মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ২০১৬ সালে ভারতে প্রতিদিন গড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৪৩ জন চালক ও আরোহী নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে হেলমেট না পড়া অবস্থায় দুই চাকার যানের ২৮ জন এবং সিল্টবেল্ট না বাঁধা অবস্থায় গাড়ির ১৫ জন নিহত হয়েছেন। ভারতের পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক জরিপের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে দেশটির অন্যতম দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ভারতে প্রতি ১০০টি সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে ২০১৫ সালে প্রতি ১০০টি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার ২১ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৬ সালে ২৯ দশমিক ১ ভাগে এসে দাঁড়িয়েছে। এ জরিপের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় ও পুলিশ প্রশাসন হেলমেট না পড়ার কারণে এসব দুর্ঘটনায় মৃত্যুর তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করলো।
রাষ্ট্রীয় প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এমন প্রতি ৫ মোটরসাইকেল আরোহীর ১ জনের মাথায় হেলমেট ছিল না। এদের সংখ্যা মোট ১০ হাজার ১৩৫ জন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে উত্তর প্রদেশ রাজ্য, এখানে হেলমেটবিহীন অবস্থায় গত বছর মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৮১৮ জন। এছাড়া তামিলনাড়ুতে ১ হাজার ৯৪৬ জন ও মহারাষ্ট্রে ১ হাজার ১১৩ জন। এরআগে জাতিসংঘের এক জরিপে বলা হয়, উপযুক্ত হেলমেট ব্যবহার করে চলাচল করলে সড়কে নিরাপদে থাকার সম্ভাবনা ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
এদিকে, গাড়িতে সিলবেল্ট না বেঁধে চলাচল করায় গত বছর ভারতে নিহত হয়েছেন মোট ৫ হাজার ৬৩৮ জন। এক্ষেত্রেও এগিয়ে উত্তর প্রদেশ। এ রাজ্যে সিলবেল্ট না বাঁধার কারণে দুর্ঘটনায় পড়ে নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ৭৪১ জন। তবে বিষেশজ্ঞরা বলছেন, হেলমেট ও সিল্টবেল্ট না থাকার কারণে গত বছর নিহতের যে সংখ্যা বলা হয়েছে তা সঠিক নয়। জরিপে সারাদেশ থেকে পর্যাপ্ত তথ্য এতে উঠে আসেনি।
অন্যদিকে, ২০১৬ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতে মোট নিহতের সংখ্যা ১ লাখ ৫১ হাজার, যেখানে আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৬ হাজার। নিহতদের মধ্যে ৬৮ শতাংশের বয়স ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। দুর্ঘটনায় নিহতদের বয়স ও সংখ্যার বিবেচনায় একে ‘সংকট’ বলে অভিহিত করেছিলেন দেশটির পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গদকারি।
ভারতের সড়ক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রোহিত ভালুজার মতে, দুই চাকার বাহন সড়কে সবচেয়ে মারাত্মক। এতে শুধু চালক বা আরোহীরাই নয়, রাস্তার লোকজনও সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়। দুই চাকার যানের দুর্ঘটনার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে নিহতদের মোট চালকের সংখ্যা ৫২ হাজার ৫০০ জন। যাদের মধ্যে ৪২ হাজারই দুই চাকার যানের চালক ছিলেন। এই মৃত্যুর হার ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যুহারের ৩৫ শতাংশ।
তিনি বলেন, দুই চাকার যানের চালকদের নিরাপত্তা এখন বৃহৎ ইস্যু; শুধু ভারত নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়াজুড়েই। কিন্তু সড়কে এদের নিরাপত্তায় তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। এক্ষেত্রে পাশ্চাত্য ধারণা কাজে আসবে না। নিজস্ব বিধি প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া ভারতে প্রতি বছরই দুর্ঘটনায় পথচারী মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। যার অন্যতম কারণ যানবাহনের অধিক গতি ও ওভারটেকিং প্রবণতা। ২০১৫ সালে দেশটিতে দুর্ঘটনায় ১৩ হাজার ৮৯৪ জন পথচারী মারা গেলেও ২০১৬ সালে তা বেড়ে হয় ১৫ হাজার ৭৯৬ জন। হঠাৎ করে গাড়ির আঘাতে আহত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ২০১৫ সালে ২০ হাজার ৭০৯ জন থেকে বেড়ে গত বছর হয় ২২ হাজার ৯৬২ জন। এতে প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক সম্ভাবনাময় তরুণ নিভে যাচ্ছে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সড়ক ফেডারেশনের চেয়ারম্যান কে কে কাপিলা বলেন,এ পরিস্থিতি রোধে দ্রæত উন্নয়ন আইন প্রণয়ণ ও ট্রাকিফ আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।