নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বিভিন্ন ফেডারেশনের নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ শেষে যেখানে নির্বাচন হওয়ার কথা, সেখানে সাম্প্রতিক সময়ে তা না করে একের পর এক অ্যাডহক কমিটি গঠন করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। আর সেই সব কমিটিতে জায়গা দেয়া হয়েছে বেশ কিছু বিতর্কিত ব্যক্তিদেরও। শুধু তাই নয়,মৃত্য ব্যক্তিকেও অ্যাডহক কমিটির সদস্যা করা হয়েছে- এমন নজির দেখিয়ে ইতোমধ্যে বিতর্কিত হয়েছে এনএসসি। আবার কোন কোন ফেডারেশনের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরও অদৃশ্য কারণে নির্বাচন স্থগিত করেছে তারা। তবে এবার এনএসসি’র খোড়া যুক্তি, দেশে বিরাজমান ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে চলতি মাসের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হবে না বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের (বাহফে) নির্বাচন। মুলত বন্যা পরিস্থিতির কারণ দেখিয়েই গতকাল বিকালে বাহফে নির্বাচন স্থগিত করার প্রজ্ঞাপন জারি করে এনএসসি। আগে দায়িত্বপ্রাপ্ত নারায়ন চন্দ্র দেবনাথ বদলী হওয়ায় তার জায়গায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পেয়েছেন এনএসসি পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মু:শুক্কুর আলী। কাল জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে তিনি উল্লেখ করেন, ইতোমধ্যে দেশের অধিকাংশ এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে পড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে নির্বাচনে স্বাভাবিক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক ভোটার ও প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হচ্ছেন বিধায় তারা বাহফে নির্বাচন পেছানোর আবেদন করেন। সেটি বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন কমিশন বাহফে নির্বাচন স্থগিত করলো। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার এবং এনএসসি’র আইন কর্মকর্তা কবিরুল হাসান বলেন, ‘দেশে বিরাজমান ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে আমরা নির্বাচন স্থগিত করেছি। এছাড়া এটা শোকের মাস। সামনে ঈদুল আযহা ও এশিয়া কাপের খেলা রয়েছে। সব দিক বিবেচনায় আমরা বাধ্য হয়েছি এই নির্বাচন স্থগিত করতে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি এবং এশিয়া কাপ শেষ হলে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
তবে নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে দুই প্যানেলের কর্মকর্তাদের মাঝে। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী খাজা রহমতউল্লাহ বলেন, ‘যে কারণ দেখিয়ে এনএসসি নির্বাচন স্থগিত করেছে, তাতে কিছুই বলার নেই। নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম। নামও ঘোষণা করা হয়েছিল। যাই হোক আগে দেশ পরে নির্বাচন। দেশের স্বার্থে আমরা সব মেনে নিতে পারি।’ সাধারণ সম্পাদক পদের আরেক প্রার্থী আবদুর রশিদ শিকদারের কথা, ‘সরকারীভাবে এখনো ঘোষণা হয়নি যে দেশ ভয়াবহ বন্যা কবলিত। তারপরও বন্যার কারনে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এতে হকিবোদ্ধারা এবং সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরা মনে করছেন নির্দিষ্ট একটি পক্ষ আঁচ করতে পেরেছে যে, আসন্ন নির্বাচনে তাদের ভড়াডুবি হতে পারে। তাই তারা সুকৌশলে এনএসসি’র মাধ্যমে নির্বাচন স্থগিত করেছে। তবে আমি দেশের স্বার্থে এনএসসি’র সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে বলছি যে, আমরা নির্বাচনের জন্য সব সময়েই প্রস্তুত।’ আগামী ২৭ আগষ্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো বাহফের বহুল কাক্সিক্ষত নির্বাচন। আর নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় আজ মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার কথা থাকলেও তা আর হচ্ছেনা।
এদিকে গতকাল ঢাকার স্থানীয় এক হোটেলে আসন্ন নির্বাচনে খাজা রহমতউল্লার প্যানেল ঘোষনা হওয়ার কথা ছিলো। এ উপলক্ষ্যে একাট্টা হয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি, বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের (যারা ফোরাম নামে খ্যাত) সভাপতি ও চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকুসহ অন্যরা। পাপন উপস্থিত হতে দেরী করায় বেলা দু’টোর সভা শুরু হয় বিকাল চারটার। বিসিবি প্রধান এসেই ফোরাম নেতাদের নিয়ে বসেন আলাদা জায়গায়। আধঘন্টার আলোচনা শেষে মঞ্চে উপবিস্ট হয়ে তিনি জানান, আজ (গতকাল) কোন প্যানেল দেয়া হবে না। শুধু সাধারন সম্পাদক পদে ফোরামের সমর্থনে খাজা রহমতউল্লাহর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষনা করেন পাপন। তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার যেহেতু মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন সেহেতু আমি আবার চেস্টা করবো ক্লাবগুলোকে নিয়ে বসতে। প্রয়োজনে এদিন সকাল পর্যন্ত সময় আছে আলোচনার। ফোরামের সমর্থনকে বিবেচনায় নিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে আমি খাজা রহমতউল্লাহর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষনা দিলাম। আমি চাই নির্বাচনে ফলাফল যাই হোক না কেন, ক্লাবগুলো যাতে মাঠে আসে। আর যদি একান্তই ঐক্যমতের প্যানেল না হয় তাহলে প্রয়োজনে শুধু সাধারণ সম্পাদক পদেই নির্বাচন হবে।’ তার এ ঘোষণার আধঘন্টার মধ্যেই নির্বাচন স্থগিতের প্রজ্ঞাপন জারি করে এসএনসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।