নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছিল মূলত দ্বিতীয় দিনেই। তৃতীয় দিনে স্থানীয় সময় অনুযায়ী ঘড়ির কাটা তখন ৩টা স্পর্শ করেনি। রবিচন্দ্রন আশ্বিনের ক্যারম বলে লাইন মিস করে বোল্ড হলেন লাহিরু কুমারা। সাথে সাথে একটা ইতিহাস লেখা হয়ে গেল ভারতীয় ক্রিকেটে। মাত্র দ্বিতীয়বারের মত দেশের বাইরে তিন বা তার চেয়ে বেশি ম্যাচের সিরিজে জিতল ভারত। আগের জয়টি সেই ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে। নিউজিল্যান্ডকে সেবার তারা হারিয়েছিল ৩-১ ব্যবধানে।
এবারেরটি অবশ্য আরো বেশি মহত্মপূর্ণ হয়েই থাকল। শ্রীলঙ্কাকে তারা হোয়াইটওয়াশ করেছে ৩-০ ব্যবধানে। দেশের বাইরে এই প্রথম তিন বা তার বেশি ম্যাচের সিরিজে প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাইয়ের কৃতিত্ব দেখালো দলটি। প্রত্যেকটি জয়-ই আরেকটিকে ছাড়িয়ে। প্রথমে গলে প্রতিপক্ষের মাঠে ভারতের রেকর্ড ৩০৪ রানের ব্যবধানে জয়, এরপর কলম্বোয় প্রতিপক্ষের মাঝে প্রথমবারের মত ইনিংস ব্যবধানে জয় (ইনিংস ও ৫৩ রানে), এবার পেল্লেকেলেতে সেটাকেও ছাপিয়ে মাত্র তিন দিনে ইনিংস ও ১৭১ রানের আরো বড় জয়ের হাসি।
এক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার যোগ্যতাটাও প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়। সেটা কিঞ্চিত সত্যও। পুরো সিরিজে তারা হতচ্ছড়া ব্যাটিং করেছে। সাথে চোট ছিল তাদের নিত্ত সঙ্গী। প্রতিপক্ষের এই দুর্বলতার সুযোগে ভারত আধিপত্য দেখিয়েছে বোলিং ও ব্যাটিং উভয় বিভাগেই। কাল বল হাতে আলো ছড়ান আশ্বিন ও মোহাম্মাদ সামি। দুজনে মিলে ১০০ রানে নেন ৭ উইকেট। আশ্বিন ৪টি, সামি ৩টি।
তৃতীয় দিনে নিজের প্রথম ওভারেই দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ¯িøপে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন লঙ্কান দ্বিতীয় ইনিংস স্পেশাল্টি দিমুথ করুনারতœকে, আগের ম্যাচেই যিনি শতক হাঁকিয়েছিলেন। লঙ্কানদের ব্যাট হাতে আসা যাওয়া সেই শুরু। ১ উইকেটে ১৯ রানের যে স্কোরকার্ড দিনের শুরুতে ছিল কিছুক্ষণ পর তা হয়ে গেল ৪ উইকেটে ৩৯! এরপর ৬৩ রানের জুটিতে ভারতের জয়টাই কেবল বিলম্বিত করেন অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল ও নিরোশান ডিকভেলা। ইনিংসের সর্বোচ্চ রানও তাদের, যথাক্রমে ৪১ ও ৩৬। দুজনকেই আবার ফেরান দুই যাদবÑ ডিকভেলাকে উমেশ আর চান্দিমালকে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেয়া কুলদিপ। বাকি সময়টা ভারতের কেটেছে জয়ের অপেক্ষায়, আর লঙ্কানদের লজ্জার পরিধি কমানোর প্রাণপোন চেষ্টায়। এর অবসান ঘটে আশ্বিনের সেই ক্যারম বলে লাহিরুর বোল্ড হওয়ার মধ্য দিয়ে। প্রথম ইনিংসে ভারতের ৪৮৭ রানের জবাবে প্রথমে ১৩৫ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর এবার চান্দিমালের দল গুটিয়ে গেল ১৮১ রানে।
হারের জন্য প্রথমেই টস ভাগ্যকে দুষলেন চান্দিমাল। তিন ম্যাচের কোনটিতেই যে ভাগ্যে হাসতে পারেননি নতুন লঙ্কান দলপতি, ‘টস তো আর আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, দলের জন্য এটা কঠিন সিরিজ।’ তবে আসল সত্যটাও লুকোননি চান্দিমাল, বললেন ‘ভারত ভালো ক্রিকেট খেলেছে। সিরিজ জুড়েই আমাদের বোলিং ও ব্যাটিং ছিল যাচ্ছেতাই। আমাদের আরো বেশি মনোযোগী হতে হবে।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত : প্রথম ইনিংস ৪৮৭।
শ্রীলঙ্কা : ১৩৫ ও (ফলো অনের পর) ৭৪.৩ ওভারে ১৮১ (আগের দিন ১৯/১); (করুনারতেœ ১৬, থারাঙ্গা ৭, পুস্পকুমারা ১, মেন্ডিস ১২, চান্দিমাল ৩৬, ম্যাথিউস ৩৫, ডিকভেলা ৪১, পেরেরা ৮, সান্দাকান ৮, ফার্নান্দো ৪*, কুমারা ১০; সামি ৩/৩২, অশ্বিন ৪/৬৮, উমেশ ২/২১, কুলদিপ ১/৫৬, পান্ডিয়া ০/২)।
ফল : ভারত ইনিংস ও ১৭১ রানে জয়ী।
সিরিজ : ৩ ম্যাচের সিরিজে ভারত ৩-০তে জয়ী।
ম্যাচসেরা : হার্দিক পান্ডিয়া
সিরিজসেরা : শিখর ধাওয়ান
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।