Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তামীমদের আগ্রাসী ব্যাটিংই অ্যাগারদের সুযোগ!

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

টি-২০’র ধুমধাড়াক্কা যুগে টেস্টের ব্যাটিংয়ে লেগেছে মারমুখী রঙ। সাদা পোষাকে আগ্রাসী ব্যাটিং মানেই রোমাঞ্চকর এক অভিযান। যে অভিযান সফল হলে ফলটা হয় মধুর। নইলে মেনে নিতে হয় করুণ পরিণতি। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদেরও সেই পরিণতি উপহার দিতে চান অ্যাশটন অ্যাগার। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রথম টেস্ট খেলেন ২০১৩ সালের ১০ জুলাই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ১৮ জুলাই ঐ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটিই সাদা পোষাকে তার সর্বশেষ ম্যাচ। বাঁ-হাতি এই অজি অফ-স্পিনার এবার রয়েছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডে। গতকাল শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলনের পূর্বে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে তামিম-সৌম্যদের আগ্রাসী ব্যাটিংকেই কাজে লাগানোর ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন অ্যাগার।
তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের সঙ্গে ইমরুল কায়েস, বাংলাদেশের টপ অর্ডারে তিনজনই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। বাঁহাতি স্পিনার অ্যাগারের কাজটি তাই একটু কঠিন। তবে শট খেলতে পছন্দ করেন তিন জনই। মিডল অর্ডারে সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমানরাও খেলেন আগ্রাসী ঢংয়ে। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের এই ধরনটিই ‘কাজে’ দিতে পারে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে, ‘বাঁহাতি স্পিনে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানরা স্পিনের সঙ্গে ব্যাট চালাবে। বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে আমার কাজটি কঠিন। তবে ওরা সাধারণত বেশ আগ্রাসী ব্যাটসম্যান। চ্যালেঞ্জটি তাই দারুণ কঠিন। তবে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে প্রায়ই উইকেট হারানোর ভয় থাকে। এটি তাই আমাদের পক্ষেও কাজ করতে পারে।’
অ্যাগারের কথাতেই পরিষ্কার, বাংলাদেশকে নিয়ে ‘হোমওয়ার্ক’ সেরে নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এই বাঁহাতি স্পিনার সেটি লুকিয়েও রাখলেন না। তবে পাশাপাশি জানিয়ে রাখলেন, নিজেদের নিয়েই বেশি ভাবছে অস্ট্রেলিয়া, ‘গোটা দুই টিম মিটিং হয়েছে আমাদের। আমাদের বেশি মনোযোগ নিজেদের দিকেই। নিজেদের স্কিল নিয়েই ভাবছি; কিভাবে স্কিল দিয়ে ওদের হারানো যায়। ওদের ক্রিকেটারদের বিশ্লেষণ করেছি আমরা, আলোচনা করেছি কী করতে চাই। তবে আমাদের মূল ভাবনা নিজেদের নিয়েই। আমাদের নিয়ন্ত্রণে যা আছে, তা ঠিকটাক করতে চাই।’
টেস্ট ক্যারিয়ারে যদিও এখন পর্যন্ত মাত্র ২টি উইকেট নিয়েছেন, তবুও এই স্পিনার করে দেখানোর সুযোগ পাবেন খুব শিগগিরই। ২৭ আগস্ট শুরু হতে যাওয়া মিরপুর টেস্টে নাথান লায়নের স্পিন জুটি হবেন এই বাঁহাতি স্পিনারই, ‘উপমহাদেশের কন্ডিশনে স্পিনাররা বেশ সফল আর তাই চার বছর পর তার টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়ার বেশ সম্ভবনা রয়েছে।’ দলে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করতে চান এই অলরাউন্ডার, ‘যদি একাদশে সুযোগ পাই তবে ভালো কিছু করতে চাই। দলে আমার অবস্থানকে পাকা করতে চাই। আর চার বছর পর আমার টেস্ট দলে ফেরাটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ