নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : আরেকটু হলে ঘরের মাঠে হারতে বসেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু দলটির তরুণ স্প্যানিশ স্ট্রাইকার মার্কো আসেনসিওর জোড়া গোলে শেষ পর্যন্ত হার এড়িয়েছে বর্তমান লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা। বার্নাব্যুতে পরশু ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে তারা ম্যাচটি ড্র করেছে ২-২ গোলে। এজন্য অবশ্য একজন করিম বেনজেমাকে দুষতে পারেন বার্নব্যু ভক্তরা। এদিন অন্তত এক হালি গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন এই ফরাসি স্ট্রাইকার।
সফরাকারী রক্ষণের ভুলে ১০তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে দৃষ্টিনন্দন গোলে স্বাগতিক দলকে এগিয়ে নেন আসেনসিও। চার মিনিট পর অবশ্য দারুণ একটি পাল্টা আক্রমন থেকে ভ্যালেন্সিয়াকে সমতায় ফেরান কার্লোস সোলার। এরপর একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যায় রিয়াল। কিন্তু বেনজেমা যেন এদিন পণ করেই মাঠে নেমেছিলেন যে, তিনি এদিন গোল করবেন না!
বিরতির পরে ইন্টার মিলান থেকে এক মৌসুমের জন্য ধারে চলতি সপ্তাহে দলে যোগ দেয়া ফ্রেঞ্চ মিডফিল্ডার জিওফ্রি ভ্যালেন্সিয়াকে এগিয়ে দেন। কিন্তু গত মৌসুমের বেশ কয়েকটি ম্যাচের মত এদিনও রিয়ালকে শেষ মুহূর্তে পরাজয়ের হাত থেকে রক্ষা করেন আসেননিও। স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডারের ফ্রি-কিকে ম্যাচ শেষের সাত মিনিট আগে সমতায় ফেরে রিয়াল। এই ড্রয়ে গত মে মাস থেকে এ পর্যন্ত টানা আট ম্যাচ জয়ের ধারা থেকে সড়ে আসলো গ্যালাকটিকোরা। লা লিগায় এবারের মৌসুমে দুই ম্যাচ শেষে চির প্রতিদ্ব›দ্বী বার্সেলোনার থেকে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে রিয়াল।
গোল না পেলেও দলের পারফর্ম্যান্সে অবশ্য খুশি জিদান, ‘আমি এই ফলাফলে খুশী নই। কিন্তু দলের পারফরমেন্স অসাধারন ছিল। আমাদের আজ আরো গোল পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু এটাই ফুটবল, কোন দল সবসময়ই জিতবে না। আমরা দুই পয়েন্ট হারিয়েছি ঠিকই কিন্তু আমি খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্বিত।’
এদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনালকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে লিভারপুল। রবার্তো ফিরমিনো, সাদিও মানে এবং মোহাম্মদ সালাহ’র ত্রিমুখি আক্রমনে আর্সেনাল ম্যাচেই ভিড়তে পারেনি। তাদের সাথে স্কোরবোর্ডে নাম লেখান ড্যানিয়েল স্টারিজও। এদিনও লিভারপুলের দলে ছিলেন না বার্সেলোনার লক্ষবস্তুতে পরিনত হওয়া ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফিলিপ কুতিনহো।
প্রতিপক্ষের গোলমুখে একটা শটও নিতে পারেনি গানাররা। আনফিল্ডের এই করুণ হার আবারো কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারকে ফেলে দিয়েছে তোপের মুখে। ম্যাচ শেষে অবশ্য ওয়েঙ্গার বলেন, ‘এই হারকে মানসিকভাবে মেনে নেয়া বেশ কঠিন। এটি ছিল খুবই হতাশ করা পারফরমেন্স। একেবারেই ধ্বংসাত্মক। এই ফল পারফর্মেন্সেরই প্রতিফলন। যা বলার মত ছিল না।’ তবে এই কথায় পার পাচ্ছেন না ওয়েঙ্গার। গেল মৌসুম থেকেই তার বিরুদ্ধে দুয়ো দিতে থাকা সমর্থকরা এদিন ছিল তার প্রতি আরো আক্রমনাত্বক। ভক্তদের আবারো তিনি বলেছেন ‘নিজেদের উপর থেকে বিশ্বাস না হারাতে’। ওয়েঙ্গার বলেন, ‘কিছু লোক মনে করে আমিই মনে হয় একমাত্র সমস্যা, সেক্ষেত্রে আমি দুঃখিত। তবে আমাদের ভক্তদের আমি পাশে চাই, এমনকি এমন বাজেভাবে হারের পরও।’ ফরাসি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুই ঘুরে দাঁড়াতে পারি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।