পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দেশের প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে ৬০ শতাংশ মানুষের ব্যাংক হিসাব রয়েছে। তবে ১০০ শতাংশ মানুষকে ব্যাংকিং এর আওতায় আনতে চায় সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে, দেশে সব ব্যাংকে ৮০ লাখ ৪০ হাজার হিসাব রয়েছে। তবে অনেকেরই একাধিক হিসাব থাকতে পারে তাই হিসাবধারী মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি। বর্তমানে দেশে প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের সংখ্যা ১১ কোটি সে হিসেবে প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ ব্যাংকিং সেবার আওতায় রয়েছে। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, আমরা শতভাগ মানুষকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় চাই।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দেশের সুবিধা বঞ্চিতদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে চালু হয়েছে এজেন্ট ব্যাংকিং। প্রতিনিয়তই বাড়ছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক সংখ্যা। পাশাপাশি বাড়ছে লেনদেনের পরিমাণও। গত জুন শেষে এজেন্ট ব্যাংকিং হিসাব খুলেছেন ৮ লাখ ৭২ হাজার ৮৬৫ গ্রাহক। বাংলাদেশ ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের কার্যক্রমের ওপর ত্রৈমাসিক (এপ্রিল-জুন ২০১৭) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ১২টি ব্যাংক এ সেবা প্রদান করছে। ব্যাংকগুলোর এজেন্টের সংখ্যা ১ হাজার ৮৪৭টি। এ ছাড়া কেন্দ্র রয়েছে ৩ হাজার ২২৪টি। এ সময়ে ৮ লাখ ৭২ হাজার ৮৬৫ গ্রাহক ব্যাংক হিসাব খুলেছেন। এর মধ্যে ৬ লাখ ৫ হাজার ৬০০ পুরুষ এবং ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৬৫ জন নারী গ্রাহক রয়েছেন। এজেন্টদের মাধ্যমে জুন পর্যন্ত ৮৯০ কোটি ১৯ লাখ টাকা রেমিট্যান্স এসেছে। এ হিসাবে জমার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৫১ কোটি ২১ লাখ টাকা।
জানা গেছে, কোনো ব্যাংকের শাখা নেই এমন পল্লী একালাগুলোতে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি বিধিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি এক সার্কুলার জারি করে গ্রামের পাশাপাশি শহরাঞ্চলেও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের অনুমোদন দেয়া হয়। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, অ্যাকাউন্টে টাকা জমা ও উত্তোলন, টাকা স্থানান্তর (দেশের ভিতর), রেমিট্যান্স উত্তোলন, বিভিন্ন মেয়াদি আমানত প্রকল্প চালু, ইউটিলিটি সার্ভিসের বিল পরিশোধ, বিভিন্ন প্রকার ঋণ উত্তোলন ও পরিশোধ এবং সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় সরকারি সকল প্রকার ভুর্তকি গ্রহণ করা যায়। এজেন্টরা কোনো চেক বই বা ব্যাংক কার্ড ইস্যু করতে পারেন না। এজেন্টরা বিদেশ সংক্রান্ত কোনো লেনদেনও করতে পারেন না। এছাড়া এজেন্টদের কাছ থেকে কোনো চেকও ভাঙানো যায় না। এজেন্টরা মোট লেনদেনের ওপর কমিশন পেয়ে থাকেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এজেন্টের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলা ও টাকার স্থিতির দিক থেকে শীর্ষে অবস্থান করছে বেসরকারি খাতের ডাচ-বাংলা ব্যাংক। এ সময়ে ব্যাংকটি নিয়োগ দিয়েছে ৪৪২ এজেন্ট। চালু করেছে ১ হাজার ৪৫৪ টি আউটলেট। ব্যাংকটির নিয়োগপ্রাপ্ত এজেন্টদের অধীনে খোলা হয়েছে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ১৮৫টি অ্যাকাউন্ট। এসব অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে ২৮৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকার আমানত। এজেন্টের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক এশিয়া। তবে এজেন্ট নিয়োগের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে তারা। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১৯২ এজেন্ট নিয়োগ দিয়েছে ব্যাংকটি। ১ হাজার ২৩৮টি আউটলেট চালুর মাধ্যমে ব্যাংক এশিয়া ২ লাখ ১ হাজার ১১১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চালু করেছে। এসব অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে ১৪০ কোটি ৯৬ লাখ টাকার আমানত।
এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করা অন্য ব্যাংকগুলো হলো— আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক। এছাড়া নতুন প্রজম্মের মধুমতি ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকও এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।