পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাবি সংবাদদাতা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দেশে আইএস, তালেবান বলতে কিছু নেই, সব দেশীয় জঙ্গির কাজ। দেশীয় সন্ত্রাসীরাই বিভিন্ন নামে হত্যাকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। বাইরে থেকে এসে কেউ হত্যাকান্ড করছেনা। আমাদের উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ করতেই এসব ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’
গতকাল রবিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি আরো বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থান, মসজিদ ও মন্দিরে যেসব হত্যাকান্ড ও হামলার ঘটানো ঘটেছে, তার সবগুলো দেশী জঙ্গিরাই ঘটিয়েছে। অনেকেই দাবি করেছে এসব আইএস বা আল কায়েদা ঘটিয়েছে। কিন্তু এসব ঘটনার সঙ্গে আইএস বা আল কায়েদার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এসময় মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের কথা উল্ল্যেখ করে বলেন, ৭১ এর ঘাতকরা শুধুমাত্র স্বাধীনতার বিরোধীতা করেই থেমে থাকেনি। তারা ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। এ ঘাতকরাই প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার জন্য ১৯ বার চেষ্টা চালিয়েছে। আমরা দেখেছি এ আগস্ট মাসেই একসাথে ৬৩টা জেলায় বোমা ফাটিয়ে তারা তাদের শক্তির জানান দিয়েছে। এসব সন্ত্রাসীরা মাঝে মাঝে আত্মগোপন করে আবার হঠাৎ বিভিন্ন স্থানে হত্যাকান্ড ঘটাচ্ছে। তাই এসব সন্ত্রাসীদেরকে প্রতিহত করতে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে এখন সাড়া দেশের মানুষ একত্রিত হয়েছে। এসব জনগনের সহযোগীতায় এ দেশ থেকে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদ দূর হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মা ছেলে মিলে বিদেশে গিয়ে যতই ষড়যন্ত্র করুন, ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। জনগণের ইচ্ছা ছাড়া বিদেশীদের দালালি করে বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসা যায় না। খালেদা জিয়া সরকারেও যেমন ব্যর্থ হয়েছে তেমনি এখন আন্দোলনেও ব্যর্থ।’
এসময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এমন হয়ে গেছে ছাত্রলীগ মানেই মারামারি, মাদক, সন্ত্রাস। এসব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর সংগঠন। তাই এ শোকের মাসে ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে মাদক, সন্ত্রাস মুক্ত হওয়ার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।’
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি, রাজিব আহমেদ রাসেল, সাবেক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল পারভেজ প্রমুখ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন ও অধ্যাপক ড. আমির হোসেন, ট্রেজারার অধ্যাপক মনজুরুল হকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।