পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পনের আগস্টে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ‘ভুয়া’ জন্মদিন পালন অব্যাহত থাকলে দলটির সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তারা ইচ্ছে করে প্রভোকেশন দিচ্ছে। তারা গণতন্ত্র চায় না। তারা সংলাপ চায় না। যদি চাইত, তাহলে ভুয়া জন্মদিবস পালন করে বঙ্গবন্ধুর হত্যা দিবসে তারা এই কেক কাটার মতো উৎসবে মেতে উঠতো না। তিনি আরও বলেন, এই ভুয়া জন্মদিবস যতদিন তারা পালন করবে, ততদিন তাদের সঙ্গে আমাদের বসার কোনো সুযোগ নেই।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধুভবনে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়ার পর শোকের এই দিনটি নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার পর বিএনপি চেয়ারপারসনের জন্মদিন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই যে বাংলাদেশে অনেকেই বলেন, আমাদের সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবীরা, বিভিন্ন মহল থেকে বলা হয় যে; দুই নেত্রী কেন সংলাপে বসেন না। তিনি বলেন, দুই নেত্রীর সংলাপে বসার কী এখানে কোনো কর্ম পরিবেশ আছে ? কোনো ওয়ার্কিং আন্ডারস্টাডিং আছে? কোনো এনভায়রমেন্ট, কোনো এ্যাটমোসফেয়ার আছে?
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ জানে, তারাও জানে; এই দিনটি বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন নয়। তিনি এর আগে ভিন্ন ভিন্ন দিবসে জন্মদিবস পালন করেছেন। তার সার্টিফিকেটে, স্কুলের পরীক্ষায়, তার বিয়ের রেজিস্ট্রেশনে, বিদেশ যাওয়ার যে পাসপোর্ট; সব কিছুতে কিন্তু এই জন্মদিবসটি তার নেই।
কাদের বলেন, এখানে কর্মপরিবেশ কিভাবে সৃষ্টি হবে? গণতন্ত্রের যাত্রাপথে এটাও তো একটা বাঁধা।
শুধু ‘ভুয়া’ জন্মদিনই নয়, সংলাপ না হওয়ার আরো কারণ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ার খবর পেয়ে শেখ হাসিনা গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গেলে, তখন সেখানে তাকে ঢুকতে দেয়া হয় নাই। কোকোর মৃত্যুদিনে মেইন গেট বন্ধ করে দিলেন। প্রধানমন্ত্রী গেলেন, তাকে ঢুকতে দিলেন না।
মন্ত্রী বলেন, এটা কি গণতন্ত্রের মানসিকতা? তাদের কী সংলাপ করার, গণতন্ত্রকে বিকশিত করার মনমানসিকতা আছে? তারাই তো পরিবেশ নষ্ট করেছে। এই পরিবেশে বাংলাদেশে সংলাপ কী করে হবে?
বঙ্গবন্ধুর পালিয়ে থাকা খুনিদের সরকারের চলতি মেয়াদেই ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আশা প্রকাশ করে কাদের বলেন, কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এই তৎপরতা অত্যন্ত জোরদার। এতে ইতিবাচক অগ্রগতি আছে। আমরা আশাবাদী।
কাদের বলেন, এবার আমরা কনফিডেন্সের সঙ্গে বলছি; সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে আমেরিকা কানাডার সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। আমরা আশা করছি, তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আমাদের উদ্যোগ সফল হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।