মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি ট্রাম্পের এ অভিযোগ নাকচ করা হয়েছে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে। খবরে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের পাশে না থাকলে পাকিস্তানকে অনেক কিছু হারাতে হবে বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাকিস্তান যদি জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় দিয়ে থাকে, তবে যুক্তরাষ্ট্র আর দেশটিকে সহ্য করবে না বলেও হুঁশিয়ার করেছেন তিনি। গত সোমবার ফোর্ট মাইয়ার সেনাঘাঁটি থেকে টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে পাকিস্তানকে সতর্ক করার পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে দৃঢ় অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। আফগানিস্তান থেকে সহসা সেনা প্রত্যাহার না করারও ইঙ্গিত দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের অভিযোগ, পাকিস্তান সন্ত্রাসীদের কাছে নিরাপদ স্বর্গ বলে বিবেচিত হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা পাকিস্তানকে কোটি কোটি ডলার সহায়তা দিচ্ছি- আর তারা সেইসব সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দিচ্ছে যাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করছি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের এ মন্তব্যের পর পরই তা নাকচ করে দিয়েছেন পাকিস্তানি সেনা মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর। সাংবাদিকদের কাছে তিনি দাবি করেন: পাকিস্তানে কোনও জঙ্গি আস্তানা নেই। আমরা হাক্কানি নেটওয়ার্কসহ সব জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। এদিকে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করতে রাজি নন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আশঙ্কা, সময়সীমা অক্ষুণœ রাখতে গিয়ে বিজয় নিশ্চিত হওয়ার আগেই যদি আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করা হয় তবে সেখানে শূন্যতা তৈরি হবে; আর সেটি পূরণ করবে সন্ত্রাসীরা। ট্রাম্প জানান, কিছু শর্তের ভিত্তিতে তারা আফগানিস্তান ইস্যুতে কৌশল নির্ধারণ করবেন,তবে সেনা সরিয়ে নেওয়ার কোনো সময়সীমা ঘোষণা করা হবে না। নাইন-ইলেভেনের হামলার পর ২০০১ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডবিøউ বুশের নির্দেশে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযান শুরু হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ অভিযান শেষ হয় ২০১৪ সালে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী এখনও আফগান সেনাদের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। আফগানিস্তানে এখনও প্রায় ৮,৪০০ সেনা মোতায়েন রয়েছে। অতীতে ট্রাম্পকে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পক্ষে কথা বলতে গেলেও এখন এ প্রশ্নে সুর পাল্টেছেন তিনি। গত সোমবার এ কথা স্বীকারও করেছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন,তার প্রাথমিক ইচ্ছা ছিল আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী পুরোপুরি সরিয়ে নেয়া। কিন্তু পরে ইরাক থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার মতো ভুল না করার সিদ্ধান্ত নেন এবং আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে জয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। ট্রাম্প জানান, তিনি আশা করছেন মিত্র দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কৌশলকে সমর্থন জানাবে এমন একসঙ্গে কাজ করবে। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।