পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কে কাকে চাপ দিয়ে কি করছে-এই গুজব কোথা থেকে আসছে? ওই পদের কাউকে চাপ দিয়ে কিছু করানো যাবে? এই কথা বলে তো তাদের ছোট করা হচ্ছে। এই যে লাফালাফি করছেন, রায়ে ব্যানানা রিপাবলিক ও অবৈধভাবে ক্ষমতা গ্রহণ, সেটা পড়েননি? আমার মনে হয় পড়েছেন। পড়েই নীরবতা পালন করছেন। এই নীরবতার মানে হচ্ছে এই অংশ মেনে নিয়েছেন। গতকাল সচিবালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিন কারণে বিএনপির মন খারাপ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, প্রথম কারণ, ষোড়শ সংশোধনী রায়ে নতুন একটি ইস্যু পেয়ে সেখান থেকে ফায়দা পাওয়া যাবে ব্যারিস্টার মওদুদ পরামর্শ দেয়ার পর বিএনপিতে জগাই-মাথাই শুরু হয়ে গেছে। সেই রঙিন খোয়াবের জমিন ক্রমেই মরুময় হয়ে যাচ্ছে। দ্বিতীয় কারণ, গত ১৫ আগস্ট ভোরে আরেকটা ১৫ আগস্ট, আরেকটা একুশে আগস্টের মতো জঙ্গিবাদী হত্যাযজ্ঞ ঘটানোর পরিকল্পনা পন্ড হওয়ার পর বিএনপির মন খারাপ। ৫শ লোক হত্যার পরিকল্পনা ছিল, শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল। আল্লাহ রক্ষা করেছেন। তৃতীয় কারণ, জন্মদিবসের কেক, বন্যার্তদের নাম নিয়ে মায়াকান্না দেখাচ্ছেন। আসলে জনগণের অবরুদ্ধতার মুখে কেক কাটতে না পেরে মন খারাপ।
তিনি বলেন, মন খারাপ করে এখন রাজনীতির বেপরোয়া ড্রাইভারের মতো হয়ে গেছে বিএনপি। যেকোনো সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। সবাই সতর্ক থাকবেন, সজাগ থাকবেন। আঘাতে আঘাতে আমরা স্তিমিত নই। আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, আমরা এগিয়ে যাব।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসন করে কি লাভ হয়েছে? জিয়াউর রহমান যদি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসন না করত তাহলে আরেকটি খুনি চক্র জিয়াকে হত্যার দুঃসাহস দেখাত না। যে বুলেট শেখ হাসিনাকে, শেখ রেহানাকে এতিম করেছে, সেই বুলেট খালেদা জিয়াকে বিধবা করেছে। হত্যার রাজনীতি থেকে আপনারাও রেহাই পাননি।
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের চলমান ভয়াবহ বন্যা সম্পর্কে প্রেসিডেন্টকে জানানো ও প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে সরকার ও দলীয় অবস্থান প্রেসিডেন্টকে জানানো সরকার প্রধান হিসেবে ও দলীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব।
সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন নন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।