নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
‘বহুল কাক্সিক্ষত’ অস্ট্রেলিয়া সিরিজের শুরুতেই নির্বাচকদের জন্য একটা ধাক্কা হয়ে এসেছিল মিরপুর টেস্টে দল ঘোষনার পর মুমিনুল কান্ড। পরের ঞটনা সকলেরই জানা। সেই ধাক্কার রেশ কাটেনি এখনও! অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের একাদশ নিয়ে রীতিমতো ‘ঘুম হারাম’ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের! ভোররাতে টুইট করে সেটি জানিয়েছেন তিনি নিজেই। টুইটারে হাথুরু জানিয়েছেন, ক্রিকেটারদের নিয়ে মানুষের ‘আবেগ’ নাকি সঠিক ‘কম্বিনেশন’- দল নির্বাচন নিয়ে এমন সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন তিনি!
হাথুরু লিখেছেন, ‘উভয়সংকটে পড়েছি। একটি জাতির আবেগ নাকি টিম কম্বিনেশন! নির্ঘুম রাত।’ টেস্ট সিরিজের আগে হাথুরু কেন এমন টুইট করলেন, সেটি অজানা নয় কারওরই। প্রথম টেস্টে মুমিনুল হকের স্কোয়াডে না থাকা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া হয়েছে চারদিকে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দলে জায়গা হয়েছে মুমিনুলের। এবার বাংলাদেশ কোচের সামনে একাদশ সাজানোর চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ উতরে যেতে তাঁর যে গলদঘর্ম অবস্থা, সেটিই উঠে এসেছে টুইট বার্তায়।
বিষয়টা উঠল গতকাল মুশফিকুর রহিমের সংবাদ সম্মেলনেও। বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক উত্তরও দিলেন রসিকতার সুরে, ‘টুইট আমি কমই অনুসরণ করি। ভোর চারটা তো আরও অসম্ভব ব্যাপার। হ্যাঁ, হতে পারে। যে ১৪ জন স্কোয়াডে আছি, সেখান থেকে যেকোনো ১১ জনকে নিয়ে একাদশ সাজানো হবে। কোচের জন্য এমন সমস্যা খারাপ কিছু নয়। যদি কেউ চোটে পড়ে বা সমন্বয়ের কারণে বাদ পড়ে, তবে হাতে ভালো বিকল্প থাকবে। কম দলেই এমন থাকে।’
দেশের অন্যতম সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান মুমিনুল। নিখুঁত শৈলী আর ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ের কারণে সমর্থকদের কাছে পেয়েছেন দেশের একমাত্র টেস্ট স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যানের খেতাব। সেই মুমিনুল ১ ৪ জনের দলে জায়গা পেলেও, একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। ক্রিকেট পাড়ায় গত কয়েকদিন চাউর হওয়া খবর অনুযায়ী, প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের পছন্দের তালিকায় না থাকার কারণেই নিজের জন্য সবচেয়ে যোগ্য দলে ব্রত্য থাকতে হয়েছিল মুমিনুলকে। সেই হিসেবে মুমিনুলের একাদশে থাকা-না থাকাটাও এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে নিছক অনুমানের একটি বিষয় ।
তবে মুমিনুলের অভিজ্ঞতা, ধৈর্য আর ফরম্যাটের বিচারে মাটি কামড়ে উইকেটে বসে থাকার একাগ্রতার কারণে নির্দ্বিধায় হয়ে উঠতে পারেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের প্রথম ও সেরা পছন্দ। আবির্ভাবেই রান ফোয়ারা ছুটিয়ে যেভাবে বড় মঞ্চে জায়গা করে নিয়েছিলেন, সেটি সুনিপুণ দক্ষতার সাথে ধরেও রেখেছিলেন মুমিনুল। টানা এগারো ম্যাচের প্রতিটিতে অন্তত একটি ফিফটি হাঁকিয়ে ইতিহাসের পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে অনন্য কীর্তি গড়েছিলেন, ‘ব্র্যাডম্যানীয়’ গড় নিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন ক্রিকেট-বিশ্বকে। শুধু তাই নয়, টেস্ট ক্রিকেটে ‘নাজুক’ পরিচয় নিয়ে বড় হওয়া বাংলাদেশ দলের খোল পাল্টে প্রতিপক্ষদের ভয় পাওয়ানোর অভ্যাসটা গড়ে দেওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল মুমিনুলেরই।
টেস্ট মেজাজে খেলার অভ্যস্ততার কারণে সীমিত ওভারের দলে জায়গা হারিয়েছিলেন। কোথাও ভ্রমণ করতে ভ্রমণ-গন্তব্য সম্পর্কে স্বল্প জ্ঞান রাখা ভ্রমণকারীরা গাইডের দ্বারস্থ হন। মুমিনুল হতে পারেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের সেই ‘গাইড’। যার অর্থ হচ্ছে- পরিসংখ্যানের ঊর্ধ্বে উঠে মুমিনুল হক টাইগারদের ডেরায় এনে দিতে পারেন মুঠো মুঠো সাহস। মুমিনুলের একাদশে থাকাটা তাই বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ- নিঃসন্দেহে, নির্দ্বিধায়!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।