Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

কূটনীতিতেই আশাবাদ যুক্তরাষ্ট্রের

| প্রকাশের সময় : ১২ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : উ. কোরিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ধারাবাহিক যুদ্ধের হুঙ্কার দিলেও তার প্রশাসন যুদ্ধকে ভয়াবহ আকারেই দেখছে। প্রতিরক্ষা দফতর ক‚টনীতির পথেই উত্তর কোরীয় সংকট সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদের কথা জানিয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাট্টিস দাবি করেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘ দূতের তত্ত¡াবধানে সেই চেষ্টা চলছে। ওই প্রচেষ্টা ইতিবাচক পথে এগোচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ম্যাটিস। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সা¤প্রতিক বক্তব্যেও সংকটের ক‚টনৈতিক সমাধান প্রচেষ্টার আভাস পাওয়া গেছে। উ. কোরিয়ার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার বিপরীতে মার্কিন প্রস্তাবে সমর্থন দিয়ে জাতিসংঘের নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে পিয়ংইয়ং-ওয়াশিংটন উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। শুরু হয় দ্ইু দেশের শীর্ষ নেতার পারস্পরিক হুমকিধামকি। এক পর্যায়ে উ. কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ামের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিকল্পনা ঘোষণা করে। জবাবে দেশটিকে ধূলায় মিশিয়ে দেওয়া’র হুমকি দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গত বৃহস্পতিবার জেমস ম্যাট্টিস বলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে সংঘাতের জন্য প্রস্তুতি নেয়াটা তার দায়িত্ব ছিল। তবে তিনি মনে করছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন এবং জাতিসংঘের দূত নিকি হ্যালির তত্ত¡াবধানে পরিচালিত ক‚টনৈতিক প্রচেষ্টা ক‚টনৈতিকভাবে ফলপ্রসূ হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত সোমবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রেক্স টিলারসন ক‚টনৈতিক সমাধানের ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন, পিয়ংইয়ং যদি তাদের চলমান ক্ষেপণাস্ত্র বন্ধ করে তাহলে ওয়াশিংটন বসতে রাজি আছে। তবে পরোক্ষে সেই শর্তও প্রত্যাহার করে তিনি বলেছিলেন, যোগাযোগের অন্যান্য উপায় উত্তর কোরিয়ার সামনে উন্মুক্ত রয়েছে । রয়টার্সের খবরে বলা হয়, টিলারসনের এই মন্তব্য হয়ত উত্তর কোরিয়াকে মোকাবিলার আরেকটি উপায়। উত্তর কোরিয়ার ওপর চীনের প্রভাব খাটিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র গড়ে তোলা থেকে দেশটিকে বিরত রাখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। টিলারসনের ক‚টনৈতিক পথে সংকট সমাধানের ডাকের বিপরীতে সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি উত্তর কোরিয়া। তবে টিলারসনের মন্তব্যের পর এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়া স্পষ্ট করেছে, আগে হামলার শিকার হলে তবেই কেবল তারা হামলা চালাবে। তারা জানিয়েছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণ করে তাহলে উচিত শিক্ষা দিতে প্রস্তুত পিয়ংইয়ং। এদিকে ট্রাম্প-কিম বাকযুদ্ধ প্রসঙ্গে টিলারসন স¤প্রতি বলেছেন, গত কয়েকদিনের উত্তেজনা নিয়ে তিনি ভাবছেন না। আমেরিকানদের নিশ্চিন্তে রাতে ঘুমিয়ে থাকার পরামর্শ দেন তিনি। হোয়াইট সূত্রও সাংবাদিকদেরকে ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে খুব একটা মাথা না ঘামানোর পরামর্শ দিয়েছে। ট্রাম্পের এসব মন্তব্যকে অপ্রস্তুত ও অসতর্কমূলক বক্তব্য হিসেবে দেখতে বলা হয়েছে। এবার বৃহস্পতিবার ম্যাট্টস বললেন, যুদ্ধের ভয়াবহতার ব্যাপারে যথেষ্ট ভালো জানাশোনা আছে। এটি যে বিপর্যয় ডেকে আনবে তা বোঝানোর জন্য অন্য কোনও বিশেষণ ব্যবহারের প্রয়োজন নেয়। সম্ভাব্য সংঘাত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে ম্যাটিস জানান, এ ব্যাপারে তার দেশ প্রস্তুত রয়েছে। তবে তিনি বলেন, ‘আমি আগে থেকে আমার শত্রুপক্ষকে জানিয়ে দেব না যে আমি কী করতে যাচ্ছি। জুলাই মাসে দুটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাকে কারণ দেখিয়ে ৫ জুলাই দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মার্কিন প্রস্তাবে সম্মত হয় নিরাপত্তা পরিষদ। এর মাধ্যমে উ. কোরিয়ায় রফতানি নিষিদ্ধ ও বিনিয়োগ সীমাবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞার আওতায় যেসব উল্লেখযোগ্য রফতানি রাজস্ব অর্জনকারী পণ্য -কয়লা, লোহা, সীসা এবং সামুদ্রিক খাদ্য। রয়টার্স, বিবিসি,এপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ