Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ম্যাক্সওয়েলের সাকিব-মুস্তাফিজ স্তুতি

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশের সেরা বিজ্ঞাপন তিনি। বাংলাদেশের সেরা পারফরমারও। যে কোনো সিরিজের আগে প্রতিপক্ষের ভাবনার একটা বড় অংশ জুড়ে থাকেন সাকিব আল হাসান। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। সিরিজ শুরুর আগে গেøন ম্যাক্সওয়েলের কণ্ঠে শোনা গেল সাকিব বন্দনা।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট হতে যাচ্ছে সাকিবের ৫০তম টেস্ট। বাংলাদেশ টেস্ট খেলার সুযোগ পায় তুলনামূলক অনেক কম। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেই যেমন সাকিব খেলবেন প্রথমবার। এর পরও র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে প্রথমবার টেস্টের শীর্ষে ওঠার পর তিনিই সবচেয়ে বেশি সময় ধরে রেখেছেন শীর্ষে অবস্থান।
গতকাল মিরপুরে অনুশীলনের আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ম্যাক্সওয়েল বললেন সেসব কথাই। বুঝিয়ে দিলেন, অস্ট্রেলিয়া আলাদা করেই ভাবছে সাকিবকে নিয়ে, ‘সাকিব অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। অনেক দিন ধরেই বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার। অসাধারণ ক্রিকেটার সে।’
সাকিব যেমন অবদান রাখেন ব্যাটে-বলে, বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে মাক্সওয়েলের কাছ থেকেও তেমন কিছু চান অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্মিথ। তবে দুজনের সরাসরি তুলনায় যেতে চাইলেন না ম্যাক্সওয়েল, ‘আমি আসলে মূলত ব্যাটসম্যান, আর সে সম্ভবত জেনুইন অলরাউন্ডার। আমার আগে চেষ্টা থাকবে রান করা। তার পর দলের প্রয়োজন হলে অফ স্পিন দিয়ে দলকে সহায়তা করা।’
শুধু সাকিবই নয়, ম্যাক্সওয়েলেরে চোখে বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারণে সহায়ক হতে পারে মুস্তাফিজুর রহমানও।
৪ বল, ২ ছক্কা, ১৩ রান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ম্যাক্সওয়েল ও মুস্তাফিজে মুখোমুখি লড়াইয়ের ফল এটি। তবে ছোট্ট সেই একমাত্র দ্বৈরথে জিতলেও মুস্তাফিজের বোলিং নিয়ে ভালো ধারণা আছে ম্যাক্সওয়েলের। দেখেছেন আইপিএলে। ধারণা আছে বলেই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানের মতে, মুস্তাফিজ এখনও অসাধারণ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাত্র তিনবারই বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার সুযোগ হয়েছিল ম্যাক্সওয়েলের। তার একটি ভেস্তে গেছে বৃষ্টিতে, গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। আর দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছেন দুটি ম্যাচ। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মিরপুরে করেছিলেন ৫ রান। গত বছর ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৫ বলে ২৬।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুর ওই ম্যাচেই মুখোমুখি হয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল ও মুস্তাফিজ। স্পেলের শেষ ওভারে শন মার্শকে আউট করেছিলেন মুস্তাফিজ। তবে ওই ওভারেই শেষ চার বল খেলেন ম্যাক্সওয়েল। মারেন দুটি ছক্কা, শেষ বলে নেন সিঙ্গেল।
সেই ম্যাচে মুস্তাফিজকে পাত্তা না দিলেও সে বছরই আইপিএলে ম্যাক্সওয়েল দেখেছেন মুস্তাফিজের দাপুটে বোলিং। মুস্তাফিজের স্কিল নিয়েও আছে দারুণ ধারণা। বাংলাদেশ নিয়ে বলতে গিয়ে তাই ম্যাক্সওয়েল টেনে আনলেন মুস্তাফিজকেই, ‘মুস্তাফিজুর ব্যতিক্রমী একজন বোলার। আইপিএলে ওর সাড়া জাগানো মৌসুমে ওর বোলিং খেলেছি আমরা। মনে হচ্ছে বাড়তি বোলিং ভারের কারণে ওর পেস কিছুটা কমে গেছে। তবে এখনও সে অসাধারণ বোলার, যার সামর্থ্য আছে সুইং করানোর। আর ¯েøায়ার বলটা তো অবিশ্বাস্য। সে প্রথাগত বাঁহাতি পেসার নয়। ওর কবজি বেশ নমনীয়, যে কারণে শেষ মুহূর্তে ‘ফ্লিক’ করতে পারে। বাউন্সার হোক বা ¯েøায়ার বল, দেখতে হুবহু একই মনে হয়। এটি পড়া বেশ কঠিন।’
ম্যাক্সওয়েল যখন দেখেছেন, তখনকার সঙ্গে এই মুস্তাফিজের অবশ্য একটু পার্থক্য আছে। কাঁধের অস্ত্রোপচারের পর পেসটা যেমন কমেছে, আত্মবিশ্বাসও ঠিক আগের জায়গায় যায়নি। তবে বাংলাদেশ চাইবে, ম্যাক্সওয়েলের ভাবনার মতো দুর্বোধ্য রূপেই আবির্ভূত হবেন মুস্তাফিজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ