নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের (বাহফে) নির্বাচনকে ঘিরে এখন উত্তপ্ত দেশের ক্রীড়াঙ্গন। ২৭ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনে মূলত প্রধান আকর্ষন সাধারণ সম্পাদক পদটি। ইতোমধ্যে এই পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সর্বশেষ কমিটির দুই সহ-সভাপতি খাজা রহমতউল্লাহ ও আব্দুর রশিদ শিকদার। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার অনেক আগেই প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছেন রশিদ শিকদার। প্রিমিয়ার, প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগের মোট ৩১ ক্লাবের মধ্যে তার সঙ্গে আছে প্রায় ২৬টি ক্লাব। ইতোমধ্যে ২২টি ক্লাব রশিদকে সরাসরি সমর্থনও দিয়েছে। অন্যদিকে খাজা রহমতউল্লাহ কিছুটা নীরব ভূমিকায় থেকে হাই কমান্ড এবং জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের (যারা ফোরাম নামে খ্যাত) আশির্বাদপুষ্ট হয়ে এগিয়ে যেতে চাইছেন। তিনি পাশে পেয়েছেন মাত্র পাঁচটি ক্লাবকে। রহমতউল্লাহকে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ার বসাতে ক’দিন ধরেই কাজ করছে ফোরাম। তারা চাচ্ছে হকি ফেডারেশনের আসন্ন নির্বাচনে সমঝোতার একটি কমিটি হোক। যেখানে রহমতউল্লাহই থাকবেন সাধারণ সম্পাদক।
ইতোমধ্যে দুয়েকটি সভাও করেছে ফোরাম। যেখানে প্রাধান্য পেয়েছে সমঝোতা। ফের সমঝোতার উদ্যোগ নিয়ে সভা হয়েছে। গতকাল ঢাকা ক্লাবে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের উদ্যোগে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিসিবির পরিচালক ও মোহামেডানের ডাইরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু। সভা সূত্রে জানা গেছে, হকির উন্নয়নের লক্ষ্যে সবাইকে নিয়ে সমঝোতার কমিটির করার আহŸান জানানো হয় সভায়। তবে সেক্ষেত্রে পুর্বেকার মতোই সাধারণ সম্পাদক পদে খাজা রহমতউল্লাহকেই পুনরায় সমর্থন জানায় জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ। সূত্র আরও জানায়, খাজা রহমতউল্লাহকে সাধারণ সম্পাদক পদে রেখেই সমঝোতার কমিটি চাইছেন সংগঠক পরিষদের নেতারা। এ সভায় পাঁচটি ক্লাবের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ক্লাবগুলো হলো- ঢাকা আবাহনী লিমিটেড, অ্যাজাক্স স্পোটিং ক্লাব, আজাদ স্পোর্টিং ক্লাব, উদিতি ও সাধারণ বীমা। সভা শেষে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের চেয়ারম্যান আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা দেশের হকির বৃহতর স্বার্থে সমঝোতার পথে হাটতে চাইছি। যদি শেষ পর্যন্ত সমঝোতা না হয় তখন অন্য চিন্তা করবো।’ রহমতউল্লাহকে মিডিয়ার প্রশ্ন ছিলো, ‘আপনার সঙ্গে থাকা ক্লাবের সংখ্যা এতো কম কেন?’ এ প্রশ্নের কোন জবাব দেননি রহমতউল্লাহ। তবে এ সভা সম্পর্কে দেশের হকিবোদ্ধাদের জিজ্ঞাসা, ফোরামের চাওয়াই কি শেষ চাওয়া?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।