Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

কঠিন পরীক্ষার মুখে বার্সা

| প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : শরোপা জিততে হলে কমপক্ষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে জিততে হবে। ম্যাচটা অতিরিক্ত সময়ে নিতেই ব্যবধানটা হওয়া চায় কমপক্ষে ৩-১! যে কোন দলের বিপক্ষেই কাজটা কঠিন। আর প্রতিপক্ষের নামটি যদি হয় রিয়াল মাদ্রিদ তাহলে কাজটা আরো কঠিন। শুধু তাই নয়, স্প্যানিশ সুপার কাপ জিততে বার্সেলোনাকে আজ এমন কঠিনতম পরীক্ষা দিতে হবে চিরপ্রতিদ্ব›দ্বীদের ডেরা সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে।
প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ৩-১ গোলে হারের ক্ষতটা এখনো গদগদে। সেই বেদনা ভোলার বার্তা অবশ্য সেদিনই নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে দিয়ে রেখেছিলেন লিওনেল মেসি। দিনটাকে ¯্রফে ভুলে গিয়ে পরের ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার আগাম একটা ঘোষণাও ছিল সেই পোস্টে। একই মাধ্যমে সমর্থকদের আশ্বস্ত করতে একই ধরনের বার্তা দিয়েছিলেন লুইস সুয়ারেজও। এবার তাদের সেটা মাঠে বুঝিয়ে দেওয়ার পালা।
রিয়াল শিবির অবশ্য ফরফুরে মেজাজেই মাঠে নামবে। জিনেদিন জিদানের দলকে শুধু একটা দিকে নজর দিলেই চলবে, প্রতিপক্ষকে কোনভাবেই গোল করতে না দেওয়া। বার্সা শিবিরে অনুষ্ঠেয় প্রথম লেগের মত এদিনও ‘আগে নিজেদের রক্ষণ সামলাও তারপর সুযোগ বুঝে প্রতিপক্ষ শিবিরে কাউন্টার অ্যাটাক কর’ নীতিতে এদিনও হাটতে পারেন জিদান। তবে দুখের বিষয় হলো এদিন তিনি তার প্রধান অস্ত্রকেই পাশে পাবেন না। ৫ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার ঘড়গ যে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মাথার উপর।
প্রথম লেগে রোনালদো মাঠে নামার আগ পর্যন্ত প্রতিপক্ষ শিবিরে তেমন ত্রাস ছড়াতে পারেনি রিয়াল। ৫৮তম মিনিটে পর্তুগিজ তারকা মাঠে নামার সময় দল এগিয়ে থাকলেও তা ছিল প্রতিপক্ষের দেওয়া উপহার। রোনালদো মাঠে নামার পরই তো ভিন্ন সুরে কথা বলার সুযোগ পায় রিয়াল। লিওনেল মেসির পেনাল্টিতে ড্রয়ের দিকে এগুতে থাকা ম্যাচে সেদিন দুর্দান্ত গোলে দলকে এগিয়ে নেন রোনালদো। খানিক বাদেই আরো একটি পাল্টা আক্রমণে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে দেখেন লাল কার্ড। প্রতিবাদস্বরুপ রেফারিকে ধাক্কা দেওয়ায় তাকে ৫ ম্যাচ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে স্প্যানিশ লিগ কতৃপক্ষ। যে কারণে আজ তাকে খেলা দেখতে হবে দর্শক সারিতে বসে।
জিদানের দলে অবশ্য পারফর্ম করার মত খেলোয়াড়ের অভাব নেই। করিম বেনজেমা ও গ্যারেথ বেলের সাথে বার বার নিজেদের প্রমাণ করে আসছেন মার্কো অ্যাসেনসিও ও ইস্কোরা। এছাড়া মাঝমাঠে লুকা মড্রিস ও টনি ক্রসদের উপর আস্থা রাখতেই পারেন জিদান।
সেই হিসাবে বার্সার জন্যেই কাজটা হবে কঠিন। প্রথম লেগের ম্যাচে নেইমারের অভাব ছিল স্পষ্ট। তার জায়গায় খেলতে নামা তরুণ স্প্যানিশ দেউলেফেউ নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধে তার পরিবর্তে ড্যানিস সুয়ারেজ নামার পর কিছুটা গতি ফিরে পায় বার্সা। এরপরও প্রতিপক্ষের রক্সণে গিয়ে বার বার মুখ থুবড়ে পড়েছে তাদের আক্রমণ। এদিনও তাই ভালভার্দের বড় ভরসা দলের প্রাণভোমরা লিওনেল মেসির উপর। ‘এর ক্ল্যাসিকো’র ইতিহাসে সর্বোচ্চ (২৪টি) গোলের রেকর্ড যার। স্প্যানিশ সুপার কাপের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ (১৩টি) গোল আর্জেন্টাইন জাদুকরের। অতিপ্রাকৃত কিছু করতে হলে তাই বার্সাকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিতে হবে মেসিকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ