নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : সাফ অনুর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে চোখ বাংলাদেশের কিশোর ফুটবলারদের। টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারা। এ খেতাবটা ধরে রাখতে চায় বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৫ দল। আজ সেমিফাইনালে লাল-সবুজরা খেলবে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে। কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ সময় বিকাল সোয়া তিনটায় শুরু হবে ম্যাচটি।
টুর্নামেন্টের গ্রæপ পর্বে বাংলাদেশ টানা দু’ম্যাচ জিতে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ‘এ’ গ্রæপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ চারে জায়গা পেয়েছে তারা। সেমিফাইনালে জিতে টুর্নামেন্টের টানা দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলতে এখন মুখিয়ে আছে বাংলাদেশ কিশোর দল। অন্যদিকে ‘বি’ গ্রæপ রানার্সআপ নেপালেরও লক্ষ্য ফাইনাল। শক্ত প্রতিপক্ষ মানলেও তারা নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশকে হারাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। হয়তো পরিচিত পরিবেশ ও নিজেদের হাজার হাজার সমর্থক পেয়ে কিছুটা এগিয়ে থাকবে নেপাল। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে যে বাংলাদেশ জ্বলে উঠতে পারে এটাও তাদের চিন্তায় রয়েছে। আনফা কমপ্লেক্সে কয়েক হাজার নেপালী সমর্থকের চাপে বাংলাদেশ থেমে থাকবে এমন আতœবিশ্বাসী কোচ পারভেজ বাবু। ম্যাচের আগে গতকাল তিনি বলেন,‘আমি আশাবাদি ছেলেরা জয়ের ধারাবাহিকতায় থাকবে। ভারত-নেপাল ম্যাচটি মাঠে বসে আমরা দেখেছি। নেপালের সক্ষমতা ও দুর্বলতা সম্পর্কে আমাদের ধারণা রয়েছে। যদিও নিজেদের মাঠে তারা এগিয়ে থাকবে। স্বাগতিক হিসেবে কিছুটা সুবিধা পাবে। কিন্তু আমার চোখ ফাইনালে। আমি মনে করি আমার দলের সামর্থ্য আছে ফাইনালে খেলার।’ তিনি আরও বলেন,‘দলে কোন ইনজুরি বা কার্ড সমস্যা নেই। আমি মনে করি ছেলেরা স্বাভাবিক খেলাটাই খেলবে সেমিফাইনালে। চ্যাম্পিয়নদের মতই জ্বলে উঠে জয় তুলে নেবে।’
অন্যদিকে নেপালের কোচ সুনিল শ্রেষ্ঠা বলেন,‘আমরা নিজেদের মাঠে খেলব বলে কিছুটা এগিয়ে থাকবো। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না যে বাংলাদেশ খুবই শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে আমার ছেলেদের সতর্ক হয়ে খেলতে হবে। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততে হলে আমাদের সেরাটাই মাঠে ঢেলে দিতে হবে। নেপালের মাঠে এমন টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলা ছাড়া বিকল্প কোনো ভাবনা নেই আমার।’ তিনি যোগ করেন,‘ আমার দলের সব খেলোয়াড়ই সুস্থ আছে। কোন কার্ড সমস্যাও নেই। ছেলেরা মুখিয়ে আছে জয় পেয়ে ফাইনালে খেলতে।’
বাংলাদেশ দলের অন্যতম ভরসা ফরোয়ার্ড লাইন। দুই ম্যাচে সাত গোল করেছে লাল-সবুজরা। একটি গোলও হজম করেনি। নেপালও দুই ম্যাচে সমান গোল করছে। তবে তাদের জালে দু’বার বল প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশের দুই ফরোয়ার্ড ফয়সাল ও মিরাজ মোল্লা দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। দু’জন মিলে করেছেন পাঁচ গোল। তারা আজ জ্বলে উঠলে বিপদ আছে নেপালের।
২০১৩ সালে জাতীয় দল সাফ চ্যাম্পিয়নশীপে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছিল। ২০১৫ সালে সাফ অনুর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে গ্রæপ পর্বে ২-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। অনুর্ধ্ব-১৫ পর্যায়ে ফয়সাল-মিরাজরা কি করেন সেটাই এখন দেখার বিষয়। নির্ধারিত সময়ে খেলা ড্র থাকলে সরাসরি টাইব্রেকার হবে। একই সময় কাঠমান্ডুর হালচক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ভারত ও ভূটানের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।