পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে না জেনেই ভিন্ন পথ অবলম্বন করছে। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে চক্রান্তে নেমেছে। তিনি বলেন, বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন সফল হবে না। কারণ তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে না জেনেই তারা দিশেহারা হয়ে ভিন্ন পথ অবলম্বন করছে। তিনি আরো বলেন, দেশের সবগুলো দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি ভালো নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। তিনি নির্বাচনে বিএনপিকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কাঞ্চন সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা ও বিআরটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তাদের হারানো সিংহাসন ফিরে পাওয়ার রঙিন খোয়াব দেখতে দেখতে মাতোয়ারা হয়ে পড়েছে। সব হারিয়ে এখন তারা দিশেহারা। তারা জনগণকে আন্দোলনে না পেয়ে এখন চক্রান্তের পথে চলছে। তারা অন্ধকার গলি দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু বিচ্ছিন্ন কোনও কর্মসূচি দিয়ে জনগণের সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো যায় না।
ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে বিএনপির পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ষোড়শ সংশোধনী রায় নিয়ে দলীয়ভাবে কথা বলা হয়েছে। সরকার এবং দলের পক্ষ থেকে আমরা বক্তব্য দিয়েছি। আমি নিজেও ৭৯৯ পৃষ্ঠা রায় পুরোপুরি পড়িনি। আমি পুরো রায়টি পড়ে আমাদের দলীয় সভানেত্রী ও সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে কথা বলব। বিএনপি তো রায় বের হওয়ার পর পড়াশোনার ধার ধারেনি। তারা অন্ধকারে ঢিল ছুড়েই যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে আমরা ভিন্নমত পোষণ করতেই পারি। এ রায় দ্বিমত করার মতো। তবে রায়ে সরকারের পদত্যাগের কোনও বিষয় আছে বলে আমার জানা নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে আমরা একটা ভালো নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। সবার অংশগ্রহণে একটি ভালো নির্বাচন হবে। বিএনপিকে অহেতুক রঙিন স্বপ্ন না দেখে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়নে তারা ভীত, তাই নির্বাচনে হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় কখনো আদালত, কখনো বিদেশিদের কাছে ছুটছে। কিন্তু তাদের রঙিন স্বপ্নে ফাঁপানো বেলুন শিগগিরই চুপসে যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আগামী পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে সড়ক-মহাসড়কের পাশে কোনো কোরবানির পশুর হাট বসাতে দেয়া হবে না। গত ঈদে মহাসড়কে কোনো সমস্যা হয়নি। এবারও ঈদে ঘরমুখী মানুষ যাতে নির্বিঘেœ বাড়ি যেতে পারে, সেজন্য ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। ভারী বর্ষণ হলে রাস্তা ঠিক করা কঠিন। এবার যদি ভারী বর্ষণ না হয়, তাহলে গত রোজার ঈদের মতো এবারও ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা, বিআরটিএ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।