মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ডোকলাম থেকে আংশিক নয়, সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে কোনও শান্তি আলোচনা শুরু করতে রাজি নয় বেইজিং। ভারত সরকারকে একথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে চীন। প্রসঙ্গত, জার্মানিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে আলোচনা করতে চাইলেও সে দিনও চীন রাজি হয়নি। এত দিন পরেও চীন তার নিজের অবস্থান থেকে একচুল সরেনি। অপরদিকে সেনা সূত্রে খবরে বলা হয়েছে, ডোকলাম থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে নাথাং গ্রামের বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছে ভারতীয় সেনা। কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে একটি চ্যানেলের দাবি, নাথাং গ্রামের বাসিন্দারা ওই এলাকায় সেনাবাহিনীর প্রচÐ সক্রিয়তা দেখতে পেয়েছেন। তবে এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে একেবারেই রাজি নয় সরকার বা সেনাবাহিনী। বরং সেনার অন্য একটি সূত্রের দাবি, ওই এলাকার কোনও গ্রামের বাসিন্দাদের সরানো হয়নি। আর ওই এলাকার রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেনার গতিবিধি প্রায়ই বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মোদী সরকার এখন চীনকে নিয়ে উভয়সঙ্কটে পড়েছে। এক দিকে সেনা প্রত্যাহার না করলে ক‚টনৈতিক বিরোধ সামরিক সংঘাতের দিকে চলে যেতে পারে। অর্থনৈতিক দিক থেকে ভারত-চীন সম্পর্কের অবনতি কাম্য নয় বলেই মনে করছেন সমস্ত আর্থিক বিশেষজ্ঞরাই। আবার অন্য দিকে সেনা প্রত্যাহার করা হলে দেশের ভিতরে-বাইরে সরকারের মুখ রক্ষা হবেনা। ক‚টনৈতিক সূত্রের মাধ্যমে চীন ভারতকে আরও জানিয়েছে, নয়াদিল্লি যদি এক সঙ্গে সেনা প্রত্যাহার না করে তাহলে চাইলে ধাপে ধাপে করতে পারে। কিন্তু এ নিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা চেয়েছে বেইজিং। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে চীন সফরে যাওয়ার কথা মোদীর। চীন ও ভারত কোনও পক্ষ থেকেই সরকারি ভাবে এখনও নরেন্দ্র মোদীর চীন সফরের বিষয়ে চূড়ান্ত ভাবে কিছু জানানো হয়নি। যদি ব্রিকস সম্মেলনের আগে এই বরফ না গলে তা হলে চীনে গেলেও দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে না। যেমনটি হয়নি জার্মানিতে। চীন দাবি করছে, অতীতে ভুটান লিখিত ভাবে তাদের জানিয়েছে ডোকলামের ভূখÐটি চীনের অধীনে। সুতরাং ডোকলামে ভারতীয় সেনা পাঠানো সম্পূর্ণ অবৈধ। বিষয়টি যখন চীনের সঙ্গে ভুটানের তখন ভারত নাক গলাচ্ছে কেন, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে। ভুটান ভারতের বন্ধু হলেও, প্রতিবেশী রাষ্ট্র চীনের সঙ্গে ঝামেলা করতে চায় না তারা। আর সেখানেই সমস্যায় পড়েছে ভারত। খবরে বলা হয়, বিমসটেকের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে কাঠমান্ডু পৌঁছেন সুষমা স্বরাজ। সেখানে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সুষমার পক্ষ থেকে ভুটানকে জানানো হয়েছে সে দেশের সার্বভৌমত্বে কোনও ভাবেই নাক গলাবে না নয়াদিল্লি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ডোকলামকে চীনা এলাকা বলে মেনে নেয়ার কথা অস্বীকার করেছে ভুটান। থিম্পু জানিয়েছে, ডোকলাম তাদেরই এলাকা। সেখানে রাস্তা তৈরি করে চীনা সেনা ভুটানের সার্বভৌমত্বে হাত দিয়েছে। ভারতের চাপেই ভুটান এই পদক্ষেপ করেছে বলে ধারণা ক‚টনীতিকেরা। চীন যে ভাবে সীমান্তে সেনা তৎপরতা শুরু করেছে, তাতে অবশ্য ভারতের উদ্বেগ বাড়ছে। ভারতকেও পাল্টা প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। খবরে বলা হয়, ভারত-ভুটান ও চীনের সংযোগস্থল দোকলাম মালভূমির নিকটে অবস্থিত এক গ্রামের বাসিন্দাদের গ্রামত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। দোকলাম নিয়ে প্রায় দুইমাস ধরে চীন ও ভারতের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির। এবিপি, এনডিটিভি, সিনহুয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।