Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রস্তুতি শুরু ‘অলরাউন্ডার’ মিরাজের

| প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্পোর্টস রিপোর্টার : অস্ট্রেলিয়ার সিরিজের প্রস্তুতির মাঝপথে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে যাওয়ায় খানিকটা পিছিয়ে পড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অফ স্পিনিং অলরাউন্ডারের বিশ্বাস, ঢাকা টেস্ট শুরুর আগেই সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকবেন তিনি। গতকাল মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে মিরাজ জানান, অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের লক্ষ্য করে বোলিং নিয়ে কাজ শুরু করেছেন তিনি, ‘দুয়েকটা ভ্যারিয়েশন আছে সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। নিজের উন্নতি করার চেষ্টা করছি। এখনও ১০-১২ দিন সময় আছে। এর মাঝেই নিজেকে তৈরি করতে পারব।’
দেশের মাটিতে বাংলাদেশ সবশেষ টেস্ট খেলেছিল গত বছর, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই সিরিজের নায়ক ছিলেন মিরাজ। ১-১ ব্যবধানে ড্র হওয়া সিরিজে ১৫.৬৩ গড়ে নিয়েছিলেন ১৯ উইকেট। ঢাকা টেস্টের ম্যাচ সেরার সঙ্গে জিতেছিলেন সিরিজ সেরার পুরস্কার। ১৯ বছর বয়সী অলরাউন্ডার মনে করেন, অমন পারফরম্যান্স জীবনে একবার-দুইবারই হতে পারে, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যা হয়েছে তা সবসময় করা সম্ভব না। আবার (এরকম পারফরম্যান্স করা সম্ভব) নাও হতে পারে। ওটা অপ্রত্যাশিত। দলের প্রয়োজন পূরণ করার চেষ্টা করব। একটা-দুটা উইকেট কিংবা ভালো সময়ে ‘ব্রেক থ্রু’ এনে দিতে পারলে আমার ও দলের জন্য ভালো হবে। এ ব্যাপারগুলোতেই মনোযোগ দিচ্ছি।’
অস্ট্রেলিয়ার জন্য মিরাজের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগে ঘাম ঝরানো পরিশ্রমে তৈরি হচ্ছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে একেবারেই অনুজ্জল ছিলেন। এবার ব্যাটিংয়েও রাখতে চান গুরুত্বপূর্ণ অবদান, ‘দল থেকে আমাকে কখনোই চাপ দেওয়া হয় না। লক্ষ্য স্থির করলে চাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তার চেয়ে ওই ধরনের লক্ষ্য নির্ধারণ না করে দলের চাওয়া অনুযায়ী পারফরম্যান্স করাটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত।’
সিপিএলে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে কোনো ম্যাচ না খেলার দুঃখ মিরাজ ভুলেছেন পোর্ট অব স্পেনের কুইন্স পার্ক ওভাল দেখে। ২০০৭ বিশ্বকাপে এই মাঠেই ভারতকে হারিয়েছিল হাবিবুল বাশারের দল, ‘এই মাঠেই বিশ্বকাপে আমরা ভারতকে হারিয়েছিলাম, ওই মাঠেই আমি প্রস্তুতি নিয়েছি। মাঠে ঢুকেই আপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম। ঘুরে ঘুরে পুরো স্টেডিয়াম দেখছিলাম।’
মাত্র ৯ বছর বয়সে দেখা সেই ম্যাচের অনেক কিছুই মনে করতে পারলেন মিরাজ, ‘মুশফিক ভাই, সাকিব ভাই, তামিম ভাই তিনজনই ফিফটি করেছিলেন। রাজ্জাক ভাই তিন উইকেট নিয়েছিলেন। মাশরাফি ভাই ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন। তখন ওই স্মৃতিগুলো ভাসছিল।’ ৫ উইকেটে জেতা ম্যাচে তিনটি উইকেট নিয়েছিলেন মোহাম্মদ রফিকও, ‘এই মাঠে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো (আসলে দ্বিতীয়বার) ভারতকে হারিয়েছিল। এখন এই মাঠ সিপিএলে আমার হোম গ্রাউন্ড।’
খেলার সুযোগ না হলেও এবারের সফরে অনেক কিছুই শিখেছেন মিরাজ। সেই শিক্ষা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কাজে লাগাতে মুখিয়ে আছেন তিনি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ