নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শেষ বিকেলে মিরপুরের উইকেটে যে আরো বড় জিজু অপেক্ষা করছে তা টের পাওয়া গিয়েছিল দ্বিতীয় সেশনে ম্যাক্সওয়েলের বলে তামিমের ওই উইকেটের পর। পিচে পড়ে ফনার মত উঁচু হয়ে আসা বলে ব্যাট লাগাতে বাধ্য হন তামিম। অনুমিতভাবেই শেষ বিকেলটা তাই হয়ে থাকল স্পিনারদের। মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনে উইকেট পড়েছে মোট ১৩টা, এর মধ্যে স্পিনাররাই নিয়েছেন ৯টি।
শুরুতে অবশ্য ২ ওভারের এক আগুনঝরা গতির তাণ্ডব দেখান প্যাট কমিন্স। যার বোলিং তোপে ১০ রানে দাঁড়িয়েই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর টাইগার দলের ভারসা হয়ে হাল ধরেন নেই সাকিব আর তামিম। চতুর্থ উইকেটে দু’জুনের ১৫৫ রানের জুটির উপর ভার করে প্রথম ইনিংসে ২৬০ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ১৮ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছে অস্ট্রেলিয়াও। অবস্থাকুলে মনে হচ্ছে তিন দিতনেই না ম্যাচের ফল বেরিয়ে আসে।
প্রথমে ব্যাট হাতে টাইগার ভক্তদের আশাহত করলেন সৌম্য-সাব্বিররা। কোচ হাথুরুসিংহের সবচেয়ে বড় আস্থাভাজন হয়ে দলে থাকা সৌম্য সরকারই ধ্বসের রাস্তাটা দেখিয়ে দিয়ে যান। অথচ টেস্টে তামিমের পরীক্ষিত উদ্বোধনসঙ্গী ইমরুলকে নামানো হয়েছে ওয়ানডাউনে। যা হওয়ার হয়েছেও তাই। শুরু থেকেই অস্বস্তি নিয়ে ব্যাট করতে থাকা সৌম্য কমিন্সের রাইজিং বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। সাব্বির-ইমরুলও উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন স্কোরবোর্ডে রান যোগ না করেই। ১০ রানে দাঁড়িয়েই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এমতাবস্থায় টেকনিক্যালি এগিয়ে থাকা দুই ব্যাটসম্যান মুমিনুল ও মাহমুদুল্লার কথা মনে পড়তেই পারে।
এই ভগ্ন দশা থেকে হাল ধরেন সাকিব আর তামিম। চতুর্থ উইকেটে দু’জনের ১৫৫ রানের জুটিতে ধ্বস সামাল দেয় স্বাগতিকরা। টেস্টে যা চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানে জুটি। কিন্তু ৮ ওভারের ব্যবধানে বিদায় নেন দু’জনই। ম্যাক্সওয়েলের বাউন্স বল পড়তে না পেরে খোঁচা দিয়ে ওয়ার্নারকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম। এর আগে ক্যারিয়ারের ৫০তম ম্যাচটি সাজান ১৪৪ বলে ৫ চার ও ৩ ছয়ে ৭১ রান করে। সাকিব সেঞ্চুরি মিস করেছেন ১৬ রানের জন্যে। তার ১৩৩ বলে ৮৬ রানের ইনিংটি ছিল ১১টি চারে সাজানো। লায়নের লাফিয়ে ওঠা বলে স্লিপে ক্যাচ দেন সাকিব। খানিক পরে মুশফিকও বিদায় নেন মাত্র ১৮ রান করে। দলও পড়ে যায় আবারো বিপর্যয়ের মুখে। এরপর ধ্বসের সামনে বাধ দিতে পারেননি দুই বছর পর দলে ফেরা নাসির হোসেনও। ১০৫ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে ৭৮.৫ ওভারে ২৬০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। সাত উইকেটই যায় স্পিনারদের দখলে। লায়ন ও আগার নেন ৩টি করে উইকেট, বাকিটা ম্যাক্সওয়েলের।
শতক না পলেও ক্যারিয়ারের ৫০তম টেস্টে অসাধারণ এক রেকর্ডের মালিক হয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। টেস্টে দ্রুততম ৩৫০০ রান ও ১৫০ উইকেটের মালিক এখন সাকিব। এক্ষেত্রে তিনি পেছনে ফেলেছেন গ্যারি সোবার্স ও ইয়ান বোথামকে। দু’জনেই এই রেকর্ড গড়েছিলেন ৬৩ টেস্টে। টেস্টের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিসের লেগেছিল ৬৯ টেস্ট।
জবাবে শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন দুই অজি ওপেনার ওয়ার্নার ও রেনশ। মিরাজের বলে প্রথমে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়া ওয়ার্নার পরের বলেই ফেরেন এরবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে। পরের ওভারে উসমান খাজাকে রান আউট করেন মুশফিক-সৌম্য। একই ওভারে নাইটওয়াচ ম্যান লায়নকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে আটকে দেন সাকিব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।