বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শরীয়তপুর সংবাদদাতা : নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের বিজয়ী চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী জাহিদ হোসেন ফকিরের সমর্থকরা পরাজিত আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আমিন উদ্দিন ফকিরের সমর্থকদের অর্ধশতাধিক বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, গতকাল রোববার সকালে তুলাসার ইউনিয়নের বিজয়ী চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অ¯্রে সজ্জিত হয়ে ইউনিয়নের দক্ষিণ গোয়ালদী, বাইশরশি মৃধাকান্দি, চরপাতানিধি, দশরশি, লতাবাগ ও উপরগাঁও গ্রামে পরাজিত আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর লুটতরাজ চালায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই হামলাকারীরা চলে যায়। গত শনিবার রাত থেকেই আমিন উদ্দিন ফকিরের সমর্থক পরাজয়ের সংবাদ পেয়ে গ্রাম ছেড়ে ভয়ে পালিয়ে গেছে বলে পুরুষ শূন্য বাড়ির নারী সদস্যরা জানায়। এ বিষয়ে থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে ঐ এলাকায় একজন নির্বাহী ম্যাজিট্্েরটের নেতৃত্বে পুলিশ টহল অব্যাহত রয়েছে।
হামলার শিকার উপরগাঁও গ্রামের আনিস উদ্দিন ফকিরের স্ত্রী আসমা বেগম জানান, আমরা সকালে প্রতিদিনের মতো সাংসারিক কাজ-কাম শুরু করার পূর্বেই বিজয়ী চেয়ারম্যান জাহিদ ফকিরের সমর্থকরা দল বেধে আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এ সময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের ঘরবাড়ি কুপিয়ে তছনছ করে ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে।
দক্ষিণ গোয়ালদি গ্রামের মিন্টু সরদারের স্ত্রী সেলিনা বেগম জানান, আমাদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফেল করার সংবাদ শোনার পর পরই বাড়ির পুরুষ সদস্যরা ভয়ে আত্মগোপন করেছে। শূন্য বাড়ি পেয়ে বিজয়ী চেয়ারম্যান জাহিদ ফকিরের লোকজন আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে। তাদের ভয়ে আমরা পালিয়ে যাওয়ার সময় শিশু ও নারী সদস্যদেরও মারধর করেছে। তারা চলে যাওয়ার পরে আমরা বাড়ি ফিরে দেখি আমাদের ঘরের অনেক জিনিসপত্রও তারা নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ মনোনীত পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিন উদ্দিন ফকির বলেন, আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার অপরাধে জাহিদ ফকিরের উস্কানি ও সহযোগিতায় তার সমর্থকরা আমার সমর্থকদের বেছে বেছে শতাধিক বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। আমি হামলাকারী সন্ত্রাসীদের উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।
বিজয়ী চেয়ারম্যান জাহিদ ফকির বলেন, কে বা কারা হামলা করেছে এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমার সমর্থকরা এ ধরনের কাজের সাথে জড়িত না হওয়ার জন্য পূর্ব থেকেই জানিয়ে দিয়েছি। পালং মডেল থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান বলেন, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।