পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক ঃ শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবলীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় আরও অন্তত ২৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। নিহত যুবলীগ নেতার নাম ইকবাল হোসেন (২৫)। তিনি রাজনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি। সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নড়িয়া থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাকির গাজী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দাদন মীরবহরের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ইউপি নির্বাচন নিয়ে আগে থেকেই তাঁদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। গত ইউপি নির্বাচনের পর ওই দুই পক্ষের মধ্যে অন্তত ১০ বার সংঘর্ষ হয়েছে। এ নিয়ে নড়িয়া থানায় মামলাও রয়েছে। রাজনগর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জাকির গাজী। নির্বাচন কেন্দ্র করে দাদন মীরবহর ও সাবেক চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান মালতের সঙ্গে তাঁর বিরোধ সৃষ্টি হয়। স্থানীয় রাজনীতিতে জাকির গাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসমাইল হক ও দাদন মীরবহর স্থানীয় সংসদ সদস্য শওকত আলীর সমর্থক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুরে জাকির গাজীর সমর্থকদের মারধর করে দাদন মীরবহরের সমর্থকরা। পরে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে জাকির গাজীর সমর্থকরা দাদন মীরবহরের আন্দারমানিক বাজারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে ও বোমা হামলা চালায়। তখন দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সংঘর্ষের সময় ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি ইকবাল হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ইকবালের বাড়ি পাশের রাজনগর মালতকান্দি গ্রামে। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আমিন ফকিরের ছেলে। ইকবালের বাবা আমিন ফকির বলেন, ‘আমরা বংশপরম্পরায় আওয়ামী লীগ করি। এখন আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে হায়েনারা আমাদের রক্ত পান করছে। অন্যায়ভাবে জাকির গাজীর সমর্থকরা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
রাজনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির গাজী বলেন, ‘দাদন মীরবহর ও আলিমুজ্জামান মালতের সমর্থকরা আমার ৩ কর্মীকে কুপিয়ে আহত করেছে। আমার সমর্থকদের বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়েছে। তখন সংঘর্ষ হয়েছে। ইকবাল কার হামলায় মারা গেছে তা আমার জানা নেই।’ দাদন মীরবহর বলেন, ‘জাকির গাজী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা করছেন। তাঁর সঙ্গে জামায়াত-বিএনপির লোকজন হাত মিলিয়েছেন। তাঁদের নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের এলাকাছাড়া করার চেষ্টা করছেন। তিনি আমার বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালিয়েছেন। তাঁদের ছোড়া গুলিতে আমার এক কর্মী নিহত ও ২৫ কর্মী আহত হয়েছেন।’
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক শেখ মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত ইকবালের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলির চিহ্ন রয়েছে। গুলিতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে আমাদের প্রাথমিক ধারণা। আরও ২৫ ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’ শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এহসান শাহ বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।