Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুদ্ধ ঠেকাতে চায় দ.কোরিয়া

| প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধ এড়াতে সহায়তার জন্য মার্কিন মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। পারমাণবিক হামলার হুমকি-ধামকি নিয়ে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যখন উত্তেজনা চলছে তখন কূটনৈতিকভাবে সংকট সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। দক্ষিণ কোরিয়া সফররত মার্কিন সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি এসব আহ্বান জানান মুন জায়ে। অবশ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ধারাবাহিকভাবে যুদ্ধের হুঙ্কার দিয়ে গেলেও স¤প্রতি মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর কূটনীতির পথেই উত্তর কোরীয় সংকট সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদের কথা জানিয়েছিল। এদিকে উত্তর কোরিয়ার হুমকি-ধামকি থেকেও আভাস মিলছে, দেশটি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে হামলা চালাবে না, আঘাত আসলে পাল্টা আঘাত হানবে। সোমবারও উত্তর কোরিয়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, যেকোনও ধরনের যুদ্ধ শুরু হলে তা কেবল পারমাণবিক যুদ্ধেই রূপ নেবে। গত সোমবার এক বৈঠকে মার্কিন সেনা কর্মকর্তাদেরকে মুন জায়ে বলেন, জাতীয় স্বার্থই আমাদের সর্বোচ্চ প্রাধান্যের বিষয়। আর আমাদের জাতীয় স্বার্থ হলো শান্তি। আমি বিশ্বাস করি আমাদের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শান্তভাবে ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করবে। বৈঠকের পর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে ব্রিফ করা হয়। বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ডানফোর্ড মুনকে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাকেই যুক্তরাষ্ট্র প্রাধান্য দেয়। তবে সামরিক অভিযানেরও প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। এদিকে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ-তে সোমবার এক হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সাবধান করে বলা হয়েছে, ছোটখাটো ঘটনা থেকে সংঘাত বেঁধে যেতে পারে। খবরে বলা হয়, সমস্যা হলো যদি যুদ্ধ হয় তবে তা পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নেওয়াই একমাত্র পথ। আমরা যুক্তরাষ্ট্রে সব ব্যাপারে নজর রাখছি। উ. কোরিয়ার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার বিপরীতে মার্কিন প্রস্তাবে সমর্থন দিয়ে জাতিসংঘের নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে পিয়ংইয়ং-ওয়াশিংটন উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। শুরু হয় দ্ইু দেশের শীর্ষ নেতার পারস্পরিক হুমকিধামকি। এক পর্যায়ে উ. কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ামের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিকল্পনা ঘোষণা করে। জবাবে দেশটিকে ধূলায় মিশিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গত সোমবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রেক্স টিলারসন কূটনৈতিক সমাধানের ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন, পিয়ংইয়ং যদি তাদের চলমান ক্ষেপণাস্ত্র বন্ধ করে তাহলে ওয়াশিংটন বসতে রাজি আছে। তবে পরোক্ষে সেই শর্তও প্রত্যাহার করে তিনি বলেছিলেন,যোগাযোগের অন্যান্য উপায় উত্তর কোরিয়ার সামনে উন্মুক্ত রয়েছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, টিলারসনের এই মন্তব্য হয়ত উত্তর কোরিয়াকে মোকাবিলার আরেকটি উপায়। উত্তর কোরিয়ার ওপর চীনের প্রভাব খাটিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র গড়ে তোলা থেকে দেশটিকে বিরত রাখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। রয়টার্স, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ