Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে গ্রহাণু

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গ্রহাণু ২০১২ টিসি-৪ পৃথিবীর খুব কাছাকাছি চলে আসছে গ্রহাণু ২০১২ টিসি-৪। মহাশূন্য থেকে অসম্ভব জোরে ছুটে আসছে। বলা যায়, একেবারে ঘাড়ের কাছে এসে পড়েছে। আর ঠিক দুই মাস পর তা আসবে পৃথিবীর নাগালের মধ্যে। আমাদের নীলাভ গ্রহ থেকে মাত্র ২৭ হাজর ৩০০ মাইল বা ৪৪ হাজার কিলোমিটার দূরে। পৃথিবী থেকে চাঁদ যতটা দূরত্বে তার ৮ ভাগের এক ভাগেরও কম দূরত্বে এসে পড়বে গ্রহাণুটি। আকারে তেমন বড় না হলেও উদ্বেগের কারণ রয়েছে যথেষ্টই। কারণ খুব জোরে ধেয়ে আসছে গ্রহাণুটি। আর তার কক্ষপথও পুরোপুরি বোঝা যাচ্ছে না।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, অক্টোবরের ১২ তারিখে পৃথিবীর কাছেপিঠে থাকা মহাজাগতিক বস্তুদের (নিয়ার আর্থ অবজেক্ট) অন্যতম এই গ্রহাণুটি সম্ভবত পৃথিবীর একেবারে কান ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ বা এসা) জানিয়েছে, গ্রহাণুটি লম্বায় ১৫ থেকে ৩০ মিটারের মধ্যে হবে। এটি প্রতি সেকেন্ডে ১৪ কিলোমিটার বা ৯ মাইল বেগে প্রদক্ষিণ করছে। গ্রহাণুটিকে নিয়ে উদ্বেগের সবচেয়ে বড় কারণ, প্রথম হদিস মেলার পর গত পাঁচ বছরে একবারও এর টিকি’র দেখা মেলেনি। ফলে তার কক্ষপথ এখনো ঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারছেন না জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। তাই আগামী ১২ অক্টোবর গ্রহাণুটি ঠিক কতটা কাছে আসবে আর তা শেষ পর্যন্ত পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠবে কি-না সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আর তা পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে ঢুকে পড়লে ভয়াবহ হতে পারে। এর কারণ, ১৯০৮ সলে রাশিয়ার সাইবেরিয়ার তুঙ্গসকা শহরে গ্রহাণু টিসি-৪’র চেয়ে খানিকটা বড় গ্রহাণু আঘাত হানে। ২০১৩ সালে একটি উল্কা প্রায় ৩০টি হিরোশিমা অ্যাটম বোমার সমান গতিশক্তি নিয়ে রাশিয়ার চেলিয়াবিনস্ক শহরের বায়ুমন্ডলে বিস্ফোরিত হয়েছিল। এর ফলে ওই এলাকায় তরঙ্গধাক্কা তৈরি হয়েছিল। যা প্রায় পাঁচ হাজার ভবনের জানালা উড়িয়ে দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, ওই ঘটনায় হতাহত হয়েছিল এক হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষ এবং ঘটনাটি ঘটে অজ্ঞাতসারেই। এ কারণেই, টিসি-৪ আকারের কোনো বস্তু যদি পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে তাহলে তা চেলিয়াবিনস্ক বিস্ফোরণের মতোই প্রভাব ফেলতে পারে। গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে সামান্য দূরে অবস্থান করছে এবং এটি খুব সহজেই আঘাত হানতে পারে। গ্রহাণুটি চেলিয়াবিনস্ক শহরে যে উল্কা বিস্ফোরিত হয়েছিল, তার চেয়ে ভিন্ন আচরণ করছে। তাছাড়া সেগুলো ছিল বরফের উপাদানে তৈরি ধূমকেতুর অংশ। বরফ প্রকৃতির হওয়ায় তা বায়ুমন্ডলে এসে খানিকটা দুর্বল হয়ে পড়েছিল। কিন্তু গ্রহাণু কঠিন পদার্থ। এটি প্রায়ই লোহা দিয়ে তৈরি হয়। যা বায়ুমন্ডলে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে খুব সহজেই শক্তি হারিয়ে ফেলবে না। তাই মানুষকে জানালা থেকে দূরে থাকতে হবে। গার্ডিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ