Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বার্সেলোনা হামলায় নিহতদের স্মরণে হাজার হাজার মানুষ

ইউরোপে গাড়ি হামলাই এখন আতঙ্কের কারণ

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সন্দেহভাজন হামলাকারীর ছবি প্রকাশ : দেশজুড়ে চিরুনি অভিযান
ক্যামব্রিলসে হামলার প্রচেষ্টাকারীদের পরনে ভুয়া বিস্ফোরক বেল্ট
ফ্রান্সের নিস, জার্মানির বার্লিন, যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনিস্টারের পর এবার স্পেনের বার্সেলোনা। যেখানে সন্ত্রাসী হামলার জন্য ব্যবহার করা হয়নি কোনও বিস্ফোরক বা মারণাস্ত্র। বরং নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় গাড়িই হয়ে উঠলো মানুষ হত্যার হাতিয়ার। আর এই হাতিয়ারের আঘাতে প্রাণ হারালো ১৪ জন। আহত হয়েছেন শতাধিক। ইউরোপজুড়ে গাড়ি হামলার সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে গাড়িই হয়ে উঠছে আতঙ্কের কারণ। গতকাল নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে গাড়ি হামলার কারণে সমাজে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়া এবং প্রভাবের কথা তুলে ধরা হয়েছে। স্পেনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুরে বার্সেলোনার লাস রামবøাসে পথচারীদের ভিড়ে ভ্যান উঠিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ১৩ জন নিহত হন। এরপর স্থানীয় সময় মধ্যরাতের দিকে ক্যামব্রিলসের কাছে আরেকটি হামলার প্রচেষ্টা হলে পাঁচ সন্দেহভাজনকে হত্যার মধ্য দিয়ে তা ঠেকিয়ে দেওয়ার দাবি করে পুলিশ। ওই ঘটনায় সাতজন (ছয় পথচারী ও এক পুলিশ) আহত হন। এই দুই হামলার আগে বৃহস্পতিবার সকালে আলকানার এলাকার একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। এতে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন। এটিকে প্রথমে দুর্ঘটনা বলে মনে করা হলেও এখন পুলিশ ধারণা করছে তিনটি ঘটনার সংযোগ রয়েছে।
এই হামলার পর সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হলো। কোনও রেস্টুরেন্ট কিংবা ঘরের কাছে রাস্তাতেও এখন আর কেউ নিরাপদ নন। যেকোনও সময় যেকোনও স্থানেই হামলার শিকার হতে পারেন মানুষ। আর এসব হামলা চালানোর জন্য খুব বড় কোনও অস্ত্রের দরকার নেই। গাড়িই হয়ে উঠতে পারে ভয়ঙ্কর অস্ত্র। গত দুই বছরে এমন বেশ কয়েকটি হামলা হয়েছে।
কয়েক বছরের গবেষণায় দেখা গেছে, কোনও সমাজে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য খুব সাধারণ পথ ব্যবহার করলেই হয়। আর এই গাড়ি হামলা সেই আতঙ্কই তৈরি করছে। লন্ডনে ওয়েস্টমিনিস্টারে হামলার পর বিবিসির বিশ্লেষণে বলা হয়, হামলাটি আত্মঘাতী কিংবা আধা-আত্মঘাতী। ছিল না অতিরিক্ত প্রযুক্তি নির্ভরতা, লাগেনি ভারী অস্ত্র। ফ্রান্সের নিস ও বার্লিনে বড়দিনের মার্কেটের হামলার কায়দায় গাড়ি ব্যবহৃত হয়েছে প্রধানভাবে। ওই দুই হামলায় চালক কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেনি। এর আগে ২০১৩ সালে উলউইচ ব্যারাকে লি রিগবি নামের এক সেনাকে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। ফলে বিষয়টি এখন একেবারে স্পষ্ট হয়ে গেছে, সন্ত্রাসী হামলা চালাতে একটি গাড়িই যথেষ্ট। আর তাতেই ছড়িয়ে পড়বে আতঙ্ক। এমন হামলা ঠেকানোর জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও খুব বেশি কিছু করার থাকে না।
রাজনীতিবিষয়ক বিশ্লেষক মার্ক হেদারিংটন ও এলিজাবেথ সুহায় জানান, সাধারণ মানুষ যখন সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে থাকে তখন নিরাপত্তার জন্য নিজেদের মৌলিক অধিকারে ছাড় দিতেও প্রস্তুত হয়ে যান তারা। আর তখনই সমাজে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
দুই বিশ্লেষক আরও জানান, সন্ত্রাসী হামলার মূল লক্ষ্য হলো আতঙ্ক ছড়ানো। মানসিকভাবে সবাইকে বিপর্যস্ত করে ফেলা। সবার মাঝেই তখন আতঙ্ক কাজ করে যে আমার উপর কিংবা আমার কাছের মানুষের উপর কি এমন হামলা হতে পারে। আমি এখন কী করতে পারি।
তারা আরও জানান, আর এই উপায় খুঁজতে গিয়ে আমরা নিজেদের শান্ত রাখার চেষ্টা করি। যেমন- ৯/১১ এর হামলার পর অনেকে হয়তো এটা ভেবে সান্ত¡না খুঁজছিলেন যে, শুধু ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের মতো বড় অফিসেই এমন হামলা হতে পারে! কিন্তু ট্রাক, ভ্যান ও গাড়ি হামলা যেকোনও সময় যেকোনও অবস্থাতেই হতে পারে। এই আতঙ্কই সমাজকে অস্থিতিশীল করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
এমন হামলায় অবশ্য নিহত হওয়ার হার খুবই কম। যুক্তরাষ্ট্রেই বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসীরা গাড়ি হামলায় যে পরিমাণ মানুষ হত্যা করে সে তুলনায় এই সংখ্যা খুবই কম।
কিন্তু এই পরিসংখ্যান তো আর আতঙ্ক দূর করতে পারে না। অন্য যেকোনও সন্ত্রাসী হামলার চেয়ে এই হামলার আশঙ্কা আলাদা।
সন্ত্রাসী হামলার চিরাচরিত অস্ত্র ব্যবহার না করে বার্সেলোনায় এই হামলায় মানুষের অসহায়ত্বের দৃশ্যই যেন ফুটে উঠেছে। যেকোনও বস্তুই অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে। তাই সবসময়ই পূর্ব প্রস্তুতি সম্ভব নয়। একটি ভ্যান সংগ্রহ করে মানুষ হত্যা করতে খুব বেশি দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। শুধু প্রয়োজন ইচ্ছা।
আর এই ভয় ও আতঙ্ক সমাজ ও রাজনীতিতে সরাসরি প্রভাব ফেলে। ইউরোপে সা¤প্রতিক সময়ের এই হামলাগুলো এমনই স্বাক্ষ্য দেয়। ব্রিটিশ গবেষণা সংস্থা চাথাম হাউসের এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, ইউরোপের বেশিরভাগ মানুষই মুসলিম প্রধান দেশগুলোর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পক্ষে।
আরেকটি গবেষণায় দেখা যায়, অনেকে মনে করে নির্দিষ্ট কোনও গোষ্ঠী, ধর্ম ও গ্রুপের হওয়ার কারণে তারা হামলার ভয় বেশি পান। তারা নিজেদের পরিচয় নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন। সামাজিক বৈষম্যেরও শিকার হতে থাকেন তারা। সামাজিক বিজ্ঞানীরা একে বলেন ‘আউটগ্রুপিং’। আর পশ্চিমাদের লক্ষ্য করে এই হামলা আউটগ্রুপিংয়ের কারণেই হয়ে থাকে। এই অনুভূতি আসলে প্রতিদ্ব›িদ্বতা তৈরির মাধ্যমে সমাজকে বিভক্ত করে ফেলে। বিভিন্ন ধর্ম ও গোষ্ঠীর মানুষদের মাঝে বিভেদ তৈরি করে।
গবেষণা থেকে জানা গেছে, এমন হামলার কারণে বিশ্বাস ও ঐক্যের ফাটল দেখা যায়। যেটা সমাজের জন্য আরও ক্ষতিকর। এটা হয়তো তাৎক্ষণিকভাবে অতটা ক্ষতিকর মনে হয় না। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব খুবই গভীর। পশ্চিমা রাজনীতিতে এর প্রভাব যাই হোক না কেন পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। নগরজীবনের মানসিকতার পট পরিবর্তন হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে হামলার আশঙ্কা। সাধারণ যেকোনও বস্তুকেই মনে হচ্ছে অস্ত্র।
বার্সেলোনা হামলায় নিহতদের স্মরণে হাজার হাজার মানুষ
বার্সেলোনায় গাড়ি হামলায় নিহতদের স্মরণে বার্সেলোনা স্কয়ারে জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। সেখানে এক মিনিট নিরবতা পালন করে হতাহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তারা। স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপ ও প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয় ও কাতালানের স্থানীয় প্রেসিডেন্ট কার্লস পুইজেমোন্তও উপস্থিত ছিলেন।
তারা তিনজনই হাজার হাজার মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। নীরবতা শেষেই করতালিতে মুখর হয়ে উঠে পুরো এলাকা। ‘আমরা ভীত নই’ বলে সেøাগান দিতে থাকে সবাই। লাস রাম্বলাসের হতাহাত রজন্য মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন তারা। এর আগেই বার্সেলোনার হত্যাকাÐের জন্য তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয় যা গতকাল থেকে শুরু হয়েছে।
সন্দেহভাজন হামলাকারীর ছবি প্রকাশ, স্পেনজুড়ে চিরুনি অভিযান
স্পেনের বার্সেলোনা শহরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় চিরুনি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। পথচারীদের ওপর চলন্ত গাড়ি উঠিয়ে দেওয়ার ঘটনায় মুসা ওকাবির নামের ১৮ বছরের এক তরুণকে সন্দেহ করছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, সে-ই গাড়িটির চালক ছিল। তার খোঁজে স্পেনজুড়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, হামলা চালানোর জন্য ভাইয়ের তথ্য ব্যবহার করে গাড়িটি ভাড়া নিয়েছিল মুসা ওকাবির। বার্সেলোনা হামলার কয়েক ঘণ্টার মাথায় ক্যামব্রিল এলাকা থেকে আরও পাঁচ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা আরেকটি গাড়ি হামলা চালানোর চক্রান্তে লিপ্ত ছিল। ওই হামলায় আহত এক নারী শেষ পর্যন্ত মারা গেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ক্যামব্রিলে নিহত ব্যক্তিরা বার্সেলোনা হামলায়ও জড়িত ছিল।
এদিকে বার্সেলোনায় ভিড়ের মধ্যে গাড়ি চালিয়ে হামলার ঘটনায় আরেক সন্দেহভাজন দ্রিস ওকাবির আত্মসমর্পণ করেছেন। কেবল তাই নয়, এ ঘটনায় নিজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও নাকচ করে দিয়েছেন তিনি। ওকাবিরের দাবি, হামলার আগে তার পরিচয় সংক্রান্ত কাগজপত্র চুরি হয়ে গিয়েছিল। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অবশ্য, পুলিশও বলছে যে, গাড়িচালককে খোঁজা হচ্ছে তিনি দ্রিস ওকাবির নন।
হামলার পর পর পুলিশ প্রথমে সন্দেহভাজন হামলাকারী হিসেবে দ্রিস ওকাবিরের নাম ও ছবি প্রকাশ করে। মরোক্কান বংশোদ্ভূত ২৮ বছর বয়সী ওই তরুণ স্পেনের মার্সেই শহরে বাস করতেন। স্পেনের সংবাদমাধ্যমগুলোতে দাবি করা হয়, হামলায় ব্যবহৃত সাদা রঙের ফিয়াট গাড়িটি দ্রিস ওকাবির ভাড়া নিয়েছিলেন। বার্সেলোনা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের একটি শহরের রেন্ট-এ-কার থেকে গাড়িটি ভাড়া নেওয়া হয়।
পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন খবরে বলা হয়, ওকাবির অনলাইন ও মিডিয়ায় সন্দেহভাজন হিসেবে নিজের ছবি দেখে আত্মসমর্পণ করেছেন। পুলিশ কর্মকর্তাদের তিনি বলেছেন, হামলার আগেই তার পরিচয়পত্র চুরি হয়ে যায় এবং তিনি এ হামলার সঙ্গে জড়িত নন। পরে কাতালোনিয়ার রিপোল শহরের পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। কাতালোনিয়ার আঞ্চলিক পুলিশের সদস্য জোসেফ লুইস ট্রাপেরো বলেন, যে গাড়িচালককে খোঁজা হচ্ছে দ্রিস ওকাবির সেই গাড়িচালক নন।
দ্রিস ওকাবিরের ফেসবুক পেজের তথ্যকে উদ্ধৃত করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, দ্রিস এক সময় মার্সেই শহরে বাস করতেন। পরে কাতালোনিয়ার রিপোলে চলে যায়। ওই ফেসবুক পেজের তথ্য অনুযায়ী, তিনি র‌্যাপ গান পছন্দ করেন। প্রিজন ব্রেক নামের একটি টিভি সিরিয়ালও তার পছন্দের। আরব তথা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের সেনাদের দমন-পীড়নে তার ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে ফেসবুকে দেওয়া একটি ছবি ও তার বর্ণনায়। কয়েক মাস আগে ইহুদিবাদের সমালোচনা করে প্রচারিত একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন তিনি।
ক্যামব্রিলসে হামলার প্রচেষ্টাকারীদের পরনে ভুয়া বিস্ফোরক বেল্ট
স্পেনের কাতালানের ক্যামব্রিলস শহরে গাড়ি চালিয়ে হামলার প্রচেষ্টাকারী ব্যক্তিদের পরনে ভুয়া বিস্ফোরক বেল্ট ছিল বলে জানিয়েছে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় এক রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্পেনের আঞ্চলিক প্রধান কার্লস পুইগডেমন্ট এ কথা জানান। শুরুতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছিল, হামলাকারী বিস্ফোরক বেল্টের মতো কিছু পরা ছিল। গতকাল সেই খবর নাকচ করে দিয়ে স্পেনের আঞ্চলিক প্রধান কার্লস পুইগডেমন্ট বলেন, ওই বিস্ফোরক বেল্ট যে ভুয়া সে ব্যাপারে বোমা বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত হয়েছেন।
এই দুই হামলার আগে বুধবার রাতে আলকানার এলাকার একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। এতে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন। এটিকে প্রথমে দুর্ঘটনা বলে মনে করা হলেও এখন পুলিশ ধারণা করছে তিনটি ঘটনার সংযোগ রয়েছে। কাতালান পুলিশ এবং আঞ্চলিক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোয়াকিম ফর্ন জানিয়েছেন তদন্তকারীরা লাস রামবøাস, ক্যামব্রিলস এবং এর আগে আলকানার বিস্ফোরণের ঘটনার মধ্যে সংযোগ থাকার ব্যাপারে ধারণা করছে এবং সেই অনুযায়ী কাজ চলছে। সূত্র : বিবিসি, সিএনএন, এএফপি ও রয়টার্স। (এ সংক্রান্ত আরো খবর পৃষ্ঠা ৬)



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ