার আন্ডারওয়ার্ল্ডের গড ফাদার মতিন সরকারকে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করায় জনমনে যে ইতিবাচক ভাবমুর্তি তৈরী হয়েছিল মতিন গং চলে গিয়েছিল ব্যাকফুটে এখন দলেরই কোনো একজন সিনিয়র গডফাদারের ইশারায় মতিনদের সদম্ভে ফেরার রাস্তা তৈরী হচ্ছে! যা দুঃখজনক।
এদিকে বিভিন্ন সুত্রে খোজ নিয়ে জানা গেছে , গত মাসের ২৭ জুলাই রাতে এক তরুনীকে ধর্ষণ ও তার মাকে শারীরীক নির্যাতন ও পরে মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করার ঘটনায় মতিনের ছোট ভাই তুফানকে গ্রেফতারের পর দুই ভাইকেই সরকারি দলের সহযোগি সংগঠনের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলে ‘‘বগুড়ার বাপজান’’ খ্যাত মতিন সরকারের সাম্রাজ্য বড় ধরণের ধ্বস নামে। মতিনের নামে ওয়ারেন্ট ধামাচাপা দিয়ে রাখার সংবাদ মিডিয়ায় প্রকাশ পেলে উচ্চ মহল থেকে মতিন ও তার পৃষ্টপোষক ও সহযোগিদের গ্রেফতারের গ্রীণ সিগন্যাল আসলে পুলিশেরই একটি মহলের ইংগীতে তাকে বগুড়া থেকে পালিয়ে যেতে হয়। গোপনে মতিনের বগুড়া ছাড়ার পর তার বড়– পৃষ্টপোষকদের এক মাফিয়া মালয়েশিয়া চলে যায়। সেখানে মতিন গংদের বিপুল কালো টাকার বিরাট অংকের বিনিয়োগ রয়েছে বলে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে। এছাড়াও তার কিলার বাহিনীর প্রধান সুইপার সোহেলও পালিয়ে ভারতে চলে যায়। তুফানের কারাবাস , মতিনের পলাতক জীবনের কারণে তার ‘জুয়া হাউজি , মাদক , চাঁদাবাজি , তোলাবাজি সহ অপরাধ জগতের নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। এদিকে মতিনের অপরাধ জগতের আয় থেকে সুবিধা ভোগিদের একটি গ্রুপ ( যাদের মধ্যে রয়েছে পুলিশ / সিভিল প্রশাসনের একাংশ ও মিডিয়ার একটি গ্রুপ ) পুনরায় তার সাম্রাজ্য পুণরুদ্ধারের মিশনে নেমে পড়েছে। এই চক্রটি মতিনের আরেক সহযোগি মেহেদীকে দিয়ে , মতিনের বাড়িতে মিলাদ মাহফিল , কাঙালী ভোজ , ও পরে মতিনের পাড়ায় মানব বন্ধনের মাধ্যমে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এই ব্যর্থতার পরও মতিনের সহযোগি ম্যানেজ মাষ্টার খ্যাত মেহেদী তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে। এদিকে প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার সুত্র ইনকিলাবকে নিশ্চিত করেছে , যে মতিনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানা, কোর্ট ও অন্যান্য থানায় দেড় ডজন মামলার অস্তিত্ব থাকলেও পুলিশ তা’ গোপন করেছে । বিষয়টি সরকারের ও সরকারি দলের হাই কমান্ডের জানা আছে , তাই স্থানীয় ভাবে মতিন চক্র যতই চেষ্টা করুক আখেরে তার নিস্তার লাভের কোন সুযোগ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।