পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নগরীর সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের ফের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। তাদের মদ্যে রক্তাক্ত আহত ৩ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল (রোববার) বেলা ১১টায় কলেজ ক্যাম্পাসে এ সংঘর্ষ হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি উপর্যপুরি ছুরিকাঘাতে আহত ৩ জন হলো- আদনান বাপ্পি, আনোয়ারুল আজিম শাহিন ও এমইউ সোহেল। এদের মধ্যে আনোয়ারুল আজিম শাহিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। মহিউদ্দিন গ্রুপের অনুসারীরা অভিযোগ করেন, ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনাকালে কমার্স ফ্যাকাল্টি এলাকায় আ জ ম নাছির গ্রুপের সমর্থকেরা তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এক পক্ষ অপর পক্ষের প্রতি ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারে। দেশি অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় ৩ জন ছুরিকাঘাতে আহত হয়। তাদের শরীর রক্তে ভেসে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলাকালে ক্যাম্পাসে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা প্রাণভয়ে পালাতে থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। চকবাজার থানার ওসি নুরুল হুদা জানান, সাবেক মেয়র ও বর্তমান মেয়রের অনুসারী ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আহত ৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে ঘটনার পর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজে প্রতিনিয়তই সংঘর্ষে জড়াচ্ছে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। দুই ক্যাম্পাসকে ঘিরে সাবেক দুই মেয়রের অনুসারীদের দু’টি গ্রুপের পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি উপগ্রুপও তৈরী হয়েছে। নানা ইস্যুতে তারা সংঘাত-সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ছে। এসব সংঘর্ষে বহিরাগত সন্ত্রাসী ও অছাত্ররাও অংশ নিচ্ছে। এতে করে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী এ দু’টি কলেজে শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘিত হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।