নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ফুটবলের দলবদল
লিওনেল মেসির দলবদল নিয়ে যত গুঞ্জন খবরের পাতায় এ পর্যন্ত ছাপা হয়েছে, এর অর্ধেরকটাও অন্য কারো ক্ষেত্রে হয়েছে কিনা সন্দেহ। সেই গুঞ্জনের উপসংহারটাও সবার জানা। বার বার সেই গুঞ্জনে পানি ঢেলে দিয়েছেন মেসি নিজেই। কিন্তু এবার মনে হয় ব্যাপারটা অন্যরকম হতে চলেছে! ইউরোপিয়ান ফুটবল পাড়ার জোর গুঞ্জন এমনই।
বার্সেলোনার বেধে দেওয়া ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর বিশাল রিলিজ ক্লজ মিটিয়ে আর্জেন্টাইন তারকাকে কিনে নিতে পারে যে কোন দল! অর্থের এই বিশাল অঙ্ক হয়তো এখন আর কারো কাছে অসম্ভব ঠেকবে না। মেসিরই ক্লাব সতীর্থ নেইমারকে দলে ভেড়াতে পিএসজির ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিশাল রিলিজ ক্লজ মেটানোর পর এমনটা মনে হতেই পারে। তাছাড়া এবারের নামটির সাথে যে জড়িয়ে ফুটবল জাদুকরের তকমা।
এক্ষেত্রে কি হতে যাচ্ছে মেসির নতুন ঠিকানা? উত্তরটাও হয়তো অনেকের জানাÑ পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। যার অধীনে ২০০৮ থেকে ২০১২ পর্যন্ত মধুরতম সময় পার করেছেন মেসি।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনা মেসির দলবদলের গুঞ্জনকে সামনে নিয়ে এসেছে। প্রথমত, পরশু এভারটনের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করার ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে গার্দিওলার একটি মন্তব্য। স্প্যানিশ কোচ বলেন, ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর রিলিজ ক্লজ মিটিয়েও মেসিকে কিনে নেওয়া সম্ভব। তবে সেই দলটি ম্যানসিটি কিনা সে ব্যাপারে পরিষ্কার কোন উত্তর দেননি গার্দিওলা, ‘জানি না, যদি কেই চায় এবং অর্থ থাকে তাহলে কিনতে পারে।’
দ্বিতীয়ত, বার্সেলোনার সাথে মেসির চুক্তি নবায়ন না হওয়াটা। গত জুলাইয়ে বার্সা সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ ঘোষণা দিয়েছিলেন, হানিমুন থেকে ফিরেই নতুন চুক্তিতে সই করবেন মেসি। এমনটিও জানিয়েছিলেন, মেসির সঙ্গে ক্লাবের নতুন চুক্তির মেয়াদ হবে ২০২১ সাল পর্যন্ত। বেতন সাপ্তাহিক এক মিলিয়ন ইউরোরও বেশি। কিন্তু সেই সময় পেরিয়ে গেছে অনেক আগে। এখনো চুক্তিপত্রে কলম চালনা করেননি মেসি। এই বিষয়টিই জন্ম দিচ্ছে নতুন অলোচনার।
বার্সার সাবেক সভাপতি পদপ্রার্থী আগুস্তো বেনেদিতোও এ নিয়ে চিন্তিত। তিনি মনে করেন, নেইমারের মত মেসিকেও রিলিজ ক্লজের অর্থ মিটিয়ে দলে টেনে নিতে পারে যে কোন ক্লাব, ‘এখনো চুক্তিপত্রে সই করেননি মেসি, আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, এটা চিন্তার বিষয়।’
বার্সার সাথে মেসির বর্তমান চুক্তি ২০১৮ সাল পর্যন্ত। জানুয়ারীর দলবদলের বাজারে মুক্ত হবেন তিনি। এ কারণেই হয়তো নতুন চুক্তিতে সই করছেন না। এক্ষেত্রে এটা স্পষ্ট যে, বার্সায় তিনি সুখে নেই, ফলে তিনি ক্লাব ছাড়তে চান। বেনেদিতো বলেন, ‘এটা অসম্ভব নয় (মেসির ক্লাব ছেড়ে যাওয়া)।’ কারণটাও স্পষ্ট করে বলেন, ‘তার সই না করার মানে হলো ক্লাবের সাথে তার পরিষ্কার বোঝাপড়া না হওয়া।’
বার্সার প্রতি তার সবচেয়ে বড় অসন্তুষ্টি বন্ধু নেইমারকে ধরে রাখতে না পারা নিয়েও। তাছাড়া নেইমারের বদলি হিসেবে যোগ্য কোন খেলোয়াড়ও এখনো কিনতে পারেনি বার্সা। বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ফরাসি তরুণ ফরোয়ার্ড উসমান দেম্বেলে ও লিভারপুল থেকে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফিলিপ কুতিনহোকে দলে টানতে ব্যর্থ হয়েছে কাতালান ক্লাবটি। সব মিলে বার্সার বর্তমান দলও নাকি মেসির মনপুত নয়। এর স্বপক্ষেই কথা বলে দুদিন আগে নেইমারের ফাঁটানো বোমাটি। বার্সার কর্তা ব্যক্তিদের একহাত নিয়ে ব্রাজিলিয়ান তারকা বলেন, ‘বার্সার মত একটি ক্লাবের কর্তাসনে তাদের বসার যোগ্যতা নেই।’ সেখানে তার সাবেক সতীর্থরাও সুখে নেই বলে মন্তব্য করেন নেইমার।
এদিকে আরেক বোমা ফাঁটিয়েছে ডেইলি মিরর। একটি পত্রিকার বরাত দিয়ে তারা জানিয়েছে, গেল সপ্তাহে বার্সেলোনার এক রেস্টুরেন্টে মেসির প্রতিনিধির সাথে সাক্ষাত করেছেন ম্যান সিটির প্রতিনিধিরা। বার্সার এক সুত্রের বরাত দিয়ে মিরর জানায়, ‘সত্যিই মেসি ক্লাব ছাড়ার কথা ভাবছেন। এজন্য তিনি প্রস্তুত, তবে সে যে ধরনের খেলোয়াড় তাতে সিদ্ধান্ত নিতে একটু সময় তো নেবেনই।’ কিছুদিন আগে কাতালান পত্রিকা মুন্ডো দিপোর্তিভো জানায়, ৫ বারের বর্ষসেরা বার্সা ছেড়ে তার সাবেক গুরু গার্দিওলার সাথে সিটিতে যোগ দিচ্ছেন।
সব গুঞ্জনের সঠিক উত্তর পাওয়া যাবে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যেই। ঐ দিনই শেষ হবে চলতি ফুটবলার দলবদলের বাজার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।