মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ডোকলাম নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। চীনের সঙ্গে সিকিমে ও অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তে শুক্রবার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। তাদের সতর্কতার লেভেল বাড়ানো হয়েছে। ভারত সরকারের কর্মকর্তারা এসব কথা বলেছেন বার্তা সংস্থা পিটিআইকে। তারা বলেছেন, ডোকলামে ভারতের বিরুদ্ধে চীনের আগ্রাসী তৎপরতা ও পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সিকিম থেকে অরুণাচল প্রদেশে ভারত-চীন সীমান্তের প্রায় ১৪০০ কিলোমিটারে বাড়তি সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরই মধ্যে তাদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছেন ওইসব কর্মকর্তা। সুকনা (একটি এলাকার নাম) ভিত্তিক ৩৩ কোর, ৩ কোর ও ৪ কোরকে অরুণাচল ও আসাম সীমান্তে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাদেরকে চীনের হুমকির বিষয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বলা হয়েছে। তবে কত বেশি সেনা সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে তা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ভারত সরকারের ওই কর্মকর্তারা। তারা শুধু বলেছেন, এটা অপারেশন সংক্রান্ত তথ্য। প্রকাশ করা যাবে না। ওদিকে প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রায় ৪৫ হাজার সেনা কর্মকর্তাদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাদেরকে যেকোন সময় সীমান্তে তোমায়েন করা হতে পারে। তবে তাদের সবাইকে মোতায়েন করার প্রয়োজন নেই। ওই অঞ্চলে সেনাদের মোতায়েন করা হয় ভূমি থেকে ৯ হাজার ফুট ওপরে। তাই তাদেরকে ১৪ দিনের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কর্মকর্তারা বলেছেন, ভারত-চীন-ভুটান ত্রিমোহনায় ডোকলাম সংযোগস্থলে সেনা বাড়ানো হয় নি। ওই এলাকায় প্রায় ৮ সপ্তাহ ধরে অবস্থান করছে ভারতের সেনাবাহিনীর ৩৫০ জন সদস্য। গত ৬ জুন ডোকলাম এলাকায় চীনের সেনারা একটি সড়কের নির্মাণ কাজ করছিল। তা থামিয়ে দেয় ভারতীয়রা। এর পর থেকেই সেখানে ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ডোকলাম কার অধীনে তা নিয়ে এক রকম লড়াই চলছে ভুটান ও চীনের মধ্যে। তবে এর কোনো সুরাহা হয় নি। তবে ডোকলামে ভারতীয় সেনা মোতায়েনের বিরুদ্ধে কথা বলেছে চীন। তারা ডোকলাম থেকে ভারতীয় সেনাদের প্রত্যাহার দাবি করেছে। চীনের মিডিয়াগুলোতে ভারতকে দায়ী করে সমালোচনামুলক রিপোর্ট প্রকাশ হচ্ছে। ওদিকে শুক্রবার ভারতের লোকসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি আশ্বস্ত করে সবাইকে বলেছেন, ডোকলামে অচলাবস্থার প্রেক্ষিতে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী। পিটিআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।