পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ‘বিষধর সাপ নিয়ে খেলা করা’র সঙ্গে তুলনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, মওদুদ সাহেব চরম মূল্য দিতে হবে আপনাদের। আজকে বিষধর সাপ নিয়ে আপনারা খেলা করছেন। এই সাপের ছোবল থেকে আপনাদের রক্ষা নেই। যেই সাপ নিয়ে খেলছেন সেই সাপের ছোবলে আপনাদের করুন পরিণতি হবে।
গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তনে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে আজকে যে বিষাক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, এর উস্কানি দাতা হচ্ছে বিএনপি। তারাই উস্কানি দিচ্ছে। তারা ভাবছে বাংলার মাটিতে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে তারা আরেকটা ১/১১ সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশের মাটিতে আর কোন ১/১১ ইনশাল্লাহ হবে না।
তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব দিল্লী বহু দুর, সে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। তাই বিদ্বেষে কথা বলছেন। অন্ধ আক্রোশ নিয়ে কথা বলছেন। শক্তি কমে আসছে তো, তাই মুখের বিষ উগ্র তাদের। মওদুদ সাহেব ধীরে, ফখরুল সাহেব ধীরে; স্বপ্ন দেখছেন তো। বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের ক্ষমতার স্বপ্নের সঙ্গে নেই। অচিরেই এই খোয়াব, দিবা স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবে।
বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ই আগস্ট নিয়ে, ২১ আগস্ট নিয়ে আপনারা বলছেন এটা জাতীয় দূর্ঘটনা। ইতিহাসের কি নির্মম তামাশা, সত্যের সঙ্গে কি নির্মম তামাশা। শেখ হাসিনা ২১ আগস্টে বেঁচে গেছেন এটাই আপনাদের জন্য দূর্ঘটনা।
কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব, মওদুদ সাহেব গত সাড়ে আট বছরে কখনও আমাদের পথ পুস্প বিছানো ছিলো না। আমরা সব সময় কন্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করছি। তাদের রক্তের পিপাসা এখনও শেষ হয় নি। তারা পথ খুঁজছে। একটা সুযোগ পেলেই ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করবে।
দেশ বিদেশে বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণ কেন বিএনপির পাশে নেই, এই জন্য প্রতিশোধ নিতে তারা এখন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লেগেছে। দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্র সফল করতে দেশে-বিদেশে বৈঠক করছে।
আদালতের রায় বিএনপিকে কখনও ক্ষমতায় বসাবে না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে তারা ধরেই নিয়েছে বিজয়ের পথ বুঝি সুগম হলো। ক্ষমতা হারানোর মধুর সিংহাসন বসার রঙ্গিন খোয়াব কখনও পূর্ণ হবে না। আপনাদের দিবা স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবে। আদালতের রায় আপনাদের ক্ষমতায় বসাবে না।
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে তারা আরেকটি ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করছে। তারা হয়তো ভাবছে এই সরকারের রক্ষা নেই, ভেবেছে তাদের সুবর্ণ বিজয় সমাগত। ক্ষমতার ময়ূরসিংহাসন তাদের জন্য অপেক্ষা করছে। পিলখানার হত্যাকান্ডের পরও তারা এমনটি ভেবেছিল। কিন্তু এমন অবাস্তব স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি, হবেও না। তাদের দিবা-স্বপ্নের ফাঁপা বেলুন অচিরেই চুপসে যাবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি রকিবুর রহমান। আর বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরী।
প্রধান বিচারপতিকে পদ থেকে সরানোর গুঞ্জনের খবর বিএনপির ডিস্ট্রিবিউশন
এদিকে গতরাতে শিল্পকলা একাডেমীতে আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক উপ-কমিটির শোক দিবস উপলক্ষে ‘তুমি আছো বাংলার হৃদয় জুড়ে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, বিচারপতি এস কে সিনহাকে ‘অসুস্থ বানিয়ে’ প্রধান বিচারপতির পদ থেকে সরানোর গুঞ্জনের খবর বিএনপির ডিস্ট্রিবিউশন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন গুজব-গুঞ্জনের কারখানা। গুজব-গুঞ্জনে বাংলাদেশের বাতাস এখন ভারি। সর্বশেষ গুজব হল প্রধান বিচারপতিকে অসুস্থ বানিয়ে সরিয়ে দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।
‘এটা স্রেফ গুজব, স্রেফ গুঞ্জন। এর প্রডিউসার বিএনপি, ডিরেক্টর বিএনপি, ডিস্ট্রিবিউটর বিএনপি। এসব বিএনপি ম্যানিফেকচারেড গুজব। তারা দিশেহারা হয়ে আবোল-তাবোল বকছে। গুজবের পর গুজব ছড়াচ্ছে। এসব বেরুচ্ছে বিএনপি ম্যানুফেকচারিং কারখানা থেকে।
এই গুজবের সাথে আওয়ামী রীগের চিন্তার কোন মিল নেই দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এসব তারাই ছড়াচ্ছে। এসব গুজবের সাথে আমাদের চিন্তার কোন মিল নেই। আওয়ামী লীগ বিএনপি নয়, আমরা ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করি না, চক্রান্তের শিকার হই’।
ষোড়শ সংশোধনীর পর্যবেক্ষণে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখল অবৈধ ঘোষণা নিয়ে বিএনপি নিরব কেন এমন প্রশ্নও রাখেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনীর পর্যবেক্ষণে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখলকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
‘অথচ এই বিষয়টি নিয়ে বিএনপি নিরব কেন? এই নিরবতাই সম্মতির লক্ষণ। তারা মেনেই নিয়েছে তখনকার মেজর জিয়ার ক্ষমতা দখল অবৈধ, তাই তারা সংশোধনীর পর্যবেক্ষণে কোথায় কোথায় আওয়ামী লীগের দুর্বলতা আছে সেটাকে ইস্যু বানিয়ে রাজনীতি করছে।
তারা গত আট বছরে কোন আন্দোলনে সফল না হতে পেরে তারা ভাবছিল এই (ষোড়শ সংশোধনী) ইস্যুতে সফল হবেন। কিন্তু তাদের রঙিন স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে’।
এর আগে আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ থেকে পাঠ করেন নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, আবৃত্তি করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, ভাস্বর বন্দোপদ্যায়, হাসান আরিফ, শিমুল মোস্তফা। সঙ্গিত পরিবেশন করেন, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, সুজিত মোস্তফা, ফেরদৌস ওয়াহিদ।
আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কবি কাজী রোজি, আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।