নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : ইংল্যান্ড সফরে ইতিহাস রচনার ঘোষণা দিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ স্টুয়ার্ট ল। এজবাস্টনের ফ্লাডলাইটের আলোয় ল’র দলকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে উল্টো ইতিহাস রচনা করলো ইংল্যান্ড। নিজেদের ইতিহাসের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইংলিশরা হারিয়েছে ইনিংস ও ২০৯ রানের বিশাল ব্যবধানে, মাত্র তিন দিনেই!
তৃতীয় দিনে মাত্র ৭৬.৪ ওভার আর ২৬১ রানের ব্যবধানে ১৯ উইকেট হারায় উইন্ডিজ। এক দিনেই তারা অলআউট হয়েছে দুইবারÑ ১৬৮ ও ১৩৭ রানে, প্রথমবার ৪৭, এবার ৪৫.৪ ওভারে। ইনিংস হারে রানের ব্যবধানটা হয়ে রইল তার চেয়ে বড়! প্রথম ইনিংসে অ্যালিস্টর কুকের ২৪৩ ও অধিনায়ক জো রুটের ১৩৬ রানের সুবাদে ৮ উইকেটে ৫১৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড।
প্রথম ইনিংসে ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন জেমস অ্যান্ডারসন। এবার একই খরচায় সমসংখ্যক উইকেট নেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ৩ উইকেটই নেন আবার ১১ বলের এক স্পেলে, চা বিরতির খানিক আগে। এতেই শেষ হয়ে যায় ক্যারিবীয় মিডিলঅর্ডার। একই সাথে ইয়ান বোথামের ৩৮৩ টেস্ট উইকেটের রেকর্ড ছাড়িয়ে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বনে যার ব্রড। এই তালিকার সর্বোচ্চ আসনটি অ্যান্ডারসনের। ২৫ আগস্ট লিডসে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে একটা সুযোগ থাকছে তার সামনে। আর ৯টি উইকেট নিতে পারলে প্রথম ইংলিশ হিসেবে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করবেন অ্যান্ডারসন। সেই লিডস, যেখানে এক দশক আগে উইন্ডিজকে সবচেয়ে বড় পরাজয়টি উপহার দিয়েছিলেন পিটারসেন-সাইডবটম-হার্মিসনরা, ইনিংস ও ২৮৩ রানের!
দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে কেউ খালি হাতে ফেরেনি। ২টি করে নেন অ্যান্ডারসন, রোনাল্ড জোন্স ও মঈন আলী, বাকিটা নেন বেন স্টোকস। তাদের সুইংয়ের সামনে প্রথম ইনিংসে বুক চেতিয়ে লড়াই করেন কেবল জার্মেইন বø্যাকউড। একে একে সবাই বিদায় নিলেও ৭৬ বলে ৭৯ রানে অপরাজিত থাকেন এই মিডিলঅর্ডার। দ্বিতীয় ইনিংসে ফিফটি রানের ব্যাক্তিগত ইনিংস কিংবা জুটি নেই একটিও। পঁচিশোর্ধে রানের একমাত্র ইনিংসটি আসে কার্লোস ব্রেথওয়েটের (৪০) ব্যাট থেকে।
সফরকারীদের এমন লজ্জাজনক হারে বিরক্ত মাইকেল ভন। ‘এটি ক্রিকেটের জন্য বেদনাদায়ক এক সিরিজ হতে যাচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক। উইন্ডিজ দলে সিনিয়র খেলোয়াড় সঙ্কটের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘তাদের শেখানোর মতও কেউ নেই। আমি সত্যিই শঙ্কিত সিরিজটা টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে বেদনাদায়ক অধ্যায় হতে যাচ্ছে কি না।’
নিজ দলের এমন লজ্জাজনক হারে চটেছেন দলটির সাবেক গ্রেট মাইকেল হোল্ডার। সাংবাদিকদের হোল্ডার বলেন, ‘আমরা কঠিন কয়েকটি দিন কাটিয়েছি...এ ম্যাচে আমরা খুবই হতাশ হয়েছি। বোলিংয়ে আমাদের ধারাবাহিকতার অভাব ছিল এবং ব্যাটিংয়েও রান করতে পারিনি। মাত্র তিন দিনের ম্যধ্যেই আমরা হেরে গেছি এবং কোন বিভাগেই আমরা ভাল করতে পারিনি।’ হোল্ডার বলেন, ‘আমাদের পুনর্গঠিত হতে হবেÑ এটা কেবলমাত্র এক টেস্ট এবং আমরা মাথা নিচু করতে পারি না। সিরিজ শেষ হয়ে যায়নি, আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে কেননা কোন দলই অপরাজেয় নয়। তবে প্রত্যেক খেলোয়ড়কেই আয়নায় নিজেদের মুখ দেখতে হবে এবং কোথায় তাদের ঘাটতি আছে বুঝতে হবে।’
২০০০ সালের পর থেকে ইংল্যান্ডের মাটিতে এখনো কোন টেস্ট ম্যাচ জিততে পারেনি ক্যারিবীয়রা।
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস : ৫১৪/৮ ডিক্লে. (কুক ২৪৩, রুট ১৩৬; চেইজ ৪/১১৩)। উইন্ডিজ : ১৬৮ (বø্যাকউড ৭৯*; অ্যান্ডারসন ৩/৩৪, রোনাল্ড-জোন্স ২/৩১, ব্রড ২/৪৭) ও ১৩৭ (ব্রেথওয়েট ৪০; ব্রড ৩/৩৪, অ্যান্ডারসন ২/১২, রোনাল্ড-জোন্স ২/১৮)। ফল : ইনিংস ও ২০৯ রানে জয়ী ইংল্যান্ড। ম্যাচসেরা : অ্যালিস্টার কুক (ইংল্যান্ড)। সিরিজ : ১ম ম্যাচ শেষে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে ইংল্যান্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।