পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণপ্রজাতন্ত্রের বদলে দেশ বিচারিক প্রজাতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে : এ বি এম খায়রুল হকের দাবি
স্টালিন সরকার : সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় পয়লা আগস্ট প্রকাশের পর পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। পরিবর্তন ঘটে গেছে দেশের রাজনীতির সার্বিক পরিস্থিতি। ওই রায়ের ৭৯৯ পৃষ্ঠার পর্যবেক্ষণ উত্তাপ ছড়িয়েছে সর্বত্রই। সংবিধান বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী, সুশীলসমাজের প্রতিনিধিরা রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ অভিহিত করে প্রধান বিচারপতিকে ‘বাহবা’ দিলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এত দিন ছিল ‘নীরব’। মাঠের বিরোধী দল বিএনপি বেশ উল্লসিত। আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞরা ‘রায় নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা উচিত নয়’ এমন বক্তব্য দেন। কিন্তু মন্ত্রিসভায় রায়ের পর্যবেক্ষণের কিছু শব্দ নিয়ে আপত্তি তুলে রায় থেকে সেগুলো প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর মুখ খুলতে শুরু করে আওয়ামী লীগ নেতারা। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত রায় নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বোমা ফাটানো বক্তব্য দেয়ার পর আলোচনা-সমালোচনা-তর্ক-বিতর্ক সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে আপিল বিভাগের দেয়া ওই রায়। গতকাল হঠাৎ করে সাবেক প্রধান বিচারপতি বর্তমানে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হক আক্ষেপ করে আপিল বিভাগের দেয়া সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়কে অপরিপক্ব, পূর্বপরিকল্পিত ও অগণতান্ত্রিক হিসেবে অভিহিত করেন। আজ (বৃহস্পতিবার) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংবাদ সম্মেলনে ‘ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে’ সরকারের অবস্থান তুলে ধরবেন। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল রায়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ অনাকাক্সিক্ষত, অনভিপ্রেত ও অপ্রাসঙ্গিক।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ২০১১ সালে তত্ত্বাধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বিল পাস করে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনের পর ক্ষমতায় এসে ৯ মাসের মাথায় ১৭ সেপ্টেম্বর ষোড়শ সংশোধন বিল পাস করে। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন বিল-২০১৪ নামের এই বিল পাসের মাধ্যমে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাত থেকে জাতীয় সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনা হয়। উল্লেখ্য, বাহাত্তরে সংবিধান প্রণয়নের পর থেকে পঁচাত্তরের জানুয়ারি পর্যন্ত ‘অসদাচরণ ও অসামর্থ্যরে’ অভিযোগ প্রমাণিত বিচারপতিদের অপসারণের বিধান সংসদের হাতে ছিল। ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের হাতে ন্যস্ত হয়। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সে ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে অর্পণ করা হয়। ফলে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা ৪০ বছর পর আবার সুপ্রিম সুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে ন্যস্ত হয়।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বেদনাহত সুরে বলেন, আদালতের রায় আমাদের মাথা হেঁট করে দিয়েছে। রায়ে আমাদের সমাজের বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে। কিন্তু রায়ের কঠোর সমালোচনা করে দম্ভোক্তির সুরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘আদালত যতবার ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করবে, আমরা ততবার সংসদে বিল পাস করব। আমরা বিচারপতিদের চাকরি দেই। তারা সংসদের ওপর পোদ্দারি করবে?’ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। অতঃপর রায়টিতে সংসদ সংসদের ইমম্যাচিউরড (অপরিপক্ব), জনগণের প্রতিনিধিত্বহীন শব্দগুলোতে আপত্তিকর হিসেবে অভিহিত করে সেগুলো বাদ দিতে সরকারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জাতীয় সংসদে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল’ দেশকে রাজনৈতিক সঙ্কটে ফেলে দেয়। দেশে চরম রাজনৈতিক সঙ্কটের সৃষ্টি হয়। যারা রায়ের পর্যবেক্ষণকে ইস্যু করে সংবিধান থেকে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা’ বাদ দিয়ে সংসদে সংবিধান সংশোধন করা হয়; প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিয়ে পুরস্কার হিসেবে যিনি আইন কমিশনের চেয়ারম্যান অলঙ্কৃৃত করেন; সেই আলোচিত সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক সংবাদ সম্মেলন করে আপিল বিভাগের রায় নিয়ে বিষোদগার করেছেন। তিনি যেন বিচার বিভাগের ওপর ক্ষোভের বিষ উগরে দেন। গতকাল জাতীয় আইন কমিশনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলে আপিল বিভাগের রায় অপরিপক্ব, পূর্বপরিকল্পিত ও অগণতান্ত্রিক। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, প্রধান বিচারপতি কি প্রধান শিক্ষক? আর অন্য বিচারপতিরা ছাত্র নাকি যে, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে তাকে (প্রধান বিচারপতি) অন্য বিচারপতিদের পরিচালনা করতে হবে? সংবিধানের ৯৪(৪) অনুচ্ছেদ অনুসারে তো বিচারপতিরা সবাই স্বাধীন। ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে সংবিধানের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে। তাই সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ফিরিয়ে আনতে হলে আবারও সংবিধান সংশোধন করতে হবে। সংবিধানে যেহেতু সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ছিল না; সেহেতু এটা রাখা সংবিধান পরিপন্থী। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, সংবিধানে ১ নম্বর অনুচ্ছেদে গণপ্রজাতন্ত্রের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এই রায় দেশকে বিচারিক প্রজাতন্ত্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে মার্শাল ল’ আমলে চলে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। যেখানে দুর্নীতি দমন কমিশনকে চিঠি দিয়ে সাবেক বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করতে নির্দেশ দেয়া হয়; সেখানে তাদের ওপর (সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সদস্য বিচারপতিদের) নির্ভর করব কিভাবে? সংসদ সদস্যরা ভুল করলে সুপ্রিম কোর্ট দেখে সংশোধন করবেন। সেখানে সুপ্রিম কোর্ট (বিচারপতিরা) ভুল করলে আমরা যাব কোথায়? এই রায়ের মাধ্যমে জুজুর ভয় দেখানো হচ্ছে এবং সংসদ সদস্যদের হেয় করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর্যবেক্ষণে বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর একক নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আজ (১০ আগস্ট) সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর নিজস্ব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় নিয়ে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করবেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। দুপুরে অনুষ্ঠিতব্য ওই সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন আইনমন্ত্রী। এ তথ্য জানানো হয়েছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
সরকারের অনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়ার আগে আওয়ামী লীগ থেকে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। ৮ দিন পর দেয়া প্রতিক্রিয়ায় আদালতের পর্যবেক্ষণকে অনাকাক্সিক্ষত, অনভিপ্রেত ও অপ্রাসঙ্গিক হিসেবে অভিহিত করা হয়। রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয় তারা দলীয়ভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন। এ জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ষোড়শ সংশোধনী বাতিল প্রসঙ্গে বিএনপির বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু বলেন, আপিল বিভাগের রায় নিয়ে কখনও বিতর্ক এবং রাজনীতি চলে না। রায় নিয়ে আমরা রাজনীতি করতে চাই না, কিন্তু বিএনপি রাজনীতি করছে। তাদের কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নেই বলে এটাকে ইস্যু বানানো হচ্ছে। আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপির নেতারা এ রায় বিকৃত করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের অপপ্রচার চালাচ্ছে। রায়ের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তারা রাজনীতি করতে চায়। ষোড়শ সংশোধনীর কয়েকটি পর্যবেক্ষেণ আপত্তিকর। রায়ের সঙ্গে এসবের কোনো প্রাসঙ্গিকতা নেই। তবে সুপ্রিম কোর্ট আমাদের (আওয়ামী লীগ) প্রতিপক্ষ নয়। কিন্তু বিএনপি ভিন্ন উদ্দেশে আমাদেরকে সুপ্রিম কোর্টের প্রতিপক্ষ বানাতে চায়। আদালতের রায় নিয়ে অর্থমন্ত্রীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যকে তার ব্যক্তিগত হিসেবে অভিহিত করে দলটির আইনবিষয়ক সম্পাদক শ. মো. রেজাউল করিম উল্টো আদালতের রায়ের ভুল ব্যাখ্যা দেয়ার অভিযোগ তোলেন বিএনপির বিরুদ্ধে। এ জন্য তিনি বিএনপির বিরুদ্ধে আদালতের সুয়োমোটো করা উচিত মন্তব্য করে বলেন, কার নেতৃত্বে স্বাধীনতা হয়েছে সে ব্যাপারে সংসদ অপরিপক্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালতের এ ধরনের পর্যবেক্ষণ কাম্য ছিল না। এই অনভিপ্রেত পর্যবেক্ষণকে ইস্যু করে ও রায়ের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বিএনপি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভোটবিহীন এই সরকার বিচার বিভাগের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা বিচার বিভাগের সিদ্ধান্তকে মানতে নারাজ। রায় নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো: নাসিম যে ভাষায় কথা বলেছেন এতে একটি বিষয় খুব পরিষ্কার যে, এই সরকার এই ‘বিচার বিভাগের প্রতিপক্ষ’ হিসেবে একটা অবস্থান নিয়েছে। রায় দেয়ার পরে, অবজারভেশন দেয়ার পরে মন্ত্রিসভায় যে আলোচনা হয়েছে এবং সরকারের কিছু মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কিছু নেতা যে ভাষায় কথা বলছেন, তা কি আদালত অবমাননার পর্যায়ে পড়ে কিনা? অন্যদিকে সংবিধানের সংশোধনী পাস করতে সংসদে আসতেই হবে বলে মন্তব্য করে গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, জিয়াউর রহমানের আমল থেকেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। কিন্তু এটা পাকিস্তান নয়, বাংলাদেশ। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার পেছনে কারা আছে তা আমরা জানি।
আপিল বিভাগের রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে যখন একে অপরের প্রতি আক্রমণ-প্রতিআক্রমণের যুদ্ধ চলছে; তখন ষোড়শ সংশোধনী বাতিল রায়কে ঐতিহাসিক হিসেবে অভিহিত করছেন দেশের সংবিধান বিশেষজ্ঞরা। ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন রায়কে অভিনন্দনযোগ্য এবং এ রায়ে আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে বলে মন্তব্য করছেন। অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন. ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় ঐতিহাসিক-যুগান্তকারী। এ রায়ে রাষ্ট্রব্যবস্থার বিভিন্ন দুর্বল দিক তুলে ধরা হয়েছে। রায়ে এ ধরনের পর্যবেক্ষণে জাতি উপকৃত হবে; সরকারের জন্য সংশোধনের সুযোগ তৈরি হয়। এ রায়ের মাধ্যমে শুধু বিচারব্যবস্থা, সরকার কিংবা আইনজীবী নয় ১৬ কোটি মানুষ উপকৃত হবে। রায়ে সরকারের ব্যথিত হওয়ার কিছু নেই; আবার সরকারের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর উল্লসিত হওয়ার সুযোগ নেই। ষোড়শ সংশোধনীতে বিচারকদের নিরপেক্ষতা এবং স্বাধীনতার দৃষ্টান্ত আবার ফুটে উঠেছে। অথচ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ‘রাবিশ’ বক্তব্য দিয়েছেন। অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বিচার বিভাগ এবং বিচারকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে এ রায় ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। ভারতসহ অন্যান্য দেশে সুপ্রিম কাউন্সিল তদন্ত করে অভিযুক্ত বিচারপতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে সংসদে পাঠায়। সেখানকার সংসদ আর বাংলাদেশের সংসদ এক নয়। বাংলাদেশে নিয়ম অনুযায়ী সরকারি দল কোনো বিচারককে অপসারণ করতে চাইলে দলের সব সংসদ সদস্য ভোট দিতে বাধ্য। নতুন এ রায়ের ফলে সরকারি দল চাইলেই কোনো বিচারপতিকে অপসারণ করতে পারবে না। এ কারণেই ষোড়শ সংশোধানী বাতিল রায় ঐতিহাসিক। অ্যাডভোকেট মনজিল মোর্শেদ বলেন, রায়ের কিছু ভাষাগত বিষয়ে যদি তাদের আপত্তি থাকে, সেক্ষেত্রে রিভিউ করার সুযোগ আছে। আদালতে যদি সরকার প্রমাণ করতে পারে রায়ে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের অবতারণা আছে; তখন আদালত বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন। রায়ে দেয়া ৩৯ দফা নির্দেশনায় বলা হয়েছে প্রধান বিচারপতির কাছে কোনো বিচারকের বিষয়ে অভিযোগ এলে তিনি দু’জন বিচারপতিকে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেবেন। তদন্তে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেলে তখনই প্রধান বিচারপতি মহামান্য প্রেসিডেন্টের কাছে তা পাঠাবেন। অভিযুক্ত বিচারপতিকে অপসারণের জন্য তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।