Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সাত পাপ

| প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম


ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতীয় সেনারা অবৈধভাবে সিকিম সেক্টরে চীন-ভারত সীমান্ত অতিক্রম করার প্রায় দুই মাস হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত প্রত্যাহারের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার মতে, ভারতীয় পক্ষ চীনা সার্বভৌমত্ব ও আন্তর্জাতিক আইনের বিরুদ্ধে সাতটি পাপ করেছে। এসব মারাত্মক ভুল ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ভারতের সামরিক অনুপ্রবেশ চীনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখÐতার লঙ্ঘন। গত জুনে ভারতীয় সীমান্ত সেনারা অস্ত্র ও চলন্ত বুলডোজার নিয়ে দোয়া কা লা (ডোকলাম) পাস দিয়ে সিকিম সেক্টরের সীমান্ত অবৈধভাবে অতিক্রম করে চীনা ভূখÐে ঢুকে পড়ে। প্রায় দুই মাস ধরে ভারত ডোকলাম এলাকায় তার সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে। অথচ ভারত এবং আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় এই এলাকাকে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং চীনা সার্বভৌম এলাকা হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছে। দুই দেশের মধ্যকার অচিহ্নিত সীমান্তে সীমান্ত-সৈন্যদের অতীত মোকাবিলার চেয়ে এই ঘটনা প্রকৃতিগতভাবে ভিন্ন। ভারতের এই পদক্ষেপ ১৮৯০ সালে সিকিম ও তিব্বত নিয়ে গ্রেট ব্রিটেন ও চীনের মধ্যকার কনভেনশনের খেলাপ। ওই কনভেনশনে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং ভারতের সিকিম রাজ্যের সীমানা স্পষ্টভাবে নির্ধারিত হয়েছিল। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের প্রতিটি সরকার ওই কনভেনশনের আলোকে সীমান্তকে নিশ্চিত করে গেছে। ভারত এবার কেন আগের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ালো তা বোঝা কঠিন। একবার কোনো কনভেনশনের মাধ্যমে সীমান্ত প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে তা আন্তর্জাতিক আইনে সুরক্ষিত থাকে। তথাকথিত নিরাপত্তাগত উদ্বেগের যে অজুহাত দেখিয়ে ভারত তার সামরিক অভিযান চালিয়েছে, তা আইনের নীতিমালা এবং আন্তর্জাতিকব্যবস্থার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং কোনো সার্বভৌম দেশই তা বরদাস্ত করতে পারে না। ঘটনার পর থেকেই ভারত তার অবৈধ পদক্ষেপকে আড়াল করার জন্য এবং চীনের স্বাভাবিক ও বৈধ কার্যক্রমকে কলঙ্কিত করার জন্য নানা ধরনের অজুহাত উদ্ভাবন করে যাচ্ছে। কিন্তু তার এসব কাজে কোনো যৌক্তিক ভিত্তি নেই, ফলে কোনোটাই টেকসই হয়নি। ভারত যুক্তি দিচ্ছে, চীন যে সড়ক নির্মাণ করছে, তা ভারতের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক এবং স্থিতাবস্থার লঙ্ঘন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, চীন তার নিজের ভূখÐে রাস্তা নির্মাণ করছে। বরং চীনা মাটিতে ঢুকে ভারত স্থিতাবস্থার লঙ্ঘন ঘটিয়েছে। আরো হাস্যকর বিষয় হলো, ভুটানকে রক্ষা করার নামে অনুপ্রবেশ ঘটেছে বলে ভারত যুক্তি দেয়ার চেষ্টা করছে। তারা বলছে, ডোকলাম হলো ভুটানি ভূখÐ। বাস্তবতা হলো, ভুটানি কর্তৃপক্ষ সুস্পষ্টভাবে চীনা কর্মকর্তাদের বলেছে, ডোকলাম ভুটানের ভূখÐ নয় এবং তারা চীনা মাটিতে ভারতের অনুপ্রবেশে হতবুদ্ধিকর অবস্থায় পড়ে গেছে। চীন-ভারত-ভুটান সীমান্ত ত্রিদেশীয় সংযোগস্থল-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর সাথে এই ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। সম্পর্কহীন তৃতীয় পক্ষ হিসেবে উপস্থিত হয়ে সীমান্তের গোলযোগ উস্কে দিয়ে চীন ও ভুটানের মধ্যে সীমান্ত আলোচনায় বাধার সৃষ্টি করছে ভারত। সিনহুয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ