বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে : আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা ও সাংসদ একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় যারা বিশ্বাস করে না, তারাই মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অস্বিকার করছে। তারা এদেশকে এখনও পাকিস্তান আর আদালতকে পাকিস্তানী আদালত ভাবে। এদেশের জনগন ও দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীকেও পাকিস্তানী আর্মি মনে করে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাকিস্তানের নওয়াজ শরীফ মনে করে। খুব শীঘ্রই এসব পাকিস্তান প্রেমিদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে এদেশের জনগন। কারণ, দেশ নিয়ে যে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে তা এদেশের জনগন বুঝে গেছেন। জনগন জানেন, কে ক্ষমতায় থাকলে এদেশের উন্নয়ন হবে আর কারা ক্ষমতায় গেলে দেশ পাকিস্তান-আফগানিস্তানে পরিণত হবে। শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনাই। বাংলাদেশ পাকিস্থান না। শেখ হাসিনা নওয়াজ শরীফ না। বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্থানে বসবাস করে না। এদেশের উন্নয়ন আর ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য শেখ হাসিনাই আবারও জনগনের রায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হবেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে শনিবার নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ শোক র্যালী পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন। এদিকে শোক র্যালীতে আসা লাখো নেতা-কর্মীর হাতে থাকা কালো পতাকায় পুরো শহরটি পরিণত হয়েছিল যেন শোকের শহরে। র্যালীটি শহর প্রদক্ষিন করার কথা থাকলেও প্রায় লাখো নেতাকর্মীর উপস্থিতির কারণে নেতাকর্মীদের দীর্ঘ লাইন শহরের চাষাড়া থেকে ২নং রেইল গেইট পর্যন্ত পৌছে যায়। মূলত, দলীয় কোন্দল নিরসনে জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দদের এক প্ল্যাটফর্মে আনতেই শোক দিবসটিকে উপযুক্ত সময় হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন এমপি শামীম ওসমান। চলতি মাসের শুরু থেকেই তিনি এই শোক র্যালীর ঘোষনা দিয়ে বিভিন্ন থানা, উপজেলা ও ওয়ার্ডে সভা করেছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে যতই দ্বন্দ থাকুক না কেন, শোক দিবসের র্যালীতে দেশ ও দলের স্বার্থে সবাইকে এক মঞ্চে থাকার আহবান জানিয়েছিনে তিনি।
এদিকে শোক র্যালীতে বারবার অনুরোধ সত্তে¡ও নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারন সম্পাদক খোকন সাহা না আসায় নেতাকর্মীদের মাঝে গুঞ্জন শুরু হয়। এক পর্যায়ে এনিয়ে র্যালী আসা নেতাকর্মীরা তাদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিলে উত্তেজনাকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এসময় শামীম ওসমান নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, আমাদের মাঝে নেতৃত্বের বা মত প্রার্থক্যের বিরোধ থাকলেও আমরা সকলেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। আমি তাদের র্যালীতে আসবার আহবান জানিয়েছিলাম। কিন্তু ব্যক্তিগত ব্যবস্তার কারণে হয়তো তারা আসেননি। সামনের পরিস্থিতি অনেক বেশী কঠিন তাই শেখ হাসিনা ও দলের প্রশ্নে আমাদের এক মঞ্চে উঠে আসা অত্যাবশ্যক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।