পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতে বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে দেশটির সরকার। স¤প্রতি দেশটিতে থাকা অবৈধ অভিবাসীরা বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে নয়াদিল্লি। অবৈধদের শনাক্ত করে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে ইতোমধ্যে প্রত্যেক রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্র। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠির বরাত দিয়ে গতকাল ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, এটি ভারতের জন্য সুখকর কিছু নয়, কারণ ইতোমধ্যে দুই কোটিরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী ভারতে বসবাস করছে। কেন্দ্রীয় সরকার চিঠিতে বলছে,‘রোহিঙ্গাদের মতো অন্যান্য অবৈধ অভিবাসী শুধুমাত্র গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি করছে না বরং ভারতীয় নাগরিকদের অধিকারও লঙ্ঘন করছে।’ অবৈধ সব অভিবাসীকে শনাক্ত ও তাদের ফেরত পাঠানোর কড়া নির্দেশ দেয়া হয়েছে চিঠিতে। চিঠিতে বলা হয়, দেশের অধিকাংশ মানুষের কাছে গুরুতর উদ্বেগের বিষয় গত কয়েক দশকে সন্ত্রাসবাদের উত্থান। অবৈধ অভিবাসীরা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোতে নিয়োগের ঝুঁকিতে থাকায় এ উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
সা¤প্রতিক বছরগুলোতে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে ভারতের ভূখÐে রোহিঙ্গারা ঢুকে পড়ছে। অবৈধ অভিবাসীরা দেশের সীমিত সম্পদের ওপর চাপ ও নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলাসহ বিভিন্ন কারণে প্রতিবেশি দেশগুলোর নাগরিকরা ভারতে প্রবেশ করছে। প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সাংস্কৃতিক ও জাতিগত মিল রয়েছে। অনেক সময় তারা দৃষ্টির আড়ালে থাকছে এবং ভারতীয় ভূখÐে বসতি স্থাপন করছে।
চিঠিতে প্রত্যেক রাজ্যের জেলায় জেলায় অবৈধ অভিবাসীদের সনাক্ত করতে একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই টাস্ক ফোর্স অভিবাসীদের সনাক্তের পর নিজ দেশে ফেরত পাঠাবে।
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য বলছে, মিয়ানমারের অনেক রোহিঙ্গা ভারতে অনুপ্রবেশের পর জম্মু-কাশ্মিরের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। কাশ্মির ও ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো এই রোহিঙ্গাদেরকে ভারতবিরোধী কাজে লাগাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন গোয়েন্দারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।