নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) টানা তৃতীয় হারের স্বাদ নিলো আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ২-০ গোলে হারায় আরামবাগকে। বিজয়ী দলের পক্ষে ফরোয়ার্ড আমজাদ আলী এক গোল করলেও অন্যটি আতœঘাতি। বক্সে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে আরামবাগের মিডফিল্ডার আরাফাত হোসেন নিজেদের জালেই তা ঠেলে দেন।
ঘরোয়া ফুটবলে রহমতগঞ্জ ও আরামবাগকে সব সময়ই জায়ান্ট কিলারের ভুমিকায় দেখা যায়। অতীতে অনেক বড় বড় দলকেই ধরাশায়ি করেছে এ দুই ক্লাব। লিগের গত আসরে দুর্দান্ত পারফরমেন্স ছিলো আরামবাগ ও রহমতগঞ্জের। আরামবাগ তালিকার ষষ্ঠস্থানে থেকে লিগ শেষ করলে রহমতগঞ্জের অবস্থান ছিলো সপ্তমস্থানে। এবার সেই রহমতগঞ্জ দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চললেও আরামবাগ যেন বিবর্ণ। জানা গেছে, মুলত ক্লাব সভাপতি ও কোচের একক খবরদারীর কারণেই নাকি আরামবাগের মাঠের পারফরমেন্স যাচ্ছে তাই। যার প্রতিচ্ছবি দেখা গেছে গতকালের ম্যাচেও। মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে আরামবাগের খেলোয়াড়দের খেলা দেখে মনে হয়েছে যেন পেশাদার নয় প্রথম বিভাগ লিগে খেলছে তারা। মাঠে একের পর এক ভুল করে যাচ্ছেন ফুটবলাররা অথচ কোচ মারুফুল হক নির্বাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন। অবশ্য ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণাতœক ফুটবল উপহার দেয় আরামবাগ। ৬ মিনিটে একটি সুযোগও আদায় করে নেয় তারা। এসময় আরামবাগ অধিনায়ক আবু সুফিয়ান সুফিল বল নিয়ে মুক্তির পেনাল্টি সীমানায় ঢুকে পড়েন। কিন্তু তাকে করা মাকিংয়ে রাখেন প্রতিপক্ষ দলের ডিফেন্ডার সৈকত ভৌমিক। ফলে সতীর্থকে ক্রসটা বাড়াতে পারেননি সুফিল। ১০ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধার মিশরীয় খেলোয়াড় জ্যাকি শারহান ডানপায়ের কোনাকোনি গড়ানো শট নিলেও বল চলে যায় মাঠের বাইরে। আগের ম্যাচে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে একাই দু’গোল করেছিলেন জ্যাকি। ১৩ মিনিটে আবারো প্লে মেকারের ভুমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি। ডানপ্রান্ত থেকে একটা দারুণ ক্রস বাড়িয়ে দেন। বক্সে বিপুল বাম পায়ে শট নিলেও তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১৮ মিনিটে জ্যাকির হেড সাইডবারে লেগে বাইরে চলে না গেলে এগিয়ে যেত পারতো মুক্তিযোদ্ধা। চমৎকার কিছু আক্রমণ সানালেও ভালো মানের ফিনিশারের অভাবে গোল পাচ্ছিলো না বিজয়ীরা। ম্যাচের ২৭ মিনিটে আরামবাগ অধিনায়ক সুফিল চমৎকার ড্রিবলিং করে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তাকে আটকাতে পেনাল্টি বক্সের কাছে মারাত্মক ফাউল করেন মুক্তির ঘানাইয়ান ডিফেন্ডার আব্বাস ইউনুসাহ। রেফারি আনিসুর রহমান তাকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে ফ্রি কিকের নির্দেশ দেন। তবে এমন সহজ সুযোগটাও হাতছাড়া করেন মারুফুল হকের শিষ্যরা। প্রথমে ফলস করেছিলেন সুফিল। ছোট্ট একটা টোকা দিয়েছিলেন জুয়েল। কিন্তু বল বারে পাঠাতে পারেননি।
৩২ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে হেড নেন আরামবাগের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড বকুলা ওলালেকাও। কিন্তু তা বারে লেগে ফেরত আসে। দুর্ভাগ্যই বলতে হবে আরামবাগের। প্রথমার্ধ গোলশূণ্য থেকেই বিশ্রামে যায় দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল পেতে মরিয়া ছিলো মুক্তিযোদ্ধা। তবে তারা সফল হয় ৬০ মিনিটে। এসময় ডিফেন্ডার তানভির রানা বামপ্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে ঢুকে ক্রস করলে তাতে দারুণ হেডে লক্ষ্যভেদ করেন ফরোয়ার্ড আমজাদ আলী। আরামবাগের গোলরক্ষক আক্কাস অবশ্য বল ধরতে এসেছিলেন। কিন্তু এর আগেই মুক্তি শিবিরকে আনন্দে ভাসাতে সক্ষম হন আমজাদ (১-০)। ৬৮ মিনিটে গোলরক্ষকের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে চমৎকার প্লেসিং করেছিলেন সুফিল। কিন্তু অল্পের জন্য বল খুজে পায়নি জালের ঠিকানা। ৮৯ মিনিটে ইকাঙ্গার বাড়িয়ে দেয়া বল বক্সে পেয়ে নিশ্চিত গোল করার সুযোগ হাতছাড়া করেন আরামবাগের সোহেল রানা। এর খেসারত দিতে হয় তাদের। ম্যাচের যোগকরা সময়ে আরাফাত হোসেনের আত্মঘাতি গোলে আরো পিছিয়ে পড়ে আরামবাগ (২-০)। শেষ পর্যন্ত হারের গøানি নিয়েই ঘরে ফিরে তারা। একই ভেন্যুতে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নবাগত সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ১-০ গোলে হারায় ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবকে। আজ লিগের বিরতি। যথারীতি আগামীকাল মাঠে গড়াবে খেলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।