নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার
এশিয় হকির সর্বোচ্চ টুর্নামেন্ট এশিয়া কাপ। ৩২ বছর পর এই টুর্নামেন্ট ফিরেছে বাংলাদেশে। সর্বশেষ ১৯৮৫ সালে ঢাকায় বসেছিলো এশিয়া কাপ হকি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসর। মাঝে সাত আসরের বিরতিতে আবার ঢাকা বসছে এই টুর্নামেন্টের দশম আসর। আগামী ১১ অক্টোবর মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে উদ্বোধন হবে হিরো দশম এশিয়া কাপ হকি টুর্নামেন্টের। যার পর্দা নামবে ২২ অক্টোবর। যেখানে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব দেখাতে লড়বে এশিয়ার আটটি দেশ। টুর্নামেন্ট শুরু হতে এখনো বাকি ৫০ দিন। তবে আসর আয়োজনের তোরজোড় গতকাল থেকেই শুরু হয়ে গেছে। এদিন পাঁচ তারকা হোটেল সোনারগাঁওয়ে জাকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে ঢাকায় এশিয়া কাপ আয়োজনের কথা ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করলেন এশিয়ান হকি ফেডারেশনের (এএইচএফ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তৈয়ব একরাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিমান বাহিনী প্রধান ও বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সভাপতি এয়ার মার্শাল আবু এসরার, সাধারন সম্পাদক আবদুস সাদেক, এএইচএফের সদস্য আবদুর রশিদ শিকদার ও টুর্নামেন্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিরো মটোকর্প লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জে নারায়ণ।
১৯৮২ সালে এশিয়া কাপ হকির যাত্রা শুরু হলেও ভারত কিংবা পাকিস্তান নয়, এ টুর্নামেন্টে সবচেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। গেল নয় আসরের মধ্যে চারবার (১৯৯৩, ’৯৯, ২০০৯ ও ২০১৩ সাল) তারা শিরোপা জিতে। ১৯৮২, ’৮৫ ও ’৮৯ তিন বছর পাকিস্তান এবং ২০০৩ ও ’০৭ সালে ভারত জিতেছিল সেরার খেতাব। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে- ভারত, পাকিস্তান, জাপান, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ওমান ও স্বাগতিক বাংলাদেশ। তবে কঠিন গ্রæপেই পড়েছে স্বাগতিকরা। ‘এ’ গ্রæপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত, পাকিস্তান ও জাপান। ‘বি’ গ্রæপে আছে মালয়েশিয়া, ওমান, কোরিয়া ও চীন।
অনুষ্ঠানে তৈয়ব ইকরাম বাংলাদেশ হকির উন্নয়নে কাজ করার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে হাই পারফরম্যান্স কর্মসূচিতে সহযোগিতা করব। যুব উন্নয়ন কর্মসূচি রয়েছে আমাদের। এশিয়ান হকি ফেডারেশন বাংলাদেশকে ক্রীড়া সামগ্রী দেবে। এরই মধ্যে এ বছরের জন্য সেই অনুদান পেয়েও গেছে তারা। স্কুল হকির উন্নতির জন্যও সহযোগিতা দেয়া হবে বাংলাদেশকে। আমাদের ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কোচ ও আম্পয়ারদের কোচিং কোর্স করানো হবে। আসলে এই দেশ আমার সেকেন্ড হোম।’ ইকরাম আরও বলেন, ‘মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে ফ্লাড লাইট বসছে। আশা করছি ১০ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলক আলো জ্বলবে। এশিয়া কাপের সব ম্যাচ সরাসরি স¤প্রচার হবে। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশকে নিরপেক্ষ ভেন্যু দেখিয়ে ভারত-পাকিস্তান হকি টুর্নামেন্ট আয়োজন করার। এশিয়ান হকি ফেডারেশনের আরও নতুন নতুন টুর্নামেন্ট যাতে ঢাকায় আয়োজন করতে পারে, সে চেষ্টাও থাকবে আমাদের।’ বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন সভাপতি এয়ার মার্শাল আবু ইশরার বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত খুশি যে, দীর্ঘ ৩২ বছর পর আবার এশিয়া কাপ আয়োজন করতে যাচ্ছি। আশাকরি এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সঙ্গে যৌথভাবে এ টুর্নামেন্টে ভালোভাবে আয়োজন করতে পারবো। টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে আমরা মওলানা ভাসানী স্টেডিয়াম ফ্লাডলাইট স্থাপনসহ আরো অনেক কাজ করছি। আমরা আশা করছি, টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে ট্রফি তুলে দেবেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।