মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ গুয়ামে কোনো কিছু হলে উত্তর কোরিয়া বড় ধরনের সমস্যায় পড়বে বলে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শুক্রবার নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের বেডমিনিস্টারে নিজের গল্ফ রিসোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে গুয়াম অত্যন্ত নিরাপদ থাকবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশবাসীকে তার ওপর আস্থা রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, সেগুলো আগের মতোই কঠোর হবে। এর আগে এক টুইটে ট্রাম্প হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী প্রস্তুত আছে। উত্তর কোরিয়া কান্ডজ্ঞানহীন কাজ করলে এর সামরিক সমাধান এখন পুরোপুরি সঠিক পথে আছে। আশা করি কিম জং উন অন্য পথ খুঁজে নেবেন। ট্রাম্প কোরিয়া উপদ্বীপ পরিস্থিতিকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন বলে উত্তর কোরিয়া অভিযোগ করার পর তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। যুক্তরাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ গুয়ামের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে উত্তর কোরিয়া। সংকট নিরসনে চীন-রাশিয়ার এক যৌথ পরিকল্পনা পেশ করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি বলে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের হুমকি-পাল্টা হুমকিতে আমরা খুব উদ্বিগ্ন। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল বলেছেন, সামরিক কোনো সমাধান নেই। হুমকির বিরুদ্ধে পাল্টা হুমকি দেওয়া ভুল। জুলাইয়ে উত্তর কোরিয়া দুটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পায়। উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে ওয়াশিংটন-পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে তিক্ততা বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া যুদ্ধ হলে সেটা সর্বনাশ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাট্টিস। বরং এক্ষেত্রে কূটনৈতিক আলোচনা অনেক বেশি ফলপ্রসূ হবে বলেই মনে করেন তিনি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামরিক ব্যবস্থা থেকে পিছু হটার কোনও লক্ষণই দেখাচ্ছেন না। শুক্রবারের টুইটে তিনি বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়া বহু পন্থা তার হাতে আছে। প্রয়োজন হলেই তিনি তা ব্যবহার করতে পারবেন। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।