মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, বিশ্বাসের নামে হিংসা ছড়ানোকে কোনও মতেই বরদাস্ত করা হবে না। তিনি দুই রাজ্যে সংঘটিত হিংসাত্মক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানালেন। গতকাল রোববার নিজের মন কি বাত-এ ওই ডেরা হাঙ্গামা নিয়ে মুখ খুললেন মোদী। এর আগে ডেরা ভক্তদের তান্ডবের ঘটনায় গত শনিবারই সরকারি ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ জানিয়েছে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইর্কো। রাজ্যের পাশাপাশি উঠে এসেছে কেন্দ্রের দায়িত্বের প্রসঙ্গও। আদালতের সমালোচনার মধ্যে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর কথাও। মোদীকে কার্যত তার কর্তব্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে হাইর্কো বলে, উনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির নন। এর পর দিনই, গতকাল রোববার রেডিও অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা, কোনও একজনের প্রতি মানুষের বিশ্বাস থাকতেই পারে। কিন্তু, সেই বিশ্বাসের কারণে হিংসাকে কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। দেশের প্রতিটি মানুষকে আইন মেনে চলতে হবে। রাম রহিম সিংহের ভক্তদের তান্ডবের প্রেক্ষিতে এক দিকে যেমন দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার এই প্রতিক্রিয়া, তেমনই তার নিজের দলের কাছেও বোধহয় পৌঁছে দিতে চাইলেন রাজনৈতিক বার্তা। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত রাম রহিমকে ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে। তার পরই তান্ডব শুরু করেছিল তার সমর্থকরা। হরিয়ানা, পঞ্জাব, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে, রাজধানী দিল্লিতেও হিংসা ছডড়য়ে পড়ে। ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬ জন। আহতের সংখ্যা কয়েক শো। ঘটনার পরই রাম রহিমের সিংহের সঙ্গে বিজেপির সখ্যতার প্রসঙ্গ তুলে সরব হয় বিরোধীরা। তাদের নিশানায় ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদীও। এর মধ্যে কোনও কোনও বিজেপি নেতা রাম রহিমের দোষী সাব্যস্ত হওয়া নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। কেন্দ্র তথা প্রধানমন্ত্রীর অস্বস্তি আরও বাড়ায় শনিবার পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের মন্তব্য। হাঙ্গামার ঘটনায় কেন্দ্র তথা প্রধানমন্ত্রীকেও দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় হাইর্কো। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরেরও প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করে হাইকোর্টের কার্যনির্বাহী প্রধান বিচারপতি এস সিংহ শ্যারনের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ। রাজনৈতিক ফায়দার কথা ভেবেই উত্তেজনা বাড়তে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করে আদালত। স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তি বাড়ছিল কেন্দ্রের। এ অবস্থায় নীরবতা ভঙ্গ করে বিরূপ হাওয়া ঠেকানোর, বা ড্যামেজ কন্ট্রোলের, কাজটা শুরু করলেন মোদী। এবিপি, জি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।