রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালী ইউনিয়নের বয়রা গ্রামের অনুদেব দাসের মৎস্য চাষ, গবাদি পশু পালন ও মূরগীর চাষের ব্যাপক সফলতা এলাকার যুবকদের অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। বেকার যুবকরা তার দেখাদেখি এগিয়ে আসছে এ কাজে। ১৯৯৭ সালে মাত্র দেড় লাখ টাকার পুঁজি নিয়ে ৩০ শতক জমির উপর একটি পুকুর খনন করে দেশীয় জাতের পোনা মাছের চাষ দিয়ে শুরু করেন তার এ কর্মকান্ড। এসব মাছের মধ্যে রয়েছে- তেলাপিয়া, পাবদা ও মলা মাছসহ বিভিন্ন দেশীয় জাতের মাছ। তিনি এখন এক একর জমির উপর মাছের চাষ শুরু করেছেন। পরবর্তীতে লেয়ার ও পোল্ট্রি মুরগী নিয়ে শুরু করেন মুরগীর খামার। ১০০ মুরগী নিয়ে শুরু করা খামারে এখন ৪ হাজার বয়লার মুরগী রয়েছে। পাশাপাশি তিনি এক একর জমিতে উন্নত জাতের ঘাস ও কলার চাষও করেন। ২০০৬ সালে গবাদি পশু পালনের জন্য একটি গরুর খামার তৈরী করেন। প্রথমে ২টি দুগ্ধ গরু নিয়ে খামার শুরু করেন। এখন সেখানে ১৩টি দুগ্ধ গরু রয়েছে। গরু বছরে ২ বার বিকিকিনি হয়। গরুর গোবরের জ¦ালানি এখন গ্রামের লোকজনের কাছে ভালই বিক্রি হচ্ছে। গরুর গোবর ফসলি জমির সার হিসাবেও বেশ কাজে লাগছে। পাশাপাশি গরুর দুধ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করছেন। ফার্মে ৬ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তাদের প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা করে বেতন দিচ্ছেন। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে তার ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা লাভ থাকে। ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার পুঁজি নিয়ে ব্যবসায় নেমে এখন তার ১০ লক্ষাধিক টাকারও বেশি পুঁজি হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দ্বীন ইসলাম জানান, আধুনিক পদ্ধতিতে মৎস্য চাষ করে তিনি যেমন এক দিকে যুব সমাজকে বেকারত্ব দূর করতে উদ্ভুদ্ধ করছেন। অন্যদিকে এলাকার যুব সমাজের কর্মস্থানও সৃষ্টি করেছেন। এ বছর তিনি জেলার শ্রেষ্ঠ মৎস্য চাষি হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মাসুমা আখতার জানান, তাঁর চাষের পদ্ধতি দেখে উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তিনি গবাদি পশু পালনে সাফল্য অর্জন করেছেন। উপজেলার পুলুম গ্রামের খামারী সাধন কুমার দে জানান, অনুদেব দাসকে অনুসরণ করে আমিও মৎস্য ও গবাদি পশু পালন শুরু করে স্বাবলম্বী হয়েছি। বিভিন্ন সময় আমি তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে থাকি। এ ব্যাপারে ফার্মের মালিক অনুদেব দাসের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ২০০৬ সাল থেকে চাকরির পাশাপাশি মৎস্য চাষ, গবাদি পশু পালন পোল্ট্রি মুরগী খামারসহ বিভিন্ন বিষয়ের নিয়ে ভাবনার পর। প্রথমে ৩০ শতক পুকুরে অল্প কিছু মাছের পোনা দিয়ে শুরু। এর পর লেয়ার মূরগী ও গরুর চাষ । বর্তমানে এই চাষ করে সে স্বাবলম্বী ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।